উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য সূর্যমুখী লাভজনক ও সম্ভাবনাময় একটি ফসল। কারণ এটি মাটির লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সাতক্ষীরায় এ ফসলের চাষ করা হচ্ছে। তবে অঞ্চলটিতে গত মৌসুমের তুলনায় চলতি রবি মৌসুমে ভোজ্যতেল বীজটির আবাদ কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশ। সরকারের প্রণোদনায়ও বাড়ছে না সূর্যমুখী চাষ।
কৃষকরা বলছেন, উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ না থাকায় ফসলটি চাষ করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রণোদনা হিসেবে যে বীজ দেয়া হয় তা থেকে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে না। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, রবি মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় ১০৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। আগের বছরের একই সময় ফসলটি চাষ হয়েছিল ১৩৮ হেক্টর জমিতে। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে জেলায় সূর্যমুখীর আবাদযোগ্য জমি কমেছে ২৯ হেক্টর।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জাতপুর গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় কুমার জানান, তিনি চলতি রবি মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে হাইসান জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছেন। গত বছর একই জমিতে ফসলটি চাষ করে লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার আয় দেড় লাখ টাকা হতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক জানান, ফলন ভালো না হওয়ায় ফসলটি উৎপাদনে তারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। ভালো মানের বীজ পেলে চাষ লাভজনক হতে পারে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এবারের মৌসুমে সূর্যমুখীর আবাদ কমেছে। উৎপাদন বাড়াতে সাতক্ষীরার ৬০০ কৃষককে এক কেজি হারে টিএসএফ জাতের সূর্যমুখী বীজ দেয়া হয়েছে। বীজের পাশাপাশি ২০ কেজি করে দুই ধরনের সারও দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য সূর্যমুখী লাভজনক ও সম্ভাবনাময় একটি ফসল। কারণ এটি মাটির লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সাতক্ষীরায় এ ফসলের চাষ করা হচ্ছে। তবে অঞ্চলটিতে গত মৌসুমের তুলনায় চলতি রবি মৌসুমে ভোজ্যতেল বীজটির আবাদ কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশ। সরকারের প্রণোদনায়ও বাড়ছে না সূর্যমুখী চাষ।
কৃষকরা বলছেন, উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ না থাকায় ফসলটি চাষ করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রণোদনা হিসেবে যে বীজ দেয়া হয় তা থেকে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে না। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, রবি মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় ১০৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। আগের বছরের একই সময় ফসলটি চাষ হয়েছিল ১৩৮ হেক্টর জমিতে। এ হিসাবে চলতি মৌসুমে জেলায় সূর্যমুখীর আবাদযোগ্য জমি কমেছে ২৯ হেক্টর।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জাতপুর গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় কুমার জানান, তিনি চলতি রবি মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে হাইসান জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছেন। গত বছর একই জমিতে ফসলটি চাষ করে লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার আয় দেড় লাখ টাকা হতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক জানান, ফলন ভালো না হওয়ায় ফসলটি উৎপাদনে তারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। ভালো মানের বীজ পেলে চাষ লাভজনক হতে পারে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এবারের মৌসুমে সূর্যমুখীর আবাদ কমেছে। উৎপাদন বাড়াতে সাতক্ষীরার ৬০০ কৃষককে এক কেজি হারে টিএসএফ জাতের সূর্যমুখী বীজ দেয়া হয়েছে। বীজের পাশাপাশি ২০ কেজি করে দুই ধরনের সারও দেয়া হয়েছে।