এক কারখানাতেই কর্মসংস্থান হবে সহস্রাধিক শ্রমিকের
উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডারখ্যাত রাজশাহী অঞ্চলে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নে এগিয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চল। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় রয়েছে দক্ষ লোকবল। রাজশাহী অঞ্চল থেকে প্রতিদিন আড়াই কোটি টাকার ১৫০ টন মাছ সরবরাহ হয় সারা বাংলাদেশে। এ ছাড়া দেশের বড় গ্রুপগুলোর বিনিয়োগের জন্য আসছে রাজশাহীতে। নাবিল গ্রুপের ৮-১০টি প্রতিষ্ঠান আছে সবগুলোই অ্যাগ্রো বেজ। অ্যাগ্রোবেজ ইন্ডাস্ট্রি হওয়ার জন্য রাজশাহী হলো সবচেয়ে ভালো জায়গা। রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর আশেপাশে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জমি কিনছে। প্রাণ গ্রুপ, পার্টেক্স গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপসহ বিভিন্ন বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান রাজশাহীতে জমি কিনছে।
এদিকে প্রায় ১২০০ লোকের কর্মসংস্থান রাজশাহী বর্তমানে রাজশাহী অঞ্চলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড নামে দুইটি কারখানায় কর্মসংস্থান নিয়ে, যেখানে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএলের উদ্যোগে রাজশাহীতে দীর্ঘ যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বন্ধ থাকা রাজশাহী টেক্সটাইল মিল ‘বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড’ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল করপোরেশনের (বিটিএমসি) সঙ্গে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় এই মিলটি চালু করতে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
প্রায় ২৬ একর আয়তনের এই কারখানাকে প্রাণ-আরএফএল পরিণত করতে চায় উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। শতভাগ রপ্তানিমুখী এ কারখানায় তৈরি করা হবে বিভিন্ন ব্যাগ, জুতা ও তৈরি পোশাক। তাছাড়া এখানে একটি আধুনিক কল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। দুই বছরের মধ্যে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজশাহীর একটি হোটেলে মিলটি চালু উপলক্ষে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল।
গত বছরের অক্টোবরে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিসেম্বরেই কারখানার দায়িত্ব বুঝে নেয় প্রাণ-আরএফএল। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার তিন মাসের মাথায় কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন কার্যক্রম শুরুহয়। আগামি দুই বছরের মধ্যে কারখানাটি পুরোদমে চালু হবে।
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, আমরা মনে করি, দেশের উন্নয়নের জন্য ঢাকাকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাই আমরা উত্তরবঙ্গে এই বৃহৎ শিল্প প্রকল্প শুরু করেছি। এর মাধ্যমে রাজশাহীর হাজার হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন এবং স্থানীয় অর্থনীতি গতিশীল হবে।
তিনি আরও বলেন, এই কারখানাটি হবে সম্পূর্ণ সাসটেইনেবল গ্রিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, যেখানে থাকবে সোলার এনার্জি, গ্রিন জোন ও ওয়াটার রিসাইক্লিং ব্যবস্থা। কারখানাটি শতভাগ রপ্তানিমুখী হবে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে কারখানাতে থাকা পরিত্যক্ত একমাত্র শেডকে মেরামত করে স্বল্প আকারে জুতা ও ব্যাগ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এখানে রাজশাহী অঞ্চলের প্রায় এক হাজার লোক কাজের সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া আরও এক হাজার লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখানে একটি ‘স্কিলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হবে। রাজশাহীর শ্রমবাজারকে কাজে লাগিয়ে রাজধানীমুখী প্রবণতা রোধ করাই এ বিনিয়োগের অন্যতম উদ্দেশ্য। আমরা আশাবাদী এই প্রকল্পটি সাফল পেলে ভবিষ্যতে রাজশাহী অঞ্চলে আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগ ও সম্প্রসারণের পথে এগোতে পারব। বর্তমানে রাজশাহী অঞ্চলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড নামে দুইটি কারখানা রয়েছে, যেখানে প্রায় ১, ২০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান ও বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার শরীফ উদ্দিন আহমেদসহ গ্রুপটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এক কারখানাতেই কর্মসংস্থান হবে সহস্রাধিক শ্রমিকের
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
উত্তরাঞ্চলের শস্য ভাণ্ডারখ্যাত রাজশাহী অঞ্চলে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নে এগিয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চল। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় রয়েছে দক্ষ লোকবল। রাজশাহী অঞ্চল থেকে প্রতিদিন আড়াই কোটি টাকার ১৫০ টন মাছ সরবরাহ হয় সারা বাংলাদেশে। এ ছাড়া দেশের বড় গ্রুপগুলোর বিনিয়োগের জন্য আসছে রাজশাহীতে। নাবিল গ্রুপের ৮-১০টি প্রতিষ্ঠান আছে সবগুলোই অ্যাগ্রো বেজ। অ্যাগ্রোবেজ ইন্ডাস্ট্রি হওয়ার জন্য রাজশাহী হলো সবচেয়ে ভালো জায়গা। রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর আশেপাশে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জমি কিনছে। প্রাণ গ্রুপ, পার্টেক্স গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপসহ বিভিন্ন বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান রাজশাহীতে জমি কিনছে।
এদিকে প্রায় ১২০০ লোকের কর্মসংস্থান রাজশাহী বর্তমানে রাজশাহী অঞ্চলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড নামে দুইটি কারখানায় কর্মসংস্থান নিয়ে, যেখানে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএলের উদ্যোগে রাজশাহীতে দীর্ঘ যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বন্ধ থাকা রাজশাহী টেক্সটাইল মিল ‘বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড’ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল করপোরেশনের (বিটিএমসি) সঙ্গে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় এই মিলটি চালু করতে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
প্রায় ২৬ একর আয়তনের এই কারখানাকে প্রাণ-আরএফএল পরিণত করতে চায় উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। শতভাগ রপ্তানিমুখী এ কারখানায় তৈরি করা হবে বিভিন্ন ব্যাগ, জুতা ও তৈরি পোশাক। তাছাড়া এখানে একটি আধুনিক কল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। দুই বছরের মধ্যে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজশাহীর একটি হোটেলে মিলটি চালু উপলক্ষে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল।
গত বছরের অক্টোবরে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিসেম্বরেই কারখানার দায়িত্ব বুঝে নেয় প্রাণ-আরএফএল। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার তিন মাসের মাথায় কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন কার্যক্রম শুরুহয়। আগামি দুই বছরের মধ্যে কারখানাটি পুরোদমে চালু হবে।
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, আমরা মনে করি, দেশের উন্নয়নের জন্য ঢাকাকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাই আমরা উত্তরবঙ্গে এই বৃহৎ শিল্প প্রকল্প শুরু করেছি। এর মাধ্যমে রাজশাহীর হাজার হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন এবং স্থানীয় অর্থনীতি গতিশীল হবে।
তিনি আরও বলেন, এই কারখানাটি হবে সম্পূর্ণ সাসটেইনেবল গ্রিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, যেখানে থাকবে সোলার এনার্জি, গ্রিন জোন ও ওয়াটার রিসাইক্লিং ব্যবস্থা। কারখানাটি শতভাগ রপ্তানিমুখী হবে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে কারখানাতে থাকা পরিত্যক্ত একমাত্র শেডকে মেরামত করে স্বল্প আকারে জুতা ও ব্যাগ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এখানে রাজশাহী অঞ্চলের প্রায় এক হাজার লোক কাজের সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া আরও এক হাজার লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখানে একটি ‘স্কিলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হবে। রাজশাহীর শ্রমবাজারকে কাজে লাগিয়ে রাজধানীমুখী প্রবণতা রোধ করাই এ বিনিয়োগের অন্যতম উদ্দেশ্য। আমরা আশাবাদী এই প্রকল্পটি সাফল পেলে ভবিষ্যতে রাজশাহী অঞ্চলে আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগ ও সম্প্রসারণের পথে এগোতে পারব। বর্তমানে রাজশাহী অঞ্চলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড নামে দুইটি কারখানা রয়েছে, যেখানে প্রায় ১, ২০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান ও বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার শরীফ উদ্দিন আহমেদসহ গ্রুপটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।