কালের বিবর্তনে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আগের এত পাওয়া যায় না বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পুকুর, নালা, ডোবা, খাল ও বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এসব মাছ দিনদিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এক সময় শৌল, টাকি, গজাল, পাপদা, পুঁটি, শিং, মাগুর, ভাটা, সরপুটি, বাইন, ফলি, ভ্যাদি, গুইঙ্গা, খইলশা, বাইলা, বোয়াল, মটকা চিংড়ি, মলেন্দাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ খুব সহজে পাওয়া যেত।
বাড়ির পাশে পুকুর, ডোবা ও নালায় ঝাকি জাল দিয়ে এসব মাছ ধরা হত। তিন বেলাই মাছ-ভাত খেত বাঙালিরা। এখন আর এসব দেশী মাছ পাওয়া যায়না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এক দিকে মাছের চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে ভরাট হয়ে যাচ্ছে জলাশয়। এ ছাড়া অধিক ফলনের আশায় জমিতে নানা ধরনের কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করায়, এসব মাছ মরে যায়। বংশ বিস্তার হয় না। তারপরেও শহর কিংবা গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে মাঝে মধ্যে এসব মাছ পাওয়া গেলে সরবরাহ খুবই কম।
সুঠাম শরীর গঠনের জন্য এসব মাছের ভূমিকা অপরিহার্য। চুনারুঘাট পৌরসভার বড়াইল গ্রামের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ কাছন শীল বলেন, ছোট কালে নদী-নালায় মাছ ধরতে ধরতে বড় হয়েছি। অমাবস্যা-পূর্ণিমায় বাড়ির পাশে খোয়াই নদীর পানির জোয়ারে বোয়াল, শৌল, বাইন আরও কত কৈ মাছ ধরতাম। এখন আর এসব মাছ আর পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার (অ.দা.) মো. নুরে আলম সিদ্দিকি দৈনিক সংবাদকে বলেন, আমাদের দেশীয় এসব মাছ টিকিয়ে রাখতে হলে, পুকুর, ডোবা, নালা ভড়াট বন্ধ করে, মজা পুকুরগুলো খনন করে মাছ অবমুক্ত করতে হবে। ক্ষেতে খামারে অধিক কীটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে একদিন এসব মাছ পুরোপুরি বিলুপ্তি হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
কালের বিবর্তনে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আগের এত পাওয়া যায় না বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পুকুর, নালা, ডোবা, খাল ও বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এসব মাছ দিনদিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এক সময় শৌল, টাকি, গজাল, পাপদা, পুঁটি, শিং, মাগুর, ভাটা, সরপুটি, বাইন, ফলি, ভ্যাদি, গুইঙ্গা, খইলশা, বাইলা, বোয়াল, মটকা চিংড়ি, মলেন্দাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ খুব সহজে পাওয়া যেত।
বাড়ির পাশে পুকুর, ডোবা ও নালায় ঝাকি জাল দিয়ে এসব মাছ ধরা হত। তিন বেলাই মাছ-ভাত খেত বাঙালিরা। এখন আর এসব দেশী মাছ পাওয়া যায়না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এক দিকে মাছের চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে ভরাট হয়ে যাচ্ছে জলাশয়। এ ছাড়া অধিক ফলনের আশায় জমিতে নানা ধরনের কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করায়, এসব মাছ মরে যায়। বংশ বিস্তার হয় না। তারপরেও শহর কিংবা গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে মাঝে মধ্যে এসব মাছ পাওয়া গেলে সরবরাহ খুবই কম।
সুঠাম শরীর গঠনের জন্য এসব মাছের ভূমিকা অপরিহার্য। চুনারুঘাট পৌরসভার বড়াইল গ্রামের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ কাছন শীল বলেন, ছোট কালে নদী-নালায় মাছ ধরতে ধরতে বড় হয়েছি। অমাবস্যা-পূর্ণিমায় বাড়ির পাশে খোয়াই নদীর পানির জোয়ারে বোয়াল, শৌল, বাইন আরও কত কৈ মাছ ধরতাম। এখন আর এসব মাছ আর পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার (অ.দা.) মো. নুরে আলম সিদ্দিকি দৈনিক সংবাদকে বলেন, আমাদের দেশীয় এসব মাছ টিকিয়ে রাখতে হলে, পুকুর, ডোবা, নালা ভড়াট বন্ধ করে, মজা পুকুরগুলো খনন করে মাছ অবমুক্ত করতে হবে। ক্ষেতে খামারে অধিক কীটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে একদিন এসব মাছ পুরোপুরি বিলুপ্তি হয়ে যাবে।