বাণিজ্যিকভাবে হাইব্রিড ধান বীজ উৎপাদন শুরু হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলায়। এবছর উপজেলায় ৭৫০ একর জমিতে চীনা জাতের ঋ১ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ হয়েছে যা থেকে ৭০০ টন বীজ ধান পাওয়া যাবে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিস। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, কৃষিবিদ সাজ্জাদ হোসাইন তুলিপ চীনা জাতের ঋ১ বোরো হাইব্রিড বীজ ধান নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে তিনি কৃষিবিদ গ্রুপের সহযোগিতায় নালিতাবাড়ি সদর ইউনিয়নের খালভাঙা গ্রামে ৩৩ একর জমিতে ঋ১ বোরো হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ করেছেন। কৃষিবিদ তুলিপ জানান, জমি লিজ, বীজ ধান ক্রয়, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং শ্রমিক খরচসহ সব মিলিয়ে একরে মোট খরচ পড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হায় তাহলে সব খরচ বাদ দিয়ে একর প্রতি তার লাভ হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এদিকে ২০২৪ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ম বারের এত পরীক্ষামূলকভাবে হাইব্রিড বীজ ধান উৎপাদন শুরু হয় বলে নালিতাবাড়ি উপজেলা কৃষি অফিস জানায়। বাম্পার ফলন হওয়ায় চলতি বছর ব্যক্তি উদ্যোগ ছাড়াও কৃষিবিদ গ্রুপ, ইস্পাহানী, সিনজেনটা, মদীনা সিডসহ আরও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই বোরো হাইব্রিড জাতের বীজ ধানের চাষ করেছে। এই জাতের ধান গাছে তুলনামূলক রোগবালাই অনেক কম। তাই অন্যান্য হাইব্রিড জাতের ধানের তুলনায় চীনা ঋ১ বোরো হাইব্রিড জাতের বীজ ধানে একরে গড় ফলন ১ হাজার কেজিরও বেশি। এ ছাড়া সাধারণ চাষে এই ধানে একরে গড় ফলন ১১০ থেকে ১২০ মণ। স্থানীয় কৃষক ছামেদুল হক অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানান যে, আমাদের নিজ এলাকায় হাইব্রিড ধানের বীজ উৎপাদন হচ্ছে। আমরা আগামী বছর এই হাইব্রিড ধান চাষ করব। কৃষি শ্রমিকরা জানান, ধান বীজ উৎপাদনের জমিতে আমরা প্রতিদিন ৭ জন শ্রমিক কাজ করি। সামনের বছর যদি আরও অধিক জমিতে এই হাইব্রিড বীজ ধানের চাষ হয় তাহলে গ্রামের অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, এক সময় এই হাইব্রিড বীজ ধান বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এখন উন্নত জাতের হাইব্রিড বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। তাই আমদানি নির্ভরতা কমাতে অন্যান্য জেলার মত শেরপুরে চীনা ঋ১ বোরো হাইব্রিড জাতের বীজ ধান উৎপাদন শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, স্থানীয় কৃষক ছাড়াও শেরপুরে হাইব্রিড বীজ ধান উৎপাদনে আগ্রহী বেসরকারি নামকরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস বীজ ধান উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ন্যায্যমূল্যে রাসায়নিক সার ও সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণে কাজ করছে।
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
বাণিজ্যিকভাবে হাইব্রিড ধান বীজ উৎপাদন শুরু হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলায়। এবছর উপজেলায় ৭৫০ একর জমিতে চীনা জাতের ঋ১ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ হয়েছে যা থেকে ৭০০ টন বীজ ধান পাওয়া যাবে বলে জানায় উপজেলা কৃষি অফিস। জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, কৃষিবিদ সাজ্জাদ হোসাইন তুলিপ চীনা জাতের ঋ১ বোরো হাইব্রিড বীজ ধান নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে তিনি কৃষিবিদ গ্রুপের সহযোগিতায় নালিতাবাড়ি সদর ইউনিয়নের খালভাঙা গ্রামে ৩৩ একর জমিতে ঋ১ বোরো হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ করেছেন। কৃষিবিদ তুলিপ জানান, জমি লিজ, বীজ ধান ক্রয়, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং শ্রমিক খরচসহ সব মিলিয়ে একরে মোট খরচ পড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হায় তাহলে সব খরচ বাদ দিয়ে একর প্রতি তার লাভ হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এদিকে ২০২৪ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ম বারের এত পরীক্ষামূলকভাবে হাইব্রিড বীজ ধান উৎপাদন শুরু হয় বলে নালিতাবাড়ি উপজেলা কৃষি অফিস জানায়। বাম্পার ফলন হওয়ায় চলতি বছর ব্যক্তি উদ্যোগ ছাড়াও কৃষিবিদ গ্রুপ, ইস্পাহানী, সিনজেনটা, মদীনা সিডসহ আরও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই বোরো হাইব্রিড জাতের বীজ ধানের চাষ করেছে। এই জাতের ধান গাছে তুলনামূলক রোগবালাই অনেক কম। তাই অন্যান্য হাইব্রিড জাতের ধানের তুলনায় চীনা ঋ১ বোরো হাইব্রিড জাতের বীজ ধানে একরে গড় ফলন ১ হাজার কেজিরও বেশি। এ ছাড়া সাধারণ চাষে এই ধানে একরে গড় ফলন ১১০ থেকে ১২০ মণ। স্থানীয় কৃষক ছামেদুল হক অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানান যে, আমাদের নিজ এলাকায় হাইব্রিড ধানের বীজ উৎপাদন হচ্ছে। আমরা আগামী বছর এই হাইব্রিড ধান চাষ করব। কৃষি শ্রমিকরা জানান, ধান বীজ উৎপাদনের জমিতে আমরা প্রতিদিন ৭ জন শ্রমিক কাজ করি। সামনের বছর যদি আরও অধিক জমিতে এই হাইব্রিড বীজ ধানের চাষ হয় তাহলে গ্রামের অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, এক সময় এই হাইব্রিড বীজ ধান বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এখন উন্নত জাতের হাইব্রিড বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। তাই আমদানি নির্ভরতা কমাতে অন্যান্য জেলার মত শেরপুরে চীনা ঋ১ বোরো হাইব্রিড জাতের বীজ ধান উৎপাদন শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, স্থানীয় কৃষক ছাড়াও শেরপুরে হাইব্রিড বীজ ধান উৎপাদনে আগ্রহী বেসরকারি নামকরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস বীজ ধান উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ন্যায্যমূল্যে রাসায়নিক সার ও সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণে কাজ করছে।