কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পরপরই সাংবাদিকরা হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, ক্যামেরাপারসন জিহাদুল ইসলাম সাকিব, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক জাহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন ইরফান। তারা সবাই কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সাংবাদিকদের অভিযোগ, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার ধর্মপুর এলাকার এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার স্বজনরা চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ তুললে বিষয়টি কভার করতে হাসপাতালে যান সাংবাদিকরা। তবে নতুন ভবনের সপ্তম তলায় ওঠার আগেই চতুর্থ তলায় একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়।
আহত সাংবাদিকরা জানান, হামলাকারীদের কেউ ইউনিফর্মে ছিলেন না। তারা সাধারণ পোশাকে ছিলেন এবং স্ট্যাম্প ও লাঠি দিয়ে মারধর করেছেন। ঘটনার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা, ট্রাইপড ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় এবং ভাঙচুর চালানো হয়।
যমুনা টিভির সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন বলেন, "আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। ভবনের নিচে নামিয়ে এনে আবারও মারধর করা হয়। তবে একটি পক্ষ আমাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।"
ক্যামেরাপারসন জিহাদুল ইসলাম সাকিব বলেন, "আমরা ক্যামেরা চালু করার আগেই কয়েকজন যুবক আমাদের আক্রমণ করে। তারা দুই দফা হামলা চালিয়েছে।"
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান, সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা সৃষ্টি হলে যৌথবাহিনী ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হামলার ঘটনায় কুমিল্লার সাংবাদিক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, "সাংবাদিকদের ওপর হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। আমরা দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।"
কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি মীর শাহ আলম বলেন, "এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।"
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পরপরই সাংবাদিকরা হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, ক্যামেরাপারসন জিহাদুল ইসলাম সাকিব, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক জাহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন ইরফান। তারা সবাই কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সাংবাদিকদের অভিযোগ, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার ধর্মপুর এলাকার এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার স্বজনরা চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ তুললে বিষয়টি কভার করতে হাসপাতালে যান সাংবাদিকরা। তবে নতুন ভবনের সপ্তম তলায় ওঠার আগেই চতুর্থ তলায় একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়।
আহত সাংবাদিকরা জানান, হামলাকারীদের কেউ ইউনিফর্মে ছিলেন না। তারা সাধারণ পোশাকে ছিলেন এবং স্ট্যাম্প ও লাঠি দিয়ে মারধর করেছেন। ঘটনার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা, ট্রাইপড ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় এবং ভাঙচুর চালানো হয়।
যমুনা টিভির সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন বলেন, "আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। ভবনের নিচে নামিয়ে এনে আবারও মারধর করা হয়। তবে একটি পক্ষ আমাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।"
ক্যামেরাপারসন জিহাদুল ইসলাম সাকিব বলেন, "আমরা ক্যামেরা চালু করার আগেই কয়েকজন যুবক আমাদের আক্রমণ করে। তারা দুই দফা হামলা চালিয়েছে।"
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম জানান, সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা সৃষ্টি হলে যৌথবাহিনী ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
হামলার ঘটনায় কুমিল্লার সাংবাদিক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, "সাংবাদিকদের ওপর হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। আমরা দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।"
কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি মীর শাহ আলম বলেন, "এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।"