দুই প্রকার রশিদে ইজারা আদায়
গঙ্গাচড়া (রংপুর) : বেতগাড়ী পশুর হাটের দুই ধরনের রশিদে ইজারা কর্তন -সংবাদ
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সবচেয়ে দামি হাট বেতগাড়ী পশুর হাটের ইজারা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
গত মঙ্গলবার সরেজমিন বেতগাড়ী হাট গিয়ে দেখা, হাটে গরু বেচা-কেনা চলছে। হাসিল আদায়কারীদের হাতে দেখা যায় দুই প্রকার রশিদ বই। একটি উপজেলা প্রশাসনের অন্যটি ইজারাদার মোফাখখারুল ইসলাম স্বপনের নামে।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক দুই রশিদ লেখক জানান, দুইটা বই আমাদের ইজারাদার স্বপন দিছে। আমরা লেখছি।
রশিদের বিষয়ে বেতগাড়ী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর বন্ধ করে দিয়ে চলে গেছি। ইজারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া কিছু বলতে পারবো না।
মোফাখখারুল ইসলাম স্বপনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে তার পাশে থাকা হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা গত সপ্তাহে ইউএনও অফিসে ওপেন ডাকে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ১৫ দিনের জন্য হাট নিয়েছি। এসময় বিএনপির সহিদুল ভাইও উপস্থিত ছিলেন।
বেতগাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে হাট ইজারাদারদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্বপন ও হারুনদের ১৫ দিনের জন্য হাট দেওয়া হয়েছে। এসময় এসিল্যান্ড উপস্থিত ছিলেন।
রশিদ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মী বলেন, যেহেতু বেতগাড়ী হাট ইজারা হয়নি সেহেতু ওই হাট তহশিলদার দেখাশুনা করেন। আর হাটটি বড় হওয়ায় পূর্বের লোক দিয়ে হাসিল আদায় করা হচ্ছে।
দুইটি রশিদ বইয়ের বিষয়ে জেনেছি। আগামী হাটে এরকম আর হবে না।
তবে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকায় ১৫ দিনের জন্য হাট ইজারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, হাটের খাস আদায় করবে তহশিলদার। আর টাকার কথা যদি বলে, কারা বলছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি উপজেলার ১৭ টি হাটের বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা প্রশাসন।
যার ৩য় বারের মত দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিলো গত ২৫ মার্চ। এরমধ্যে বেতগাড়ী ও গঙ্গাচড়া হাটের ইজারা না হওয়ায় গত ১৩ এপ্রিল পূনরায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রশাসন। যার শেষ সময় ১৭ এপ্রিল। এরই মধ্যে বাংলা সনের নতুন বছর আসায় বাজারগুলোর হাসিল আদায় করবে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বেতগাড়ী হাটের ইজারা হয়নি এখনো। টেন্ডারের কাজ চলমান। আপাতত হাসিল আদায়ের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে তহশিলদারকে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
সে অনুযায়ী তহশিলদার সকল কর্যক্রম পরিচালনা করবে। সেক্ষেত্রে তিনি কোন অনিয়ম করেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কি করছে তহশিলদার জানে। যদি এরকম কিছু হয়ে থাক তা তদন্ত করে দেখা হবে।
দুই প্রকার রশিদে ইজারা আদায়
গঙ্গাচড়া (রংপুর) : বেতগাড়ী পশুর হাটের দুই ধরনের রশিদে ইজারা কর্তন -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সবচেয়ে দামি হাট বেতগাড়ী পশুর হাটের ইজারা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
গত মঙ্গলবার সরেজমিন বেতগাড়ী হাট গিয়ে দেখা, হাটে গরু বেচা-কেনা চলছে। হাসিল আদায়কারীদের হাতে দেখা যায় দুই প্রকার রশিদ বই। একটি উপজেলা প্রশাসনের অন্যটি ইজারাদার মোফাখখারুল ইসলাম স্বপনের নামে।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক দুই রশিদ লেখক জানান, দুইটা বই আমাদের ইজারাদার স্বপন দিছে। আমরা লেখছি।
রশিদের বিষয়ে বেতগাড়ী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর বন্ধ করে দিয়ে চলে গেছি। ইজারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া কিছু বলতে পারবো না।
মোফাখখারুল ইসলাম স্বপনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে তার পাশে থাকা হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা গত সপ্তাহে ইউএনও অফিসে ওপেন ডাকে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ১৫ দিনের জন্য হাট নিয়েছি। এসময় বিএনপির সহিদুল ভাইও উপস্থিত ছিলেন।
বেতগাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে হাট ইজারাদারদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্বপন ও হারুনদের ১৫ দিনের জন্য হাট দেওয়া হয়েছে। এসময় এসিল্যান্ড উপস্থিত ছিলেন।
রশিদ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মী বলেন, যেহেতু বেতগাড়ী হাট ইজারা হয়নি সেহেতু ওই হাট তহশিলদার দেখাশুনা করেন। আর হাটটি বড় হওয়ায় পূর্বের লোক দিয়ে হাসিল আদায় করা হচ্ছে।
দুইটি রশিদ বইয়ের বিষয়ে জেনেছি। আগামী হাটে এরকম আর হবে না।
তবে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকায় ১৫ দিনের জন্য হাট ইজারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, হাটের খাস আদায় করবে তহশিলদার। আর টাকার কথা যদি বলে, কারা বলছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি উপজেলার ১৭ টি হাটের বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা প্রশাসন।
যার ৩য় বারের মত দরপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিলো গত ২৫ মার্চ। এরমধ্যে বেতগাড়ী ও গঙ্গাচড়া হাটের ইজারা না হওয়ায় গত ১৩ এপ্রিল পূনরায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রশাসন। যার শেষ সময় ১৭ এপ্রিল। এরই মধ্যে বাংলা সনের নতুন বছর আসায় বাজারগুলোর হাসিল আদায় করবে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বেতগাড়ী হাটের ইজারা হয়নি এখনো। টেন্ডারের কাজ চলমান। আপাতত হাসিল আদায়ের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে তহশিলদারকে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
সে অনুযায়ী তহশিলদার সকল কর্যক্রম পরিচালনা করবে। সেক্ষেত্রে তিনি কোন অনিয়ম করেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কি করছে তহশিলদার জানে। যদি এরকম কিছু হয়ে থাক তা তদন্ত করে দেখা হবে।