দুদকের আকস্মিক অভিযান
বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বুধবার সকাল থেকেই ফাঁদ পেতে থাকে, পরে ১১টার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন দিনাজপুর জেলা সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খতিয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে সরেজমিন থেকে জানা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। এক্স-রে রিপোর্টের টাকাও আত্মসাৎ করে মনোরঞ্জন।
আবাসিক রোগীদের খাবারও দেয়া হয় নিম্নমানের চাল, দেশি মুরগির মাংসের দিন ব্রয়লার, মাছ ও মাংসের ওজনে কম দিচ্ছে ঠিকাদার। একই সঙ্গে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয় এ হাসপাতালটি। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে চিকিৎসাসেবা, খাবারের মান আরও উন্নত ও সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করার জন্য টিম কর্তৃক পরামর্শ প্রদান করা হয়।
দুদকের দিনাজপুর জেলা সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্যাথলজি বিভাগ ও এক্স-রে বিভাগে টেস্টের টাকা আলাদা খসড়া কাগজে তালিকা করে, পরে রেজিস্টার খাতায় মাত্র ৬ বা ৭ জনের নাম লেখে আর বাকি টাকা আত্মসাৎ করার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছি। হাসপাতালে খাবার মানে ঠিকাদারকে দৈনিক ১৭৫ টাকা করে দেয়ার কথা, সেই খাবার আমরা দেখেছি ২৮ চালের ভাত দেয়ার কথা। সেখানে মোটা চাল দিচ্ছেন।
আমরা রিপোর্টপত্র পেলে এ তদন্তের আলোকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করবো। আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে যে ব্যবস্থার কথা বলা হবে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা যে সব খসড়াগুলো করে, সে সব কাগজপত্র ও নথি আমরা নিয়েছি। এক্স-রে বিভাগে ১ জন, অ্যাকাউন্টেন্টের কিছু অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলোকে পর্যালোচনা করে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফরোজ লুনা বলেন, এসব বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে জানানো হবে, তিনি পদক্ষেপ নিবেন।
দুদকের আকস্মিক অভিযান
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বুধবার সকাল থেকেই ফাঁদ পেতে থাকে, পরে ১১টার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন দিনাজপুর জেলা সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খতিয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে সরেজমিন থেকে জানা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। এক্স-রে রিপোর্টের টাকাও আত্মসাৎ করে মনোরঞ্জন।
আবাসিক রোগীদের খাবারও দেয়া হয় নিম্নমানের চাল, দেশি মুরগির মাংসের দিন ব্রয়লার, মাছ ও মাংসের ওজনে কম দিচ্ছে ঠিকাদার। একই সঙ্গে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয় এ হাসপাতালটি। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে চিকিৎসাসেবা, খাবারের মান আরও উন্নত ও সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করার জন্য টিম কর্তৃক পরামর্শ প্রদান করা হয়।
দুদকের দিনাজপুর জেলা সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্যাথলজি বিভাগ ও এক্স-রে বিভাগে টেস্টের টাকা আলাদা খসড়া কাগজে তালিকা করে, পরে রেজিস্টার খাতায় মাত্র ৬ বা ৭ জনের নাম লেখে আর বাকি টাকা আত্মসাৎ করার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছি। হাসপাতালে খাবার মানে ঠিকাদারকে দৈনিক ১৭৫ টাকা করে দেয়ার কথা, সেই খাবার আমরা দেখেছি ২৮ চালের ভাত দেয়ার কথা। সেখানে মোটা চাল দিচ্ছেন।
আমরা রিপোর্টপত্র পেলে এ তদন্তের আলোকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করবো। আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে যে ব্যবস্থার কথা বলা হবে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা যে সব খসড়াগুলো করে, সে সব কাগজপত্র ও নথি আমরা নিয়েছি। এক্স-রে বিভাগে ১ জন, অ্যাকাউন্টেন্টের কিছু অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলোকে পর্যালোচনা করে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফরোজ লুনা বলেন, এসব বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে জানানো হবে, তিনি পদক্ষেপ নিবেন।