দামুড়হুদা : উপজেলার লোকনাথপুর হেলিপ্যাডে শুকানো হয় ভুট্টা -সংবাদ
বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্রুত জরুরি ব্যবস্থায় ত্রাণসামগ্রী দুর্গত এলাকায় আকাশ পথে প্রেরণের জন্য চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর এলাকায় সরকারি উদ্যেগে নির্মিতি হেলিপ্যাডটির বেহাল দশা। জাতীয় সম্পদ হেলিপ্যাড়টি আজ অবহেলায় আর অযতেœ এর জৌলুস দিন দিন নষ্ট হতে বসেছে। আর এই সুযোগে এলাকার লোকজন হেলিপ্যাডটি এখন ভুট্টা শুকানোর চাতাল হিসেবে ব্যাবহার করছে।
এলাকাবাসীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এ জনপদে ১৯৮৮ সালে বন্যার ভয়াবহতা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে। এই সময় মানুষের জীবন প্রবাহ একেবারে স্থবির হয়ে পড়ে। সর্বস্তরের মানুষের প্রাত্যাহিক জীবনে যে দুর্গতি নেমে আসে তা প্রায় বর্ণনাতীত। এ বন্যা প্রায় দেড় মাস স্থায়ী হয়ে ছিল। দেশ স্বাধীনতার পর যে কয়টি বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল তার মধ্যে ৮৮ সালের বন্যা সব চেয়ে ভয়াবহ হিসেবে পরিচিত। তৎকালীন সরকার এ জন পদের মানুষের মধ্যে আকাশ পথে দ্রুত এাণসামগ্রী দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিতে এ জনপদে দ্রুত হেলিপ্যাড নির্মান করে। উপজেলা পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় হাউলী ইউনিয়নের অধীন চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের লোকনাথপুর নামক স্থানে সড়ক সংলগ্ন এলাকায় ৩.২৪ শতক জমি ক্রয় করে হেলিপ্যাড নির্মাণ করে। এই হেলিপ্যাডে তৎকালীন ভয়াবহ বন্যার সময় হেলিকাপ্টার অবতরণ করে এলাকার দুর্গত মানুষের জন্য সরকারি ভাবে এাণ সমগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। এখান থেকে ত্রাণ সমগ্রী দুর্গত এলাকায় নিয়ে যাওযা হয়েছে সড়ক ও নৌকাযোগে। বন্যা চলাকালীন হেলিপ্যাডের নজরদারি ও বাড়তি যত্ন ছিল চোখে পড়ার মতো।
এখন হেলিপ্যাডটি একটি মহল দখল করে ভুট্টা শুকানোর চাতাল হিসেবে ব্যবহার করছে। স্থানীয় চাষিরা বিভিন্ন সময়ে ফসল মাড়াই ঝাড়াই করে। এখন কেউ পাট কাঠির গাদা আবার কেউ বিচলীর গাদা দিয়ে দখলে রাখে। আবার কেউ গরু ছাগলের গো চরণভূমি হিসেবে ব্যাবহার করছে।
দর্শনার নুরুল আলম বাকুসহ অনেকে বলেন, হাউলী ইউনিয়নের তৎকালীন মেম্বার ও হেলিপ্যাড প্রজেক্টের সভাপতি ছিলেন মৃত বখতিয়ার হোসেন। তৎকালীন সরকার এলাকায় বন্যার কারণে উপজেলায় জরুরিভাবে এই হেলিপ্যাড নির্মাণ করেছিল। হেলিকাপ্টার এলাকার বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সরকারিভাবে নানা প্রকার ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতো। হেলিপ্যাডটি এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অযত্ন আর অবহেলায় জৌলুস হারতে বসেছে।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আকাশ পথে জন্য ব্যাবহারিত এই হেলিপ্যাডটি জাতীয় সম্পদ। এই হেলিপ্যাডটি দীর্ঘ দিন অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে এর জৌলুস নষ্ট হতে চলেছে। জাতীয় সম্পদ সবাইকে রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাই এগিয়ে আসা উচিত। নচেৎ দিন দিন এটা ধ্বংসের দোর গোড়ায় এসে দাঁড়াবে।
দামুড়হুদা : উপজেলার লোকনাথপুর হেলিপ্যাডে শুকানো হয় ভুট্টা -সংবাদ
রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্রুত জরুরি ব্যবস্থায় ত্রাণসামগ্রী দুর্গত এলাকায় আকাশ পথে প্রেরণের জন্য চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর এলাকায় সরকারি উদ্যেগে নির্মিতি হেলিপ্যাডটির বেহাল দশা। জাতীয় সম্পদ হেলিপ্যাড়টি আজ অবহেলায় আর অযতেœ এর জৌলুস দিন দিন নষ্ট হতে বসেছে। আর এই সুযোগে এলাকার লোকজন হেলিপ্যাডটি এখন ভুট্টা শুকানোর চাতাল হিসেবে ব্যাবহার করছে।
এলাকাবাসীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এ জনপদে ১৯৮৮ সালে বন্যার ভয়াবহতা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে। এই সময় মানুষের জীবন প্রবাহ একেবারে স্থবির হয়ে পড়ে। সর্বস্তরের মানুষের প্রাত্যাহিক জীবনে যে দুর্গতি নেমে আসে তা প্রায় বর্ণনাতীত। এ বন্যা প্রায় দেড় মাস স্থায়ী হয়ে ছিল। দেশ স্বাধীনতার পর যে কয়টি বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল তার মধ্যে ৮৮ সালের বন্যা সব চেয়ে ভয়াবহ হিসেবে পরিচিত। তৎকালীন সরকার এ জন পদের মানুষের মধ্যে আকাশ পথে দ্রুত এাণসামগ্রী দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিতে এ জনপদে দ্রুত হেলিপ্যাড নির্মান করে। উপজেলা পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় হাউলী ইউনিয়নের অধীন চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের লোকনাথপুর নামক স্থানে সড়ক সংলগ্ন এলাকায় ৩.২৪ শতক জমি ক্রয় করে হেলিপ্যাড নির্মাণ করে। এই হেলিপ্যাডে তৎকালীন ভয়াবহ বন্যার সময় হেলিকাপ্টার অবতরণ করে এলাকার দুর্গত মানুষের জন্য সরকারি ভাবে এাণ সমগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। এখান থেকে ত্রাণ সমগ্রী দুর্গত এলাকায় নিয়ে যাওযা হয়েছে সড়ক ও নৌকাযোগে। বন্যা চলাকালীন হেলিপ্যাডের নজরদারি ও বাড়তি যত্ন ছিল চোখে পড়ার মতো।
এখন হেলিপ্যাডটি একটি মহল দখল করে ভুট্টা শুকানোর চাতাল হিসেবে ব্যবহার করছে। স্থানীয় চাষিরা বিভিন্ন সময়ে ফসল মাড়াই ঝাড়াই করে। এখন কেউ পাট কাঠির গাদা আবার কেউ বিচলীর গাদা দিয়ে দখলে রাখে। আবার কেউ গরু ছাগলের গো চরণভূমি হিসেবে ব্যাবহার করছে।
দর্শনার নুরুল আলম বাকুসহ অনেকে বলেন, হাউলী ইউনিয়নের তৎকালীন মেম্বার ও হেলিপ্যাড প্রজেক্টের সভাপতি ছিলেন মৃত বখতিয়ার হোসেন। তৎকালীন সরকার এলাকায় বন্যার কারণে উপজেলায় জরুরিভাবে এই হেলিপ্যাড নির্মাণ করেছিল। হেলিকাপ্টার এলাকার বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সরকারিভাবে নানা প্রকার ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতো। হেলিপ্যাডটি এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অযত্ন আর অবহেলায় জৌলুস হারতে বসেছে।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আকাশ পথে জন্য ব্যাবহারিত এই হেলিপ্যাডটি জাতীয় সম্পদ। এই হেলিপ্যাডটি দীর্ঘ দিন অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে এর জৌলুস নষ্ট হতে চলেছে। জাতীয় সম্পদ সবাইকে রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাই এগিয়ে আসা উচিত। নচেৎ দিন দিন এটা ধ্বংসের দোর গোড়ায় এসে দাঁড়াবে।