ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মুজাটি গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভিপ্রবি) মেধাবী ছাত্র এএসকে মোশাররফ হত্যার ১০ বছর (১৩ মে মঙ্গলবার ২০২৫)। দীর্ঘদিনেও ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার না পেয়ে হাতাশায় ভুগছেন বাবা-মা, পরিবার। আদরের ছেলে হত্যাকারীদের কোনো শাস্তি না হওয়ায় আক্ষেপ করছেন বৃদ্ধ বাবা।
২০১৫ সালের ১৩ মে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযের পুলিশ ও অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মোশাররফকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিপথগামী ছাত্র মিলে প্রকাশ্য দিবালোকে ক্যাম্পাসেই কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। বিষয়টি সে সময় সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও নিহতের বাবা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সহিদুল ইসলাম সহিদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর ২৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। তখন ২৬ আসামির মধ্যে পুলিশ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি দুজন পলাতক থাকে।
এরপর আদালতে মামলার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ দিনে আদালতে ২০জন স্বাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৫ জনের স্বাক্ষগ্রহণ সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ দিন পর গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতে মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে মামলার সব আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়। আদালতে বাদী পক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
নিহত মোশাররফের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন।
ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে মোশারফের মা চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেছেন। প্রত্যাশা ছিল তারা অন্তত ছেলে হত্যাকারীদের শাস্তি দেখে যেতে পারবেন। কিন্তু রায়ে তা প্রতিফলিত হয়নি। তিনি বলেন, এক পর্যায়ে এসে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মামলাটি নিয়ে হয়তো সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেননি যার জন্য আসামিরা খালাস পেয়ে গেছে। তিনিও ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাননি। রায় যেদিন প্রকাশিত হয় তিনি তা জানতেও পারেননি বলে অভিযোগ করে বলেন, অনেক পরে তিনি শুনেছেন তার মামলার রায় হয়ে গেছে। পরে তিনি আদালতে যোগাযোগ করে রায়ের নকল উঠান। তিনি সরকারের কাছে ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মুজাটি গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভিপ্রবি) মেধাবী ছাত্র এএসকে মোশাররফ হত্যার ১০ বছর (১৩ মে মঙ্গলবার ২০২৫)। দীর্ঘদিনেও ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার না পেয়ে হাতাশায় ভুগছেন বাবা-মা, পরিবার। আদরের ছেলে হত্যাকারীদের কোনো শাস্তি না হওয়ায় আক্ষেপ করছেন বৃদ্ধ বাবা।
২০১৫ সালের ১৩ মে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযের পুলিশ ও অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মোশাররফকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিপথগামী ছাত্র মিলে প্রকাশ্য দিবালোকে ক্যাম্পাসেই কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। বিষয়টি সে সময় সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও নিহতের বাবা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সহিদুল ইসলাম সহিদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর ২৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। তখন ২৬ আসামির মধ্যে পুলিশ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি দুজন পলাতক থাকে।
এরপর আদালতে মামলার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ দিনে আদালতে ২০জন স্বাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৫ জনের স্বাক্ষগ্রহণ সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ দিন পর গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতে মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে মামলার সব আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়। আদালতে বাদী পক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
নিহত মোশাররফের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন।
ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে মোশারফের মা চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেছেন। প্রত্যাশা ছিল তারা অন্তত ছেলে হত্যাকারীদের শাস্তি দেখে যেতে পারবেন। কিন্তু রায়ে তা প্রতিফলিত হয়নি। তিনি বলেন, এক পর্যায়ে এসে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মামলাটি নিয়ে হয়তো সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেননি যার জন্য আসামিরা খালাস পেয়ে গেছে। তিনিও ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাননি। রায় যেদিন প্রকাশিত হয় তিনি তা জানতেও পারেননি বলে অভিযোগ করে বলেন, অনেক পরে তিনি শুনেছেন তার মামলার রায় হয়ে গেছে। পরে তিনি আদালতে যোগাযোগ করে রায়ের নকল উঠান। তিনি সরকারের কাছে ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।