সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উকারগাঁও গ্রামের মনির হোসেন হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শান্তিগঞ্জ উপজেলার উকারগাঁও গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর স্ত্রী ও নিহত মনির হোসেনের মাতা
মোছা. বকুল বেগম জানান, আমার ছেলে মনির হোসেনের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলের ফাঁসি চাই। তিনি বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ৩ ছেলেকে নিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণভাবে জীবন-জীবীকা নির্বাহ করে আসছি। আমার বড় ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী মোছা. জনিক আক্তার ও উকারগাও গ্রামের রাজন আহমদের পরকিয়ার সম্পর্কের জের ধরেই আমার ছেলে মনির হোসেনকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এস. আই সুলেমানের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে সময় কাটান। তিনি এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস. আই সুলেমান ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে তোমাকে জড়িয়ে দেবো। এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা তুমিও করতে পারো। পরে জানমালের নিরাপত্তা পেতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মোছা. বকুল বেগমের পক্ষে মো. কামরুজ্জান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্েয তিনি জানান, এ ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানায় নিহত মনির হোসেনের মা হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, আসামীদের মাঝে ৪ জন গ্রেপ্তার হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি আব্দুন নুরের ছেলে আলী আহমদ ও মৃত রহমত আলীর ছেলে মো. তাহির আলী।
তিনি বলেন, এছাড়াও আসামী গংদের মাঝে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একই গ্রামের কামাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আলী আকবর, জহিরুল ইসলাম, এদের গ্রেপ্তারের কথা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শান্তিগঞ্জ থানার এস আই সুলেমানকে জানালে তিনি রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না বলে জানান।
তিনি বলেন, গত দুই বছর পূর্বে উকারগাও গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে মো. তাহির আলীর সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল এবং মামলা মোকদ্দমাও বিদ্যমান আছে। পরকীয়াসহ এসব কারণে তার ছেলে মনির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মনির হোসেন হত্যাকা-ের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উকারগাঁও গ্রামের মনির হোসেন হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শান্তিগঞ্জ উপজেলার উকারগাঁও গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর স্ত্রী ও নিহত মনির হোসেনের মাতা
মোছা. বকুল বেগম জানান, আমার ছেলে মনির হোসেনের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলের ফাঁসি চাই। তিনি বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ৩ ছেলেকে নিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণভাবে জীবন-জীবীকা নির্বাহ করে আসছি। আমার বড় ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী মোছা. জনিক আক্তার ও উকারগাও গ্রামের রাজন আহমদের পরকিয়ার সম্পর্কের জের ধরেই আমার ছেলে মনির হোসেনকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এস. আই সুলেমানের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে সময় কাটান। তিনি এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস. আই সুলেমান ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে তোমাকে জড়িয়ে দেবো। এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা তুমিও করতে পারো। পরে জানমালের নিরাপত্তা পেতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মোছা. বকুল বেগমের পক্ষে মো. কামরুজ্জান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্েয তিনি জানান, এ ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানায় নিহত মনির হোসেনের মা হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, আসামীদের মাঝে ৪ জন গ্রেপ্তার হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি আব্দুন নুরের ছেলে আলী আহমদ ও মৃত রহমত আলীর ছেলে মো. তাহির আলী।
তিনি বলেন, এছাড়াও আসামী গংদের মাঝে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একই গ্রামের কামাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আলী আকবর, জহিরুল ইসলাম, এদের গ্রেপ্তারের কথা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শান্তিগঞ্জ থানার এস আই সুলেমানকে জানালে তিনি রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না বলে জানান।
তিনি বলেন, গত দুই বছর পূর্বে উকারগাও গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে মো. তাহির আলীর সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল এবং মামলা মোকদ্দমাও বিদ্যমান আছে। পরকীয়াসহ এসব কারণে তার ছেলে মনির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মনির হোসেন হত্যাকা-ের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।