রাউজান (চট্টগ্রাম) : খেত থেকে ভুট্টা তুলছেন কৃষক -সংবাদ
চট্টগ্রামের রাউজানে এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। যা গেল বছরের তুলনায় ৬ হেক্টর বেশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। হলদিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক জহুর আহমেদ বলেন, এবার ভুট্টার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। সরকারি প্রদর্শনীর ৩৩ শতাংশ ছাড়াও চাষ করেছি প্রায় ২ বিঘার মত। ইতোমধ্যে ১ হাজার কেজি ফসল ঘরে তুলেছি। বীজ ও কীটশানক কৃষি অফিস থেকে দিয়েছে। এর বাইরে শ্রমিকের মজুরিসহ আনুসাঙ্গিক বিষয়ে আমার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বাজারের যে দর দেখছি তাতে আশাকরি বেশ লাভই হবে। রাউজান সদর ইউনিয়নের কৃষক মো.শফি জানান, ভুট্টার ফলন সন্তোষজনক। তবে পানির অভাবে ভালোভাবে সেচ দিতে পারিনি।
আমরা পাহাড়ী ছড়া থেকে আসা খালের পানিতে চাষ করি। যারা উপরের দিকে চাষ করেন তারা পানি আটকে রাখেন। পানির সুষ্ঠু বন্টন হয়না। শেষের দিকে ডিপ থেকে পানি দিয়ে ফসল রক্ষা করেছি।’ ভুট্টা চাষে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসার কথা জানিয়ে রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির সংবাদকে বলেন, কম খরচে লাভজনক ফসল হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
রাউজানে ভুট্টা উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু রবি মৌসুমে পানি সংকটের একটা বিষয় থাকে তাই আমরা কিছু জায়গায় বোরো ধানের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষকরাও বেশ আগ্রহ নিয়ে চাষাবাদ বাড়াচ্ছেন।
খালের পানি সংকটের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বিএডিসি ইত্যেমধ্যে কয়েকটি খালের পুনঃখননের কাজ করছে। এতে পানির কষ্ট লাঘব হয়ে আগামী মৌসুম থেকে তার অনেকটা সুফল পাবে কৃষকরা। তবে উপজেলার দু-পাশজুড়ে কর্ণফুলী ও হালদা নদী থাকায় ওইসব এলাকায় পানির কোন সংকট থাকেনা।
রাউজান (চট্টগ্রাম) : খেত থেকে ভুট্টা তুলছেন কৃষক -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
চট্টগ্রামের রাউজানে এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। যা গেল বছরের তুলনায় ৬ হেক্টর বেশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। হলদিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক জহুর আহমেদ বলেন, এবার ভুট্টার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। সরকারি প্রদর্শনীর ৩৩ শতাংশ ছাড়াও চাষ করেছি প্রায় ২ বিঘার মত। ইতোমধ্যে ১ হাজার কেজি ফসল ঘরে তুলেছি। বীজ ও কীটশানক কৃষি অফিস থেকে দিয়েছে। এর বাইরে শ্রমিকের মজুরিসহ আনুসাঙ্গিক বিষয়ে আমার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বাজারের যে দর দেখছি তাতে আশাকরি বেশ লাভই হবে। রাউজান সদর ইউনিয়নের কৃষক মো.শফি জানান, ভুট্টার ফলন সন্তোষজনক। তবে পানির অভাবে ভালোভাবে সেচ দিতে পারিনি।
আমরা পাহাড়ী ছড়া থেকে আসা খালের পানিতে চাষ করি। যারা উপরের দিকে চাষ করেন তারা পানি আটকে রাখেন। পানির সুষ্ঠু বন্টন হয়না। শেষের দিকে ডিপ থেকে পানি দিয়ে ফসল রক্ষা করেছি।’ ভুট্টা চাষে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসার কথা জানিয়ে রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির সংবাদকে বলেন, কম খরচে লাভজনক ফসল হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
রাউজানে ভুট্টা উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু রবি মৌসুমে পানি সংকটের একটা বিষয় থাকে তাই আমরা কিছু জায়গায় বোরো ধানের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষকরাও বেশ আগ্রহ নিয়ে চাষাবাদ বাড়াচ্ছেন।
খালের পানি সংকটের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বিএডিসি ইত্যেমধ্যে কয়েকটি খালের পুনঃখননের কাজ করছে। এতে পানির কষ্ট লাঘব হয়ে আগামী মৌসুম থেকে তার অনেকটা সুফল পাবে কৃষকরা। তবে উপজেলার দু-পাশজুড়ে কর্ণফুলী ও হালদা নদী থাকায় ওইসব এলাকায় পানির কোন সংকট থাকেনা।