গণঅভ্যৃত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রায় ২৫ বছর আগে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ) জানিয়েছে, ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনাকে তারা যে ডক্টর অব লজ ডিগ্রি দিয়েছিল, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি কমিটি পর্যালোচনা করছে।
অস্ট্রেলিয়ার দৈনিক ক্যানবেরা টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে-শেখ হাসিনাকে দেয়া সম্মানসূচক ডিগ্রি তারা কেড়ে নেবে কিনা।
ডিগ্রি বাতিলের মতো ঘটনা এএনইউ এর ইতিহাসে আর ঘটেনি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে কাজ করছে। পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
সেই আন্দোলন দমাতে শেখ হাসিনা সরকারের চালানো নিপীড়ন ও হত্যার ঘটনাগুলোকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচারের উদ্যোগ নেয় অন্তবর্তী সরকার।
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে বড় আকারের অভিযানগুলোতে প্রাণহানির ঘটনাগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘নির্দেশনা ও তদারকিতে’ সংঘটিত হয়েছিল। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী মতের শত শত কর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন, গুম ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে।
এছাড়া গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ এখন সামনে আসছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্নীতির বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। তিন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
অর্থ-বাণিজ্য: নির্বাচনের প্রার্থীদের জন্য শনিবার সব ব্যাংক খোলা থাকবে