সিরাজগঞ্জ : যমুনার পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙন শুরু। ছবিটি ভঅটপিয়ারি এলাকা থেকে তোলা -সংবাদ
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামে বর্ষা মৌসুমের আগেই যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিলীন হচ্ছে এলাকার ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, গাছপালা, মসজিদ, মাদ্রসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এতে দুশ্চিন্তায় আছেন নদী পাড়ের মানুষ। ভাঙনরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি নদী বরাবর একটি ক্রসবার বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসি।
সরেজমিন জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমেই আকস্মিকভাবে ভাঙছে যমুনা নদী। নদীতে পানি বাড়তেও শুরু করেছে। আর সেই সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে আবারও নতুন করে ভাঙ্গন। নদীর পশ্চিম পাড়ে দেখা দিয়েছে এই ভাঙন। ভাটপিয়ারী গ্রামে যমুনা নদীর পূর্ব দিকে চর জেগে উঠায় নদীর ক্যানেল সৃষ্টি হয়ে পানির স্রোত আঘাত হানছে পশ্চিম পাড়ে। ফলে নদীর পশ্চিম পাড়ের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।গত এক সপ্তাহের ভাঙনে বেশ কিছু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এরই মধ্যে ভাঙনে নদী এখন পশ্চিম তীর রক্ষাবাঁধের কাছে এসে পড়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, এই ভাঙন অব্যাহত থাকলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক হুমকির মুখে পড়বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা ভাটপিয়ারী, শিমলা, পাঁচ ঠাকুরিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি ঘরবাড়ী, গাছপালা, মসজিদ, মাদ্রসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দা আসলাম উদ্দিন, সোরহাব আলী জানান, শুষ্ক মৌসুমে ড্রেজার লাগিয়ে বালু কেটে উত্তোলন এবং বিক্রি করেছে। আজ সেই বালু কাটার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে ভাঙনের কবলে পড়ে। কৃষক মহসিন নামে জানায় ভুট্টা, আখ, কলাই, বাদামসহ বিভিন্ন উফতি ফসলের জমি গত ১ সপ্তাহে বিলীন হয়েছে। চিন্তায় আছি এখন আরো পানি বাড়লে কী হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোকলেছুর রহমান জানান, এরই মধ্যে ভাঙনরোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, ভাঙনকবলিত ভাটপিয়ারী কাজিপুরের মেঘাই এলাকায় বাল্কহেড দিয়ে বালি এনে জিও ব্যাগে ডাম্পিং করা হচ্ছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই ভাঙনরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি ।
সিরাজগঞ্জ : যমুনার পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙন শুরু। ছবিটি ভঅটপিয়ারি এলাকা থেকে তোলা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামে বর্ষা মৌসুমের আগেই যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিলীন হচ্ছে এলাকার ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, গাছপালা, মসজিদ, মাদ্রসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এতে দুশ্চিন্তায় আছেন নদী পাড়ের মানুষ। ভাঙনরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি নদী বরাবর একটি ক্রসবার বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসি।
সরেজমিন জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমেই আকস্মিকভাবে ভাঙছে যমুনা নদী। নদীতে পানি বাড়তেও শুরু করেছে। আর সেই সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে আবারও নতুন করে ভাঙ্গন। নদীর পশ্চিম পাড়ে দেখা দিয়েছে এই ভাঙন। ভাটপিয়ারী গ্রামে যমুনা নদীর পূর্ব দিকে চর জেগে উঠায় নদীর ক্যানেল সৃষ্টি হয়ে পানির স্রোত আঘাত হানছে পশ্চিম পাড়ে। ফলে নদীর পশ্চিম পাড়ের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।গত এক সপ্তাহের ভাঙনে বেশ কিছু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এরই মধ্যে ভাঙনে নদী এখন পশ্চিম তীর রক্ষাবাঁধের কাছে এসে পড়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, এই ভাঙন অব্যাহত থাকলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক হুমকির মুখে পড়বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা ভাটপিয়ারী, শিমলা, পাঁচ ঠাকুরিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি ঘরবাড়ী, গাছপালা, মসজিদ, মাদ্রসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দা আসলাম উদ্দিন, সোরহাব আলী জানান, শুষ্ক মৌসুমে ড্রেজার লাগিয়ে বালু কেটে উত্তোলন এবং বিক্রি করেছে। আজ সেই বালু কাটার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে ভাঙনের কবলে পড়ে। কৃষক মহসিন নামে জানায় ভুট্টা, আখ, কলাই, বাদামসহ বিভিন্ন উফতি ফসলের জমি গত ১ সপ্তাহে বিলীন হয়েছে। চিন্তায় আছি এখন আরো পানি বাড়লে কী হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোকলেছুর রহমান জানান, এরই মধ্যে ভাঙনরোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, ভাঙনকবলিত ভাটপিয়ারী কাজিপুরের মেঘাই এলাকায় বাল্কহেড দিয়ে বালি এনে জিও ব্যাগে ডাম্পিং করা হচ্ছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই ভাঙনরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি ।