alt

সম্পাদকীয়

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

: শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাকশ্রমিক। আহত ও পঙ্গু হয়েছিলেন কয়েক হাজার। শ্রমজীবী মানুষের ওপর দেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ এই শিল্প দুর্ঘটনার ১২ বছর পার হয়ে গেলেও আজও শেষ হয়নি বিচার। মেলেনি সঠিক ক্ষতিপূরণ বা পূর্ণ পুনর্বাসন। আজও রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে কান্না শোনা যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের।

এক যুগেও মামলার বিচার শেষ না হওয়া দেশের বিচারব্যবস্থার শ্লথগতি ও প্রশাসনিক অবহেলার একটি উদাহরণ। হত্যা মামলায় ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়েছে। ইমারত বিধি লঙ্ঘনের মামলার চিত্র আরও করুণ। এক দশকেও সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি। এই বিলম্ব ন্যায়বিচারের ধারণার পরিপন্থি।

ধীরগতির বিচার প্রক্রিয়া শুধু ভুক্তভোগীদের মনে ক্ষোভই সৃষ্টি করেনি, বরং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতি প্রশ্ন তুলেছে। পাবলিক প্রসিকিউটররা বিগত সরকারের অবহেলাকে দায়ী করলেও, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।

অনেক আসামি জামিনে বা পলাতক, ফলে অপরাধীরা আজও আইনের ঊর্ধ্বে থেকে গেছে। আহত ও নিহত শ্রমিকদের পরিবার, যাদের জীবন থমকে গেছে সেদিনের ধ্বংসস্তূপে, তাদের অনেকেই এখনও সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ কিংবা পুনর্বাসনের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।

এই দুর্ঘটনার পর দেশ-বিদেশে তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনা ও উদ্যোগ দেখা গেলেও বাস্তবে এর প্রভাব খুবই সীমিত। কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা চাপ প্রয়োগ করলেও শ্রমিকদের জীবনমান ও নিরাপত্তায় কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আজও দৃশ্যমান নয়। তৈরি পোশাক শিল্পে আজও আছে অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তাহীনতা ও নিয়োগকর্তার একচ্ছত্র দাপট।

আমরা বলতে চাই, এই ঘটনার বিচার দ্রুত শেষ হওয়া উচিত। একইসঙ্গে যেসব পরিবার ক্ষতিপূরণ পাননি বা পুনর্বাসনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের বিষয়েও অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাকশ্রমিক। আহত ও পঙ্গু হয়েছিলেন কয়েক হাজার। শ্রমজীবী মানুষের ওপর দেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ এই শিল্প দুর্ঘটনার ১২ বছর পার হয়ে গেলেও আজও শেষ হয়নি বিচার। মেলেনি সঠিক ক্ষতিপূরণ বা পূর্ণ পুনর্বাসন। আজও রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে কান্না শোনা যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের।

এক যুগেও মামলার বিচার শেষ না হওয়া দেশের বিচারব্যবস্থার শ্লথগতি ও প্রশাসনিক অবহেলার একটি উদাহরণ। হত্যা মামলায় ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়েছে। ইমারত বিধি লঙ্ঘনের মামলার চিত্র আরও করুণ। এক দশকেও সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি। এই বিলম্ব ন্যায়বিচারের ধারণার পরিপন্থি।

ধীরগতির বিচার প্রক্রিয়া শুধু ভুক্তভোগীদের মনে ক্ষোভই সৃষ্টি করেনি, বরং শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতি প্রশ্ন তুলেছে। পাবলিক প্রসিকিউটররা বিগত সরকারের অবহেলাকে দায়ী করলেও, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।

অনেক আসামি জামিনে বা পলাতক, ফলে অপরাধীরা আজও আইনের ঊর্ধ্বে থেকে গেছে। আহত ও নিহত শ্রমিকদের পরিবার, যাদের জীবন থমকে গেছে সেদিনের ধ্বংসস্তূপে, তাদের অনেকেই এখনও সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ কিংবা পুনর্বাসনের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।

এই দুর্ঘটনার পর দেশ-বিদেশে তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনা ও উদ্যোগ দেখা গেলেও বাস্তবে এর প্রভাব খুবই সীমিত। কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা চাপ প্রয়োগ করলেও শ্রমিকদের জীবনমান ও নিরাপত্তায় কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আজও দৃশ্যমান নয়। তৈরি পোশাক শিল্পে আজও আছে অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তাহীনতা ও নিয়োগকর্তার একচ্ছত্র দাপট।

আমরা বলতে চাই, এই ঘটনার বিচার দ্রুত শেষ হওয়া উচিত। একইসঙ্গে যেসব পরিবার ক্ষতিপূরণ পাননি বা পুনর্বাসনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের বিষয়েও অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

back to top