alt

জাতীয়

‘অত্যাচার করে নেয়া হয়েছিল পুলিশ হত্যার জবানবন্দি’

সেসব জবানবন্দি এখনও কেন প্রত্যাহার করা হয়নি

সংবাদ ডেস্ক রিপোর্ট : রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইলে এক পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার মামলায় যে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, সেগুলো ‘অত্যাচার করে’ আদায় করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সেসব জবানবন্দি এখনও কেন প্রত্যাহার করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা তরুণ হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের মুক্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ বা সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘৫০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর তখনকার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের আইজিপির সঙ্গে কথা বলে গত জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলো যেন ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের জানানো হয়েছিল, সব মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয়েছে, শুধু অল্প কিছু মামলা, যেগুলো হত্যা রিলেটেড, সেগুলো এখনও তদন্তাধীন।’

‘ফাইয়াজের মামলাটা এ রকম একটা মামলা যেখানে দুইজন আসামি ১৬৪ (ধারায়) স্টেটমেন্ট দিয়েছে; অর্থাৎ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আমি খবর নিয়ে জানলাম উনারা যদি স্টেটমেন্টটা প্রত্যাহার না করে, তাহলে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া খুবই দুষ্কর। এবং এটা সম্পূর্ণভাবে পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। ফাইনাল রিপোর্ট না দেয়া পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ মামলায় দুইজনের ১৬৪ ধারায়

জবানবন্দি আছে। আমি বিশ্বাস করি পুলিশ সেগুলো অত্যাচার করে আদায় করেছিল। এগুলো আট মাসেও কেন প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হলো না? আপনারা এগুলো কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করেন। সেটি আট মাসেও কেন প্রত্যাহার হয়নি সেটা সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন। এটা প্রত্যাহার হলে মামলাটি নিষ্পত্তির পথ সুগম হয়।’

তিনি বলেন, ‘হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের ভাইকে কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি। কেবল বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইল হাসপাতালের বিপরীত পাশে এক পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার মামলায় ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৬ নম্বর আসামি ফাইয়াজ।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ফাইয়াজের বয়স তখনও ১৮ হয়নি বলে তার আইনজীবীর ভাষ্য। জন্ম নিবন্ধন অনুসারে ফাইয়াজের জন্ম তারিখ ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল। ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সে ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ প্লাস পায়।

ছবি

র‍্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন

ছবি

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন: নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন দেখে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

ছবি

জুলাইয়ের দমন-পীড়নের ‘মাস্টারমাইন্ড ও হুকুমদাতা’ শেখ হাসিনা: ট্রাইব্যুনালের তদন্ত প্রতিবেদন

ছবি

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা

ছবি

দাবদাহ: ৭ পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বনশ্রীতে শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, গৃহকর্তা গ্রেপ্তার

এক যুগ পর ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া

নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম শক্ত হাতে দমন করা হবে -ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি

ছবি

পাথারিয়ায় বনভূমি দখল, জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ছবি

ঝিকরগাছা ও গুরুদাসপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, এক কর্মীর মৃত্যু

ছবি

২৫ মে পেট্রোল পাম্প মালিকদের কর্মবিরতির ঘোষণা

ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম তথ্য জানাতে রাডার স্টেশন চালু

ছবি

সারাদেশে গরম চরমে, অতিষ্ঠ মানুষ ও প্রাণিকুল

‘ট্রেড বাস্কেটে’ সর্বোচ্চ গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি

শেয়ারবাজারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পাঁচ নির্দেশনা

আ’লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত: সিইসি

নতুন সংবিধান প্রণয়নে ‘২ থেকে ৩ বছর সময় লাগতে পারে’: আইন উপদেষ্টা

ভারত-পাকিস্তান ‘যুদ্ধবিরতি’র স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয়

ছবি

গেজেট সংশোধন: ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হলে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিধান

ছবি

বিমানবন্দর ত্যাগের প্রক্রিয়া পর্যালোচনায় তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি

সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমন তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন

ছবি

সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তি ও সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত হচ্ছে

ছবি

পুঁজিবাজারে সরকারী মালিকানাধীন বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার কমানোর নির্দেশ

ছবি

৭২ সালের সংবিধানেই চলবে অন্তর্বর্তীকালীন সময়, বললেন আইন উপদেষ্টা

রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন, গেজেট প্রকাশ

ছবি

যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত, বিচার না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ

এখনও কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ, অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা

শ্রীপুরে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও শেষ হচ্ছে না খুলনার ১৮৩ সড়কের কাজ

ছবি

মরু অঞ্চলের দুম্বার খামার করে স্বাবলম্বী ভৈরবের সবুজ

ছবি

গাজীপুরে বাস থেকে ফেলে ছাত্র হত্যা, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

ছবি

সংগীতজ্ঞ মুস্তাফা জামান আব্বাসীর মৃত্যু

ছবি

শ্রীমঙ্গল, আখাউড়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত

ছবি

৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

tab

জাতীয়

‘অত্যাচার করে নেয়া হয়েছিল পুলিশ হত্যার জবানবন্দি’

সেসব জবানবন্দি এখনও কেন প্রত্যাহার করা হয়নি

সংবাদ ডেস্ক রিপোর্ট

রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইলে এক পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার মামলায় যে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, সেগুলো ‘অত্যাচার করে’ আদায় করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সেসব জবানবন্দি এখনও কেন প্রত্যাহার করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা তরুণ হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের মুক্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ বা সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘৫০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর তখনকার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের আইজিপির সঙ্গে কথা বলে গত জুলাই আন্দোলনের মামলাগুলো যেন ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের জানানো হয়েছিল, সব মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয়েছে, শুধু অল্প কিছু মামলা, যেগুলো হত্যা রিলেটেড, সেগুলো এখনও তদন্তাধীন।’

‘ফাইয়াজের মামলাটা এ রকম একটা মামলা যেখানে দুইজন আসামি ১৬৪ (ধারায়) স্টেটমেন্ট দিয়েছে; অর্থাৎ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আমি খবর নিয়ে জানলাম উনারা যদি স্টেটমেন্টটা প্রত্যাহার না করে, তাহলে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া খুবই দুষ্কর। এবং এটা সম্পূর্ণভাবে পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। ফাইনাল রিপোর্ট না দেয়া পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এ মামলায় দুইজনের ১৬৪ ধারায়

জবানবন্দি আছে। আমি বিশ্বাস করি পুলিশ সেগুলো অত্যাচার করে আদায় করেছিল। এগুলো আট মাসেও কেন প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হলো না? আপনারা এগুলো কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করেন। সেটি আট মাসেও কেন প্রত্যাহার হয়নি সেটা সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন। এটা প্রত্যাহার হলে মামলাটি নিষ্পত্তির পথ সুগম হয়।’

তিনি বলেন, ‘হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের ভাইকে কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি। কেবল বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইল হাসপাতালের বিপরীত পাশে এক পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার মামলায় ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৬ নম্বর আসামি ফাইয়াজ।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ফাইয়াজের বয়স তখনও ১৮ হয়নি বলে তার আইনজীবীর ভাষ্য। জন্ম নিবন্ধন অনুসারে ফাইয়াজের জন্ম তারিখ ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল। ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সে ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ প্লাস পায়।

back to top