জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন কমিটির আহবায়ক সুলতানুছ ছালেহীন।বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির আহবায়ক সুলতানুছ ছালেহীন। ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের ১৬১ জন সদস্য নিয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন হয। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা কমিটির আহবায়ক বরাবর লিখিত পদত্যাগপত্রে সুলতানুছ ছালেহীন লিখেছেন, মহোদয়, আমার আন্তরিক সালাম গ্রহণ করুন। প্রথমেই আমি জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র-জনতার আহবানে সাড়া দিয়ে পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ গঠনে আমাকে বকশিগঞ্জ উপজেলার সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের নেতৃত্ব আমাকে উৎসাহিত করেছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে আহবায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সততা এবং ন্যায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে সর্বাত্বক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংগঠনে থাকার চেয়ে সংগঠনের বাইরে থাকায় অধিকতর শ্রেয় বলে মনে করি। ফলে আমি আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তাফা দেওয়া সমীচীন মনে করছি। এমতাবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বকশিগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক পদ থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহন করতে মহোদয়কে সবিনয় অনুরোধ করছি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন কমিটির সদস্য সচিব জিসানূর রহমান জিসান।

এই ব্যাপারে জিসানূর রহমান জিসান জানান, যারা আমার সাথে ছিলেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পারিবারিক এবং ব্যাক্তিগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি। বকশীগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক সুলতানুছ ছালেহীন জানান, আমি জেলা কমিটিকে আমার মতামত লিখিতভাবে জানিয়েছি। জেলা কমিটি আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা কমিটির আহবায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস জানান, তাদের পদত্যাগের বিষয়ে জেলা কমিটি অবগত আছে। এই ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি চলমান রয়েছে।