রমজান মাসে চাহিদাকে পুজি করে রসাল ফল তরমুজে বাজার সয়লাব । এখনও পরিপূর্ণ মৌসুম শুরু হয়নি। বাজারে ওঠা তরমুজ অধিকাংশ অপরিপক্ব । তবে দামও বেশ চড়া। বাজারে বড় আকারে তরমুজ কম দেখা মিললেও ছোট ও মাঝারি তরমুজে বাজার সয়লাব। দাম বেশি থাকায় ক্রেতা কম।মঙ্গলবার বিকেলে বরগুনার বেতাগী পৌর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেতাগী পৌর শহরে বাজারে ছোট ও মাঝারী আকারের তরমুজে বাজার সয়লাব। অন্যান্য ফলের পাশাপাশি তরমুজ পিচ দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, গরমের মধ্যে রোজায় রসালো ফলটির চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় আড়তে অপরিপক্ব তরমুজ সরবরাহ করছেন ফড়িয়ারা। কম দামে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকের কাছ থেকে সংগৃহীত এসব অপরিপক্ব তরমুজ খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন আড়তদাররা। এতে ব্যবসায়ীরা লাভ গুনলেও বাড়ি নিয়ে কাটার পর লালের বদলে তরমুজের ভেতরের রং সাদা দেখে হতাশ হচ্ছেন ক্রেতারা।
গরম ও রোজায় তরমুজের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হবে এমনটি আঁচ করতে পেরে আড়তে তরমুজ তোলেন ব্যবসায়ীরা। পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও বরিশাল থেকে আড়তে তরমুজ নিয়ে আসেন ফড়িয়ারা। নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশনের বিনিময়ে আড়তদাররা এসব তরমুজ পিস হিসেব খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। এক্ষেত্রে একদম ছোট আকৃতির একেকটির ওজন তিন কেজির ওপর ১০০ পিস তরমুজ ১২ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। তবে খুচরা বিক্রেতারা এসব ছোট আকৃতির তরমুজ প্রতিটি বিক্রি করছে আকারভেদে ১৫০-২০০ টাকা দরে।
মাঝারি আকৃতির তরমুজের প্রতিটির ওজন ৬-৭ কেজি ১০০টির দাম ২৫-৩০ হাজার। মাঝারি আকৃতির এসব তরমুজ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি করছে ২৫০-৩০০ টাকা দরে এবং সবচেয়ে বড় আকৃতির ৮-১০ কেজি ওজনের তরমুজের দাম প্রতিপিচ ৩৫০-৪০০ টাকা।
উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামের স্বপন সিকদার বলেন, বাজার থেকে ৪ কেজি ওজনের তরমুজ কিনে বাড়ি নিয়ে কাটার পর হালকা লাল হয়েছে এবং মিষ্টি স্বাদ নেই।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোশারেফ সিকদার বলেন, বাসস্ট্যান্ডের বাজার থেকে মাঝারী আকৃতির একটি তরমুজ ২৫০ টাকায় কিনে বাড়ি নিয়ে কাটার পর লাল হয়েছে। মিষ্টি স্বাদ মধ্যম পর্যায়ে বলা যায়।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন,’ চারা রোপণের ৬০-৬৫ দিন পর তরমুজ পরিপক্ব হয়। এর আগে তরমুজ তোলা হলে সেগুলো পুরোপুরি পাকে না। ভেতরে লাল ও সাদা মিলিয়ে থাকে। তরমুজ পুরোপুরি পরিপক্ক হতে আরো দু সপ্তাহ সময় লাগবে।
ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরুতে তরমুজ বিক্রি বেশি হলেও এখন ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। বেশি দামের কারণে একমাত্র সামর্থ্যবানরা ছাড়া সব শ্রেণির ক্রেতারা তরমুজ কিনছেন না। এতে তাদের ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দিয়েছে।
বেতাগী বাসস্ট্যান্ডে ব্যবসায়ী খোকন হাওলাদার বলেন, বড় আকৃতির তরমুজ কিনে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। খুচরা বাজারে বিক্রি না হওয়ায় সেসব তরমুজ আড়তে পড়ে আছে। তরমুজ পচনশীল। আরও কিছুদিন এভাবে পড়ে থাকলে পচে নষ্ট হয়ে যাবে।
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন,’ যেসব তরমুজের খোসার ওপর মসৃণ ও রং উজ্জল থাকে সেগুলো সাধারণত পাকা হয় না। আর যেসব তরমুজ গোলাকৃতি, সেগুলো বেশি মিষ্টি।’
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
রমজান মাসে চাহিদাকে পুজি করে রসাল ফল তরমুজে বাজার সয়লাব । এখনও পরিপূর্ণ মৌসুম শুরু হয়নি। বাজারে ওঠা তরমুজ অধিকাংশ অপরিপক্ব । তবে দামও বেশ চড়া। বাজারে বড় আকারে তরমুজ কম দেখা মিললেও ছোট ও মাঝারি তরমুজে বাজার সয়লাব। দাম বেশি থাকায় ক্রেতা কম।মঙ্গলবার বিকেলে বরগুনার বেতাগী পৌর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেতাগী পৌর শহরে বাজারে ছোট ও মাঝারী আকারের তরমুজে বাজার সয়লাব। অন্যান্য ফলের পাশাপাশি তরমুজ পিচ দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, গরমের মধ্যে রোজায় রসালো ফলটির চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় আড়তে অপরিপক্ব তরমুজ সরবরাহ করছেন ফড়িয়ারা। কম দামে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকের কাছ থেকে সংগৃহীত এসব অপরিপক্ব তরমুজ খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন আড়তদাররা। এতে ব্যবসায়ীরা লাভ গুনলেও বাড়ি নিয়ে কাটার পর লালের বদলে তরমুজের ভেতরের রং সাদা দেখে হতাশ হচ্ছেন ক্রেতারা।
গরম ও রোজায় তরমুজের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হবে এমনটি আঁচ করতে পেরে আড়তে তরমুজ তোলেন ব্যবসায়ীরা। পটুয়াখালী, কুয়াকাটা ও বরিশাল থেকে আড়তে তরমুজ নিয়ে আসেন ফড়িয়ারা। নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশনের বিনিময়ে আড়তদাররা এসব তরমুজ পিস হিসেব খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। এক্ষেত্রে একদম ছোট আকৃতির একেকটির ওজন তিন কেজির ওপর ১০০ পিস তরমুজ ১২ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। তবে খুচরা বিক্রেতারা এসব ছোট আকৃতির তরমুজ প্রতিটি বিক্রি করছে আকারভেদে ১৫০-২০০ টাকা দরে।
মাঝারি আকৃতির তরমুজের প্রতিটির ওজন ৬-৭ কেজি ১০০টির দাম ২৫-৩০ হাজার। মাঝারি আকৃতির এসব তরমুজ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি করছে ২৫০-৩০০ টাকা দরে এবং সবচেয়ে বড় আকৃতির ৮-১০ কেজি ওজনের তরমুজের দাম প্রতিপিচ ৩৫০-৪০০ টাকা।
উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের পুটিয়াখালী গ্রামের স্বপন সিকদার বলেন, বাজার থেকে ৪ কেজি ওজনের তরমুজ কিনে বাড়ি নিয়ে কাটার পর হালকা লাল হয়েছে এবং মিষ্টি স্বাদ নেই।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোশারেফ সিকদার বলেন, বাসস্ট্যান্ডের বাজার থেকে মাঝারী আকৃতির একটি তরমুজ ২৫০ টাকায় কিনে বাড়ি নিয়ে কাটার পর লাল হয়েছে। মিষ্টি স্বাদ মধ্যম পর্যায়ে বলা যায়।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন,’ চারা রোপণের ৬০-৬৫ দিন পর তরমুজ পরিপক্ব হয়। এর আগে তরমুজ তোলা হলে সেগুলো পুরোপুরি পাকে না। ভেতরে লাল ও সাদা মিলিয়ে থাকে। তরমুজ পুরোপুরি পরিপক্ক হতে আরো দু সপ্তাহ সময় লাগবে।
ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরুতে তরমুজ বিক্রি বেশি হলেও এখন ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। বেশি দামের কারণে একমাত্র সামর্থ্যবানরা ছাড়া সব শ্রেণির ক্রেতারা তরমুজ কিনছেন না। এতে তাদের ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দিয়েছে।
বেতাগী বাসস্ট্যান্ডে ব্যবসায়ী খোকন হাওলাদার বলেন, বড় আকৃতির তরমুজ কিনে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। খুচরা বাজারে বিক্রি না হওয়ায় সেসব তরমুজ আড়তে পড়ে আছে। তরমুজ পচনশীল। আরও কিছুদিন এভাবে পড়ে থাকলে পচে নষ্ট হয়ে যাবে।
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন,’ যেসব তরমুজের খোসার ওপর মসৃণ ও রং উজ্জল থাকে সেগুলো সাধারণত পাকা হয় না। আর যেসব তরমুজ গোলাকৃতি, সেগুলো বেশি মিষ্টি।’