কুমিল্লার তিতাসের মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশকে ঘিরে দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সভাপতি প্রার্থী মাজেদুল ইসলামের গাড়ী বহরে হামলা করে অপর প্রার্থী আক্তার বেপারীর সমর্থকরা। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার মোহনপুর-উজিরাকান্দি ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়া তার ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া পোস্টে লিখেন, “আজকের মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে তিতাস উপজেলা যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, জাসাসের সকল নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থেকে কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য আহ্বান করছি, যে কোনো প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করব ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরো লিখেছেন-”বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, কোনো প্রার্থী মোটরসাইকেল মহড়া দিতে পারবেন না, দিলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রার্থী অবশ্যই ওয়ার্ড কমিটির সদস্য থাকতে হবে। আগে পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রার্থী নিজ এলাকার ভোটার হতে হবে।”
হামলার বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বলেন, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়ম করেছে মাজেদুল ইসলাম মন্টু।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা উপেক্ষা করে, গঠিত আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামতের মূল্যায়ন না করে এবং সদস্য সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম মন্টু তার একক ক্ষমতাবলে স্বজনপ্রীতি, একই পরিবারে একাধিক সদস্য, আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করাসহ নানা অনিয়ম করেছেন বলেও তারা জানান।সেই থেকেই ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ আক্তার বেপারীর সাথে মিলে তার উপস্থিতিতেই হামলার ঘটনা ঘটায়।
মাজেদুল ইসলাম মন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্তার বেপারীর নেতৃত্বে আমার গাড়ী থামিয়ে হামলা করে। আমার গাড়ী ভাংচুর করে এবং আমার লোকজনকে ধরে নিয়ে অনেক মারধর করে। এখন মামলা থেকে বাঁচতে বহিরাগত এনেছি অপবাদ দিচ্ছে। অথচ এরা সবাই দলীয় লোক। তবে এর আগেও নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিল নিয়ে আসমানিয়া বাজারে এবং কলাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিল নিয়ে মাছিমপুর গ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি) শহিদ উল্যাহ বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হলেও তাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
কুমিল্লার তিতাসের মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশকে ঘিরে দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সভাপতি প্রার্থী মাজেদুল ইসলামের গাড়ী বহরে হামলা করে অপর প্রার্থী আক্তার বেপারীর সমর্থকরা। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার মোহনপুর-উজিরাকান্দি ব্রিজের পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়া তার ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া পোস্টে লিখেন, “আজকের মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে তিতাস উপজেলা যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, জাসাসের সকল নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থেকে কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য আহ্বান করছি, যে কোনো প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করব ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরো লিখেছেন-”বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, কোনো প্রার্থী মোটরসাইকেল মহড়া দিতে পারবেন না, দিলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রার্থী অবশ্যই ওয়ার্ড কমিটির সদস্য থাকতে হবে। আগে পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রার্থী নিজ এলাকার ভোটার হতে হবে।”
হামলার বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বলেন, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়ম করেছে মাজেদুল ইসলাম মন্টু।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা উপেক্ষা করে, গঠিত আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামতের মূল্যায়ন না করে এবং সদস্য সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম মন্টু তার একক ক্ষমতাবলে স্বজনপ্রীতি, একই পরিবারে একাধিক সদস্য, আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করাসহ নানা অনিয়ম করেছেন বলেও তারা জানান।সেই থেকেই ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ আক্তার বেপারীর সাথে মিলে তার উপস্থিতিতেই হামলার ঘটনা ঘটায়।
মাজেদুল ইসলাম মন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্তার বেপারীর নেতৃত্বে আমার গাড়ী থামিয়ে হামলা করে। আমার গাড়ী ভাংচুর করে এবং আমার লোকজনকে ধরে নিয়ে অনেক মারধর করে। এখন মামলা থেকে বাঁচতে বহিরাগত এনেছি অপবাদ দিচ্ছে। অথচ এরা সবাই দলীয় লোক। তবে এর আগেও নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিল নিয়ে আসমানিয়া বাজারে এবং কলাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিল নিয়ে মাছিমপুর গ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি) শহিদ উল্যাহ বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হলেও তাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।