শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : মণিপুরী শাড়ি বুননে ব্যস্ত নারীরা -সংবাদ
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ১৪ থেকে ১৫টি গ্রামে মনিপুরী শাড়ির সুতিকাগার। ওই সব গ্রাম থেকেই মনিপুরীদের তৈরি সারি সারাদেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। মনিপুরী শাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্য বলা যায়।
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মনিপুরী শাড়ি, আর এ অর্জনে খুশি কমলগঞ্জের তাঁতীরা। দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের জিআই সনদ প্রদান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। তার মধ্যে মনিপুরী শাড়ি এই জিআই পূণ্যের স্বীকৃতি অর্জন করে। তাঁত শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িয়ে আছেন সেই তাঁতীরাসহ পুরো মনিপুরী জনগোষ্ঠী আজ উচ্ছ্বাসিত।
জানা যায়, সিলেট বিভাগের মনিপুরী তাঁতের শাড়ি এবং মনিপুরী নৃ-গোষ্ঠীর ইতিহাস আমাদের দেশে প্রায় ৩শত বছরের অধিক পুরোনো। মনিপুরীরা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়, শাড়ি, গামছা, শাল, বিছানার চাদর ফানেক, লাহেঙ্গা, উড়নাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাপড় নিজেদের জন্য বুনন করে আসছেন শত বছরেরও অধিক সময় ধরে। বুনন শিল্পে খুবই দক্ষ মনিপুরী নারীরা প্রয়োজনীয় কাপড় নিজেরাই বুনে থাকেন। প্রায় প্রতিটি মনিপুরী ঘরেই তাঁত রয়েছে। নিজেদের প্রয়োজনীয় কাপড় বুনে চলেছে সেই সভ্যতার সময় থেকেই এমনি দাবি করে থাকেন তারা। তবে শাড়ি বুননের প্রচলন অন্য বুননের অনেকটা পরে শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই শাড়ি ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। এর সুনাম এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলের তাঁতের তৈরি শাড়ি যেমন- জামদানী, টাঙ্গাইল, বেনারসিসহ দেশীয় শাড়ি ভিন্নতা এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চোখ পড়লেই বুঝে নেয়া যায়। নকশায় রঙে অনন্যতা থাকে।
শাড়ি তৈরি করেন তাঁতি প্রিয়াংকা ও স¦রনালী সিংহা বলেন, ‘আমার হাতের তৈরি শাড়ির জিআই সনদ অর্জনে অনেক আনন্দ লাগছে এখন এর সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে।
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হলো এমন একটি সনদ যা একটি পণ্যের উৎপাদন বা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দেয়। এ ধরনের সনদ পণ্যটির উৎসস্থল এবং তার বিশেষত্বকে চিহ্নিত করে, যা পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করে। মনিপুরী শাড়ি বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক নিদর্শন যা মূলত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় বেশি উৎপাদিত হয়। এই শাড়ি শুধু মনিপুরী জনগণের ঐতিহ্য নয়, বরং বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগণের মধ্যে একটি জনপ্রিয় পোষাক হয়ে উঠেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘মনিপুরী অধ্যুষিত কমলগঞ্জে সর্বাধিক উৎপাদিত পণ্য মনিপুরী শাড়ী জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় উৎসাহের পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং তাঁতীরা আর্থীকভাবে লাভবান হবেন। এ ছাড়া তাদের জন্য দ্রুত সময়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, আলোচক ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : মণিপুরী শাড়ি বুননে ব্যস্ত নারীরা -সংবাদ
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ১৪ থেকে ১৫টি গ্রামে মনিপুরী শাড়ির সুতিকাগার। ওই সব গ্রাম থেকেই মনিপুরীদের তৈরি সারি সারাদেশে সরবরাহ হয়ে থাকে। মনিপুরী শাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্য বলা যায়।
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মনিপুরী শাড়ি, আর এ অর্জনে খুশি কমলগঞ্জের তাঁতীরা। দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের জিআই সনদ প্রদান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। তার মধ্যে মনিপুরী শাড়ি এই জিআই পূণ্যের স্বীকৃতি অর্জন করে। তাঁত শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িয়ে আছেন সেই তাঁতীরাসহ পুরো মনিপুরী জনগোষ্ঠী আজ উচ্ছ্বাসিত।
জানা যায়, সিলেট বিভাগের মনিপুরী তাঁতের শাড়ি এবং মনিপুরী নৃ-গোষ্ঠীর ইতিহাস আমাদের দেশে প্রায় ৩শত বছরের অধিক পুরোনো। মনিপুরীরা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়, শাড়ি, গামছা, শাল, বিছানার চাদর ফানেক, লাহেঙ্গা, উড়নাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাপড় নিজেদের জন্য বুনন করে আসছেন শত বছরেরও অধিক সময় ধরে। বুনন শিল্পে খুবই দক্ষ মনিপুরী নারীরা প্রয়োজনীয় কাপড় নিজেরাই বুনে থাকেন। প্রায় প্রতিটি মনিপুরী ঘরেই তাঁত রয়েছে। নিজেদের প্রয়োজনীয় কাপড় বুনে চলেছে সেই সভ্যতার সময় থেকেই এমনি দাবি করে থাকেন তারা। তবে শাড়ি বুননের প্রচলন অন্য বুননের অনেকটা পরে শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই শাড়ি ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। এর সুনাম এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলের তাঁতের তৈরি শাড়ি যেমন- জামদানী, টাঙ্গাইল, বেনারসিসহ দেশীয় শাড়ি ভিন্নতা এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চোখ পড়লেই বুঝে নেয়া যায়। নকশায় রঙে অনন্যতা থাকে।
শাড়ি তৈরি করেন তাঁতি প্রিয়াংকা ও স¦রনালী সিংহা বলেন, ‘আমার হাতের তৈরি শাড়ির জিআই সনদ অর্জনে অনেক আনন্দ লাগছে এখন এর সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে।
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হলো এমন একটি সনদ যা একটি পণ্যের উৎপাদন বা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দেয়। এ ধরনের সনদ পণ্যটির উৎসস্থল এবং তার বিশেষত্বকে চিহ্নিত করে, যা পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করে। মনিপুরী শাড়ি বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক নিদর্শন যা মূলত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় বেশি উৎপাদিত হয়। এই শাড়ি শুধু মনিপুরী জনগণের ঐতিহ্য নয়, বরং বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগণের মধ্যে একটি জনপ্রিয় পোষাক হয়ে উঠেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘মনিপুরী অধ্যুষিত কমলগঞ্জে সর্বাধিক উৎপাদিত পণ্য মনিপুরী শাড়ী জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় উৎসাহের পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং তাঁতীরা আর্থীকভাবে লাভবান হবেন। এ ছাড়া তাদের জন্য দ্রুত সময়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, আলোচক ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।