বাবা-শব্দটি মানেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। সন্তানের সুখের জন্য বাবা যে কতো কিছু করতে পারেন, তার এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার কৃষক মোহাম্মদ তাহির মিয়া। মৃত্যুর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেকে নতুন জীবন দিতে নিজের একটি কিডনি দান করেছেন কৃষক তাহির। তিনি বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়নের নয়া পাথাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ তাহির মিয়া। মোহাম্মদ অনিক তার ছেলে।গত বুধবার রাতে ঢাকা কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
হাসপাতালে থাকা অনিকের দুলাভাই মুসাউল আলম জানান, অনিক হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী এলাকায় বাসায় থেকে জেকে এন্ডএইচকে হাই স্কুল এন্ড কলেজে লেখাপড়া করত। প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকায় ৯ম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। মা না থাকায় পরিবারের কেউ তার অসুস্থতার বুঝতে পারেনি। সেও কাউকে কিছু বলত না।
সাত মাস আগে অনিকের প্রচণ্ড জ্বর হলে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি জানান, ডাক্তার বলেন, তার কিডনিতে সমস্যা। দ্রুত ঢাকা অথবা সিলেট নিতে হবে। পরে তাকে ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেয়া হয় তারপর চিকিৎসা চলে। সৌদি আরবে থাকা ভাই ইকবাল মাহমুদ ও ফ্রান্সে থাকা ভাই আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ লিমন টাকার ব্যবস্থা করেন।
ডাক্তাররা জানান, অনিকের দুটি কিডনি নষ্ট। কিডনি বদলানোর পরামর্শ দিলে বাবা তাহির কিডনি দিতে এগিয়ে আসেন। কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হারুনুর রশীদের তত্ত্বাবধানে গত বুধবার পিজি হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক খুর্শেদ আলম সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন করেন।
তিনি আরও জানান, অপারেশনে চার লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ৫ মাসে আরও ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তাহিরকে এক সপ্তাহ এবং অনিককে দুই সপ্তাহ আইসিইউতে থাকতে হবে। বাবা সন্তানকে কিডনি দিয়ে এবং প্রবাস থেকে দুই ভাই টাকা দিয়ে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
এদিকে বৃদ্ধ বয়সে জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ছেলেকে নিজের কিডনি দান করার মতো ত্যাগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজের লোকজন। তারা বলেন, এটি শুধু ছেলেকে বাবার কিডনি দেয়া নয়, বর্তমান যুগে একটি অনন্য নজির। যা আমাদের এই সমাজে বাবা, সন্তান ও পরিবারের মধ্যে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
বাবা-শব্দটি মানেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। সন্তানের সুখের জন্য বাবা যে কতো কিছু করতে পারেন, তার এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার কৃষক মোহাম্মদ তাহির মিয়া। মৃত্যুর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেকে নতুন জীবন দিতে নিজের একটি কিডনি দান করেছেন কৃষক তাহির। তিনি বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়নের নয়া পাথাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ তাহির মিয়া। মোহাম্মদ অনিক তার ছেলে।গত বুধবার রাতে ঢাকা কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
হাসপাতালে থাকা অনিকের দুলাভাই মুসাউল আলম জানান, অনিক হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী এলাকায় বাসায় থেকে জেকে এন্ডএইচকে হাই স্কুল এন্ড কলেজে লেখাপড়া করত। প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকায় ৯ম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। মা না থাকায় পরিবারের কেউ তার অসুস্থতার বুঝতে পারেনি। সেও কাউকে কিছু বলত না।
সাত মাস আগে অনিকের প্রচণ্ড জ্বর হলে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি জানান, ডাক্তার বলেন, তার কিডনিতে সমস্যা। দ্রুত ঢাকা অথবা সিলেট নিতে হবে। পরে তাকে ঢাকার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেয়া হয় তারপর চিকিৎসা চলে। সৌদি আরবে থাকা ভাই ইকবাল মাহমুদ ও ফ্রান্সে থাকা ভাই আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ লিমন টাকার ব্যবস্থা করেন।
ডাক্তাররা জানান, অনিকের দুটি কিডনি নষ্ট। কিডনি বদলানোর পরামর্শ দিলে বাবা তাহির কিডনি দিতে এগিয়ে আসেন। কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হারুনুর রশীদের তত্ত্বাবধানে গত বুধবার পিজি হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক খুর্শেদ আলম সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন করেন।
তিনি আরও জানান, অপারেশনে চার লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ৫ মাসে আরও ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তাহিরকে এক সপ্তাহ এবং অনিককে দুই সপ্তাহ আইসিইউতে থাকতে হবে। বাবা সন্তানকে কিডনি দিয়ে এবং প্রবাস থেকে দুই ভাই টাকা দিয়ে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
এদিকে বৃদ্ধ বয়সে জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ছেলেকে নিজের কিডনি দান করার মতো ত্যাগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজের লোকজন। তারা বলেন, এটি শুধু ছেলেকে বাবার কিডনি দেয়া নয়, বর্তমান যুগে একটি অনন্য নজির। যা আমাদের এই সমাজে বাবা, সন্তান ও পরিবারের মধ্যে উদাহরণ হয়ে থাকবে।