জামালপুরেরর মাদারগঞ্জে অসময়ে যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নে পাকরুল এলাকায় আবারও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের আশঙ্কায় নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলো বসতঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা গেলেও এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। ভাঙনে ১০টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। মারাত্মক ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে হিদাগাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক, আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘরসহ কবরস্থান ও পাকা মসজিদ, যা নদী থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক বছরেও নদীভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সরকার। যার ফলে গোটা একটি এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে।
আবার সাময়িক নদীভাঙন রোধে যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ব হয়নি। নামমাত্র নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ও স্থায়ীয় প্রভাবশালীরা ওইসব প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় করেছে। যমুনার ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙন আতঙ্কে নদীপারের লোকজন দিন পার করছেন। বাপ দাদার শত বছরের ভিটে ছেড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র।
পাকরুল এলাকার সুরুজ ম-ল বলেন, আস্তে আস্তে নদী আমার ঘরের কাছে চলে এলো। তাই বাধ্য হয়ে ঘরবাড়ি ভেঙে দূরে চলে যাচ্ছি। বাপ দাদার শত বছরের চিহ্নটুকু আর রইলো না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহাজ উদ্দিন ফকির জানান, অসময়ে আবার নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এতে কয়েকদিনে ১০ বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে মানচিত্র থেকে একবারে হারিয়ে যাবে আমাদের গ্রাম।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, পাকরুল এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সেই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রণয়ন করা হবে।
জামালপুরেরর মাদারগঞ্জে ১নং চর পাকের দহ ইউনিয়নে অসময়ে যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পাকরুল এলাকায় আবারও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাদারগঞ্জে সর্বগ্রাসী যমুনার করাল গ্রাসে ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কায় নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলো বসতঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা গেলেও এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। যমুনা নদীর ভয়াবহ ভঙ্গণের ফলে অন্তত ১০টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে।
শুধু তাই নয় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো পাকরুল এলাকায় মারাত্মক ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে সারিয়াকান্দির মানিকদাইড় মাদারগঞ্জে পাকরুল, হিদাগাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক, আশ্রয়ন প্রকল্পের শতাধিক ঘরসহ কবরস্থান ও পাকা মসজিদ, তিন ফসলি আবাদি জমি যা নদী থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে অবস্থান করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েকবছরেও নদীভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সরকার। যার ফলে গোটা একটি এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। পাকরুল এলাকায় সাময়িক নদীভাঙন রোধে যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ব হয়নি। নামমাত্র নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে বিগত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ও স্থায়ীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসব প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করেছে।
মাদারগঞ্জে পাকরুল যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির নেতা মোশারফ হোসেন সংবাদকে বলেন, আমরা কয়েকজন যমুনা নদীর ভাঙন রোধে যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটি গঠন করে স্থানীয়ভাবে বাঁশ সংগ্রহ করি এবং মাদারগঞ্জ-ইসলামপুর সীমান্তে পথে যমুনা নদীর মাঝপথে বাঁশ দিয়ে নদীর গতিপথ বন্ধ করে দিতে একটি বাঁধ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। সরকারি অনুদান ছাড়া। প্রাথমিকভাবে অনুমানিক এতে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। তাই যমুনা নদী ভয়াবহ ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, জামালপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, মাদারগঞ্জে পাকরুল এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সেই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রণয়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
জামালপুরেরর মাদারগঞ্জে অসময়ে যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নে পাকরুল এলাকায় আবারও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের আশঙ্কায় নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলো বসতঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা গেলেও এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। ভাঙনে ১০টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। মারাত্মক ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে হিদাগাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক, আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘরসহ কবরস্থান ও পাকা মসজিদ, যা নদী থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক বছরেও নদীভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সরকার। যার ফলে গোটা একটি এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে।
আবার সাময়িক নদীভাঙন রোধে যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ব হয়নি। নামমাত্র নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ও স্থায়ীয় প্রভাবশালীরা ওইসব প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় করেছে। যমুনার ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙন আতঙ্কে নদীপারের লোকজন দিন পার করছেন। বাপ দাদার শত বছরের ভিটে ছেড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র।
পাকরুল এলাকার সুরুজ ম-ল বলেন, আস্তে আস্তে নদী আমার ঘরের কাছে চলে এলো। তাই বাধ্য হয়ে ঘরবাড়ি ভেঙে দূরে চলে যাচ্ছি। বাপ দাদার শত বছরের চিহ্নটুকু আর রইলো না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহাজ উদ্দিন ফকির জানান, অসময়ে আবার নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এতে কয়েকদিনে ১০ বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে মানচিত্র থেকে একবারে হারিয়ে যাবে আমাদের গ্রাম।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, পাকরুল এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সেই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রণয়ন করা হবে।
জামালপুরেরর মাদারগঞ্জে ১নং চর পাকের দহ ইউনিয়নে অসময়ে যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পাকরুল এলাকায় আবারও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাদারগঞ্জে সর্বগ্রাসী যমুনার করাল গ্রাসে ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কায় নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলো বসতঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা গেলেও এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। যমুনা নদীর ভয়াবহ ভঙ্গণের ফলে অন্তত ১০টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে।
শুধু তাই নয় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো পাকরুল এলাকায় মারাত্মক ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে সারিয়াকান্দির মানিকদাইড় মাদারগঞ্জে পাকরুল, হিদাগাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক, আশ্রয়ন প্রকল্পের শতাধিক ঘরসহ কবরস্থান ও পাকা মসজিদ, তিন ফসলি আবাদি জমি যা নদী থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে অবস্থান করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েকবছরেও নদীভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সরকার। যার ফলে গোটা একটি এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। পাকরুল এলাকায় সাময়িক নদীভাঙন রোধে যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ব হয়নি। নামমাত্র নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে বিগত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ও স্থায়ীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসব প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করেছে।
মাদারগঞ্জে পাকরুল যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির নেতা মোশারফ হোসেন সংবাদকে বলেন, আমরা কয়েকজন যমুনা নদীর ভাঙন রোধে যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটি গঠন করে স্থানীয়ভাবে বাঁশ সংগ্রহ করি এবং মাদারগঞ্জ-ইসলামপুর সীমান্তে পথে যমুনা নদীর মাঝপথে বাঁশ দিয়ে নদীর গতিপথ বন্ধ করে দিতে একটি বাঁধ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। সরকারি অনুদান ছাড়া। প্রাথমিকভাবে অনুমানিক এতে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। তাই যমুনা নদী ভয়াবহ ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, জামালপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, মাদারগঞ্জে পাকরুল এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সেই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রণয়ন করা হবে।