মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ চলে। বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই বিরোধ দীর্ঘদিনের। একপক্ষে রয়েছেন ইমামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম, আর অপরপক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সাজেদুল ইসলাম ওরফে লালু ও মো. সৈকত হাসান। মূল বিরোধের উৎস মেঘনা নদীর বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানীয় আধিপত্য।
গত চার মাসে দুই পক্ষ ছয়বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সর্বশেষ ৬ এপ্রিলের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগপন্থী আল আমিন ও রেনু মিয়া আহত হন। মামলায় অভিযুক্ত আমিরুলপন্থীরা সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাজেদুল ও সৈকতপন্থীরা বাড়িতে ফিরতে গেলে আমিরুলপন্থীদের বাধার মুখে পড়েন। এরপর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পাল্টাপাল্টি গুলি, ককটেল ও হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। গুজব রটে—আমিরুলপন্থী হৃদয় নিহত হয়েছেন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উভয় পক্ষ একে অপরের বাড়িতে হামলা চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোলাগুলির শব্দে পুরো এলাকা থমথমে হয়ে পড়ে। আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। অনেকের মতে, যদি দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না আসে, বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।
একপক্ষের নেতা সৈকত হাসান অভিযোগ করেন, তাঁদের বাড়ি ফিরতে দেখে আমিরুল ও তাঁর ছেলে সুমনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। অন্যদিকে, আমিরুলপন্থীদের দাবি, সাজেদুল ও তাঁর লোকজন চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা দেওয়ার পরও হামলা চালায়।
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল আলম বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি, তবে শান্তি রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ চলে। বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই বিরোধ দীর্ঘদিনের। একপক্ষে রয়েছেন ইমামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম, আর অপরপক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সাজেদুল ইসলাম ওরফে লালু ও মো. সৈকত হাসান। মূল বিরোধের উৎস মেঘনা নদীর বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানীয় আধিপত্য।
গত চার মাসে দুই পক্ষ ছয়বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সর্বশেষ ৬ এপ্রিলের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগপন্থী আল আমিন ও রেনু মিয়া আহত হন। মামলায় অভিযুক্ত আমিরুলপন্থীরা সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাজেদুল ও সৈকতপন্থীরা বাড়িতে ফিরতে গেলে আমিরুলপন্থীদের বাধার মুখে পড়েন। এরপর দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পাল্টাপাল্টি গুলি, ককটেল ও হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। গুজব রটে—আমিরুলপন্থী হৃদয় নিহত হয়েছেন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উভয় পক্ষ একে অপরের বাড়িতে হামলা চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোলাগুলির শব্দে পুরো এলাকা থমথমে হয়ে পড়ে। আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। অনেকের মতে, যদি দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না আসে, বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।
একপক্ষের নেতা সৈকত হাসান অভিযোগ করেন, তাঁদের বাড়ি ফিরতে দেখে আমিরুল ও তাঁর ছেলে সুমনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। অন্যদিকে, আমিরুলপন্থীদের দাবি, সাজেদুল ও তাঁর লোকজন চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা দেওয়ার পরও হামলা চালায়।
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল আলম বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি, তবে শান্তি রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”