ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) : গত বর্ষায় খুঁড়ে রাখা মাটি ও বালু মিশে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ১ কিলোমিটার সড়ক -সংবাদ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ১ কিলোমিটার রাস্তা খুঁড়ে বালু ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা। এতে করে স্থানীয় ৯টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। সড়কটি অতিদ্রুত পাকা করণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গত বর্ষায় খুঁড়ে রাখা মাটি ও বালু মিশে রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাকা করণের কাজ বন্ধ রাখায় হাজার হাজার মানুষের চলাচলসহ স্কুলগামী শিশুরা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়। সড়কটি অতি দ্রুত পাকা করণ না করলে ইরি মৌসুমে ধান পরিবহনসহ অন্যান্য পন্য পরিবহণ করা যাবেনা। দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসাসহ দুটি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বানিয়াল থেকে চেচুরিয়া গ্রাম পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পাকা করার জন্য রাস্তার মাঝে মাটি কেটে বালু দেওয়া হয়েছে। এরপর গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি জমে ওই মাটি-বালু কাদায় পরিণত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। লোকজন অতি কষ্টে চলাচল করছে। উপজেলা সদরসহ হাট-বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক হওয়ায় আশপাশের ৯টি গ্রামের ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।
চেচুরিয়া গ্রামের আইনুল নামে একজন বলেন, ৯টি গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষিকাজ করে আমরা আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি। কয়েক দিন পরই ধান কাটা শুরু হবে। এই সড়ক দিয়ে খেত থেকে ধান আনা এবং হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়র বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। নয়টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়াসহ পণ্য আনা-নেওয়া করে। এই সড়কটি অতি দ্রুত পাকাকরণ না করলে ইরি মৌসুমে ধান পরিবহনসহ অন্যান্য পন্য পরিবহন করা যাবে না, পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে। আর এর জন্য আমরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাব না। রায়হান নামে আরেকজন জানান, এই সড়কের মাঝামাঝি একটি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসাসহ দুটি প্রি-ক্যাডেট স্কুল রয়েছে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে অতিরিক্ত ধুলো-বালির কারণে সর্দি-কাশি লেগেই আছে। আবার বৃষ্টিতে সড়কটি এত পিচ্ছিল হয় যে হেঁটে চলাচল করা যায় না। এছাড়া সর্বত্র পানি জমে থাকে। স্থানীয় ভ্যানচালক ইয়াসিন আলী বলেন, এই আস্তা দিয়ে ভ্যান চালা যায়? গেইলেও পেছন থাকা একজন ঠ্যালা নাগে। আস্তার অবস্থা বেজায় খারাপ। তাই লোকজন ভ্যানত উঠবের চায় না। খুব কষ্টে আছি বাহে!
ঘোড়াঘাট উপজেলা এলজিইডি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ১ কিলোমিটার রাস্তার পাকা করণের কাজ পান বাবু ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কাজটি তারিকুল ইসলাম সাজু নামে এক ঠিকাদার কাজটি কিনে নেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তারা নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় বর্ধিত সময় দেয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ঠিকাদারকে রাস্তার কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) : গত বর্ষায় খুঁড়ে রাখা মাটি ও বালু মিশে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ১ কিলোমিটার সড়ক -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ১ কিলোমিটার রাস্তা খুঁড়ে বালু ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা। এতে করে স্থানীয় ৯টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। সড়কটি অতিদ্রুত পাকা করণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গত বর্ষায় খুঁড়ে রাখা মাটি ও বালু মিশে রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাকা করণের কাজ বন্ধ রাখায় হাজার হাজার মানুষের চলাচলসহ স্কুলগামী শিশুরা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়। সড়কটি অতি দ্রুত পাকা করণ না করলে ইরি মৌসুমে ধান পরিবহনসহ অন্যান্য পন্য পরিবহণ করা যাবেনা। দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসাসহ দুটি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বানিয়াল থেকে চেচুরিয়া গ্রাম পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পাকা করার জন্য রাস্তার মাঝে মাটি কেটে বালু দেওয়া হয়েছে। এরপর গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি জমে ওই মাটি-বালু কাদায় পরিণত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। লোকজন অতি কষ্টে চলাচল করছে। উপজেলা সদরসহ হাট-বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক হওয়ায় আশপাশের ৯টি গ্রামের ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।
চেচুরিয়া গ্রামের আইনুল নামে একজন বলেন, ৯টি গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষিকাজ করে আমরা আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি। কয়েক দিন পরই ধান কাটা শুরু হবে। এই সড়ক দিয়ে খেত থেকে ধান আনা এবং হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়র বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। নয়টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়াসহ পণ্য আনা-নেওয়া করে। এই সড়কটি অতি দ্রুত পাকাকরণ না করলে ইরি মৌসুমে ধান পরিবহনসহ অন্যান্য পন্য পরিবহন করা যাবে না, পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে। আর এর জন্য আমরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাব না। রায়হান নামে আরেকজন জানান, এই সড়কের মাঝামাঝি একটি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসাসহ দুটি প্রি-ক্যাডেট স্কুল রয়েছে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে অতিরিক্ত ধুলো-বালির কারণে সর্দি-কাশি লেগেই আছে। আবার বৃষ্টিতে সড়কটি এত পিচ্ছিল হয় যে হেঁটে চলাচল করা যায় না। এছাড়া সর্বত্র পানি জমে থাকে। স্থানীয় ভ্যানচালক ইয়াসিন আলী বলেন, এই আস্তা দিয়ে ভ্যান চালা যায়? গেইলেও পেছন থাকা একজন ঠ্যালা নাগে। আস্তার অবস্থা বেজায় খারাপ। তাই লোকজন ভ্যানত উঠবের চায় না। খুব কষ্টে আছি বাহে!
ঘোড়াঘাট উপজেলা এলজিইডি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ১ কিলোমিটার রাস্তার পাকা করণের কাজ পান বাবু ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কাজটি তারিকুল ইসলাম সাজু নামে এক ঠিকাদার কাজটি কিনে নেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তারা নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় বর্ধিত সময় দেয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঠিকাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ঠিকাদারকে রাস্তার কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।