alt

সারাদেশ

বিলুপ্তির পথে বুনোফল ‘আনাই’

প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গত তিন দশকে বনভূমি যেভাবে কমেছে ঠিক একই ভাবে রায়গঞ্জ উপজেলা থেকেও কমেছে। বনভূমি কমার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে চেনা- অচেনা ফুল, ফল, লতা, পাতা, ও গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। তিন দশক আগেও শিশু-কিশোরদের কাছে অতি প্রিয় ছিল বুনোফল ‘আনাই’। বন-জঙ্গল কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ‘আনাই’ ফল বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। একসময় এ ফল হাট- বাজারে বিক্রি করতে দেখা যেত। বিক্রেতারা ঝোপ- জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে আনাই ফল সংগ্রহ করে বিক্রি করতো। পাকা আনাই ফল দেখতে দুধ সাদা-হালকা গোলাপি সাদা। আগেকার দিনে বাজারে এক টাকা থেকে দুই টাকা সের দরে বিক্রি হতো আনাই ফল। আবার বন-জঙ্গল ঘুরে শিশু-কিশোররা ফলটি সংগ্রহ করে খেত।

প্রাকৃতিক বন-জঙ্গল ধ্বংস করে সামাজিক বনায়ন করার পর থেকে অন্যান্য উদ্ভিদের সঙ্গে এই উদ্ভিটিও হারিয়ে গেছে। তাই একসময় ঝোপ-জঙ্গলে আনাইগোটা গাছ দেখা গেলেও এখন খুঁজেও এর হদিস মিলছে না।

তাড়াশের নওগাঁ শরিফিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক শাহজালাল বলেন, আমাদের সময় সবাই আনাই ফল চিনত। বর্তমানে পাহাড় ও বন- জঙ্গলে এ ফলের গাছ মিলছে না। আমাদের সন্তানেরা গাছ তো চিনবেই না, কোনো দিন জানবেই না যে আনাই নামে কোনো ফল ছিলো।

সিরাজগঞ্জ জেলা হর্টিকালচার সেন্টারের সিনিয়র উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আনাই কুল গোত্রের বুনো ফল। অন্য নাম আনিগোলা রাগবরই বা জংলি বলি। স্থানীয়ভাবে আনাইও বলা হয়। উদ্ভিদ তাত্ত্বিক নাম তরুরঢ়যঁং ৎঁমড়ংধ গুল্ম বা ছোট বৃক্ষ প্রকৃতির গাছ। প্রচুর গোল গোল ফল ধরে। পাকা ফলের ঘ্রাণ তীব্র। মিষ্টি বরইয়ের কবলে পড়ে এসব হারিয়ে যাচ্ছে।

এ দেশে ১২ প্রজাতির বরইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। আনাই, ব্রুনি, পাপড়িহীনা, বনবোগুরি, লাব্রা, রাতা, শিয়া, পলেন, বঢা, জাইলো, কুরকুরি ও কুল বলি। বনাঞ্চলে ও গ্রামীণ জঙ্গলে এগুলোর সবই একসময় পাওয়া যেত। এখান কচুয়া, আপেল,বাউল, কাশ্মীরি, বলসুন্দরী ইত্যাদি নানা জাতের কুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। ফলে অন্য বলি চাষ করা হয় না। তাই বন উজাড়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো বিপন্ন হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন এসব জংলি বরই না খেলেও পাখি আর বুনোপ্রানী খেয়ে বাঁচে। এসব বরই যেন না হারিয়ে যায়, জীববৈচিত্র্যর স্বার্থেই আমাদের সে চেষ্টা করা দরকার।

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যাদুকাটা নদী খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালসহ দুজনকে জরিমানা

পাবনার হাট-বাজারে অপরিপক্ব টক লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

ছবি

ডিমলার নদ-নদীগুলো অবৈধ দখলে মরা খাল, আবাদি জমি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি মামলায় ৯ জনের সশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

মোরেলগঞ্জে সন্তানহারা মায়ের কান্না, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

চাঁদপুরে পুকুর ভরাটের দায়ে জরিমানা

গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ গরুর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯

ধর্মপাশায় গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

দুই জেলায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

রামুর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক

কালিহাতীতে ভেটেরিনারি দোকানে জরিমানা

ছবি

যশোরে আইন উপেক্ষা করে চলছে পুকুর ভরাট

ভুয়া পশু চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ছবি

রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার দ্রুত পাকাকরণের দাবি

ছবি

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

রায়গঞ্জে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২০ লাখ টাকা লুট

ডিবি থেকে সরানো মল্লিক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

রংপুর মেডিকেলে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম অকেজো, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক হতবাক

মাদারগঞ্জে অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধি, নদীতে ১০ বসতভিটা বিলীন

বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

ফসলি জমি মাটি কাটায় জরিমানা

tab

সারাদেশ

বিলুপ্তির পথে বুনোফল ‘আনাই’

প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ)

বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গত তিন দশকে বনভূমি যেভাবে কমেছে ঠিক একই ভাবে রায়গঞ্জ উপজেলা থেকেও কমেছে। বনভূমি কমার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে চেনা- অচেনা ফুল, ফল, লতা, পাতা, ও গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। তিন দশক আগেও শিশু-কিশোরদের কাছে অতি প্রিয় ছিল বুনোফল ‘আনাই’। বন-জঙ্গল কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ‘আনাই’ ফল বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। একসময় এ ফল হাট- বাজারে বিক্রি করতে দেখা যেত। বিক্রেতারা ঝোপ- জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে আনাই ফল সংগ্রহ করে বিক্রি করতো। পাকা আনাই ফল দেখতে দুধ সাদা-হালকা গোলাপি সাদা। আগেকার দিনে বাজারে এক টাকা থেকে দুই টাকা সের দরে বিক্রি হতো আনাই ফল। আবার বন-জঙ্গল ঘুরে শিশু-কিশোররা ফলটি সংগ্রহ করে খেত।

প্রাকৃতিক বন-জঙ্গল ধ্বংস করে সামাজিক বনায়ন করার পর থেকে অন্যান্য উদ্ভিদের সঙ্গে এই উদ্ভিটিও হারিয়ে গেছে। তাই একসময় ঝোপ-জঙ্গলে আনাইগোটা গাছ দেখা গেলেও এখন খুঁজেও এর হদিস মিলছে না।

তাড়াশের নওগাঁ শরিফিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক শাহজালাল বলেন, আমাদের সময় সবাই আনাই ফল চিনত। বর্তমানে পাহাড় ও বন- জঙ্গলে এ ফলের গাছ মিলছে না। আমাদের সন্তানেরা গাছ তো চিনবেই না, কোনো দিন জানবেই না যে আনাই নামে কোনো ফল ছিলো।

সিরাজগঞ্জ জেলা হর্টিকালচার সেন্টারের সিনিয়র উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আনাই কুল গোত্রের বুনো ফল। অন্য নাম আনিগোলা রাগবরই বা জংলি বলি। স্থানীয়ভাবে আনাইও বলা হয়। উদ্ভিদ তাত্ত্বিক নাম তরুরঢ়যঁং ৎঁমড়ংধ গুল্ম বা ছোট বৃক্ষ প্রকৃতির গাছ। প্রচুর গোল গোল ফল ধরে। পাকা ফলের ঘ্রাণ তীব্র। মিষ্টি বরইয়ের কবলে পড়ে এসব হারিয়ে যাচ্ছে।

এ দেশে ১২ প্রজাতির বরইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। আনাই, ব্রুনি, পাপড়িহীনা, বনবোগুরি, লাব্রা, রাতা, শিয়া, পলেন, বঢা, জাইলো, কুরকুরি ও কুল বলি। বনাঞ্চলে ও গ্রামীণ জঙ্গলে এগুলোর সবই একসময় পাওয়া যেত। এখান কচুয়া, আপেল,বাউল, কাশ্মীরি, বলসুন্দরী ইত্যাদি নানা জাতের কুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। ফলে অন্য বলি চাষ করা হয় না। তাই বন উজাড়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো বিপন্ন হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন এসব জংলি বরই না খেলেও পাখি আর বুনোপ্রানী খেয়ে বাঁচে। এসব বরই যেন না হারিয়ে যায়, জীববৈচিত্র্যর স্বার্থেই আমাদের সে চেষ্টা করা দরকার।

back to top