বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কেটে চলছে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির কাজ। রাত দিন সমানতালে চলে পুরোদমে পাহাড় কাটা। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে পরিবেশ ও পাহাড়।
বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দু’পাশে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। পুলিশ দেখেও দেখে না
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের হাজির পাড়া যুবলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মওলার নেতৃত্বে চলছে এই পাহাড় কাটার মহোৎসব তার রয়েছে নিজস্ব এস্কেভেটর ডেম্পার,ট্রাক। বাইশারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটার কন্ট্রাক্ট নিয়ে বিভিন্ন স্থাপনায় মাটি বিক্রি করছেন তিনি যার ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে পরিবেশ ও পাহাড়।
বিশেষ করে প্রতিদিন রাত ১০টার পর ভোর পর্যন্ত পাহাড় কাটা চলে। মাটি সরবরাহের জন্য তৈরি করা হয়েছে সড়কও। জানা যায়, তুফান আলী পাড়া মূলত পাহাড় ধস প্রবণ এলাকা। সেখানে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে । এতে প্রাণ হারায় অনেক মানুষ। তাছাড়া সেখানে মানুষজন ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। এ পাহাড় কাটার ফলে আশপাশে বসতঘর পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহীদ, আমেনা ও আবদুছ সালাম বলেন, প্রতিদিন রাত ১০টার পর পাহাড় কাটা চলে। এস্কেভেটর শব্দে ঘুমাতে পারি না আমরা। তাছাড়া এই টিলা কাটলে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের প্রতি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে বিষয়টি স্বীকার করে এস্কেভেটর মালিক যুবলীগ সাবেক সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, ছোট এস্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা কন্ট্রাক্ট নিয়েছি। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও আমার কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাইশারী ইউনিয়নে ৫ন নং ওয়ার্ড লম্বাবিল মৃত্যু নাছির মোহাম্মদের ছেলে বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার সরকারি খাস বিশাল পাহাড় কেটে সাবাড় করতে জিজ্ঞেসা করলে তিনি জানান কবরস্থান করার জন্য তিনি পাহাড় কাটছেন।এছাড়াও হলুদ্যাশিয়া,তুফান আলী পাড়া,মধ্যম বাইশারীসহ একাধিক জায়গায় পাহাড় কাটার চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন বলেন, বাইশারী সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে কয়েকজন পাহাড় খেকো অবৈধভাবে পাহাড় কাটছে।
কয়েকজনকে আটক দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দিলে এ রকম অন্যায় কাজ থেকে সবাই বিরত থাকত।
এবিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।তবে ঘটনাস্থলে কোন ব্যাক্তি বা সরঞ্জাম না পাওয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যায় নি। তিনি আরও বলেন
উপজেলা সদর হতে দূরবর্তী হওয়ার কারণে পাহাড়খেকোরা পালিয়ে যায়।স্থানীয় হেড়ম্যনকে জমির মালিকানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরকে নিয়মিত মামলার ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান বাইশারীতে পাহাড় কাটার সত্যতা পেয়েছেন পাহাড় পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কেটে চলছে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির কাজ। রাত দিন সমানতালে চলে পুরোদমে পাহাড় কাটা। ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে পরিবেশ ও পাহাড়।
বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দু’পাশে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। পুলিশ দেখেও দেখে না
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের হাজির পাড়া যুবলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মওলার নেতৃত্বে চলছে এই পাহাড় কাটার মহোৎসব তার রয়েছে নিজস্ব এস্কেভেটর ডেম্পার,ট্রাক। বাইশারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটার কন্ট্রাক্ট নিয়ে বিভিন্ন স্থাপনায় মাটি বিক্রি করছেন তিনি যার ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে পরিবেশ ও পাহাড়।
বিশেষ করে প্রতিদিন রাত ১০টার পর ভোর পর্যন্ত পাহাড় কাটা চলে। মাটি সরবরাহের জন্য তৈরি করা হয়েছে সড়কও। জানা যায়, তুফান আলী পাড়া মূলত পাহাড় ধস প্রবণ এলাকা। সেখানে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে । এতে প্রাণ হারায় অনেক মানুষ। তাছাড়া সেখানে মানুষজন ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। এ পাহাড় কাটার ফলে আশপাশে বসতঘর পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহীদ, আমেনা ও আবদুছ সালাম বলেন, প্রতিদিন রাত ১০টার পর পাহাড় কাটা চলে। এস্কেভেটর শব্দে ঘুমাতে পারি না আমরা। তাছাড়া এই টিলা কাটলে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের প্রতি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে বিষয়টি স্বীকার করে এস্কেভেটর মালিক যুবলীগ সাবেক সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, ছোট এস্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা কন্ট্রাক্ট নিয়েছি। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও আমার কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাইশারী ইউনিয়নে ৫ন নং ওয়ার্ড লম্বাবিল মৃত্যু নাছির মোহাম্মদের ছেলে বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার সরকারি খাস বিশাল পাহাড় কেটে সাবাড় করতে জিজ্ঞেসা করলে তিনি জানান কবরস্থান করার জন্য তিনি পাহাড় কাটছেন।এছাড়াও হলুদ্যাশিয়া,তুফান আলী পাড়া,মধ্যম বাইশারীসহ একাধিক জায়গায় পাহাড় কাটার চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন বলেন, বাইশারী সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে কয়েকজন পাহাড় খেকো অবৈধভাবে পাহাড় কাটছে।
কয়েকজনকে আটক দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দিলে এ রকম অন্যায় কাজ থেকে সবাই বিরত থাকত।
এবিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।তবে ঘটনাস্থলে কোন ব্যাক্তি বা সরঞ্জাম না পাওয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যায় নি। তিনি আরও বলেন
উপজেলা সদর হতে দূরবর্তী হওয়ার কারণে পাহাড়খেকোরা পালিয়ে যায়।স্থানীয় হেড়ম্যনকে জমির মালিকানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরকে নিয়মিত মামলার ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান বাইশারীতে পাহাড় কাটার সত্যতা পেয়েছেন পাহাড় পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।