গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে মিষ্টি ঘ্রাণ। চলতি মৌসুমে রাজশাহী বিভাগের সবকটি জেলায় আমের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ী নেতারা জানান, বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় বিভাগের আট জেলা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী এবং সিরাজগঞ্জের আম প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বিদেশে রফতানি প্রক্রিয়া সহজতর হলে আরও লাভবান হওয়া যাবে।
এ দিকে কৃষি বিভাগ ও ফল গবেষণা সঙ্গে জড়িতরা ভালো ফলন পেতে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। জানা যায়, দেশের মধ্যে আম উৎপাদনে শীর্ষে নওগাঁ জেলার বাগানগুলো। এ বছর কুয়াশার মাত্রা কম থাকায় দুই সপ্তাহ আগেই গাছ ছেয়ে গেছে আমের মুকুল।
সোনারাঙ্গা মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে সর্বত্র। অনেক বাগানে আম গুটি আকার ধারণ করেছে। গত পাঁচ বছরে জেলার সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে অনেক গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি ও বারি জাতের আমের বাগান গড়ে উঠেছে। গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণ মুকুল আশায় এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় একই অবস্থা আম উৎপাদনে দ্বিতীয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার। তাই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মালিকরা।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু জানান, বিভাগের ৮টি জেলায় যে পরিমাণ আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
তবে খরাতে যেন আমের গুটি ঝরে না পড়ে সেজন্য বাগানে নিয়মিত সেচ দেয়ার পাশাপাশি কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুজিত কুমার বিশ্বাস।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ৩০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির বাগানে ৪ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন ও রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর বাগানে দুই লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে মিষ্টি ঘ্রাণ। চলতি মৌসুমে রাজশাহী বিভাগের সবকটি জেলায় আমের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ী নেতারা জানান, বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় বিভাগের আট জেলা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী এবং সিরাজগঞ্জের আম প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বিদেশে রফতানি প্রক্রিয়া সহজতর হলে আরও লাভবান হওয়া যাবে।
এ দিকে কৃষি বিভাগ ও ফল গবেষণা সঙ্গে জড়িতরা ভালো ফলন পেতে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। জানা যায়, দেশের মধ্যে আম উৎপাদনে শীর্ষে নওগাঁ জেলার বাগানগুলো। এ বছর কুয়াশার মাত্রা কম থাকায় দুই সপ্তাহ আগেই গাছ ছেয়ে গেছে আমের মুকুল।
সোনারাঙ্গা মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে সর্বত্র। অনেক বাগানে আম গুটি আকার ধারণ করেছে। গত পাঁচ বছরে জেলার সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে অনেক গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি ও বারি জাতের আমের বাগান গড়ে উঠেছে। গাছে গাছে প্রচুর পরিমাণ মুকুল আশায় এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় একই অবস্থা আম উৎপাদনে দ্বিতীয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার। তাই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মালিকরা।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু জানান, বিভাগের ৮টি জেলায় যে পরিমাণ আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
তবে খরাতে যেন আমের গুটি ঝরে না পড়ে সেজন্য বাগানে নিয়মিত সেচ দেয়ার পাশাপাশি কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুজিত কুমার বিশ্বাস।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ৩০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির বাগানে ৪ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন ও রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর বাগানে দুই লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।