ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সিএনজিচালকদের অবরোধ -সংবাদ
ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেছে ভৈরবের সিএনজি চালকরা। ১১ মে রোববার ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের হাজী আসমত কলেজ রোড এলাকায় হাইওয়ে থানার সামনে এই অবরোধ করা হয়। এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীবাহী পরিবহনের সাধারণ যাত্রী, দূরপাল্লার যানের চালকরা। খবর পেয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সিএনজি চালকদের কাছ থেকে বিকেল পর্যন্ত সময় চেয়ে অবরোধ উঠিয়ে নেন ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার।
এ সময় সিএনজি চালকরা বলেন, ভৈরবে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার সিএনজি চলাচল করে। বেশির ভাগ সিএনজির চালক হতদরিদ্র। সারাদিন ৫শ থেকে ৭শ টাকা ইনকাম করে। কিন্তু সড়কে চলতে গেলে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ সিএনজি আটকে অযথা ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকা পর্যন্ত মামলা দিয়ে দেয়। এতে করে চালকরা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েন।
এদিকে গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ঠিক না থাকলে সময় না দিয়ে থানায় এনে গাড়ি আটকে রেখে চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে চালকদের মারধর করে। রোববার সকালে ৫টি গাড়ি থানায় আটকে রাখে। গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও অনেক গাড়ির কাগজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। গাড়ির কাগজপত্র ঠিক করতেও সময় লাগে। এর মধ্যে বসে থাকলে পরিবারের খাবার জুটবে না। এদিকে ভৈরবের দালালদের সঙ্গে আঁতাত করে হাইওয়ে থানা পুলিশ সিএনজি চালকদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে চাঁদা আদায় করছে। হাইওয়ে থানা পুলিশ ও দালালদের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করেন চালকরা।
এ বিষয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, চালকদের দাবি সিএনজি কাগজ পত্র যেগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেগুলো ঠিক করতে তাদের সময় দিতে হবে। এ বিষয়ে তারা আবেদন করেছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করেছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার কিছু যান মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশাও রয়েছে। চালকরা তাদের সংসার চালাতে সিএনজি চালায়। এজন্য আইনীভাবে যেন তারা সঠিক নিয়মে সিএনজি চালাতে পারে সেদিকে মানবিক দিক বিবেচনা করে ছাড় দেয়া হচ্ছে। কিন্তু নিষিদ্ধ যান যেন সড়কে চলতে না পারে সে বিষয়েও সরকার কাজ করছে। যদিও সড়কে সিএনজি চলে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে বৈধতা দিয়ে শৃঙ্খলার মধ্যে চলতে পারে সে বিষয়েও সরকার কাজ করছে।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সিএনজিচালকদের অবরোধ -সংবাদ
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেছে ভৈরবের সিএনজি চালকরা। ১১ মে রোববার ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের হাজী আসমত কলেজ রোড এলাকায় হাইওয়ে থানার সামনে এই অবরোধ করা হয়। এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীবাহী পরিবহনের সাধারণ যাত্রী, দূরপাল্লার যানের চালকরা। খবর পেয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সিএনজি চালকদের কাছ থেকে বিকেল পর্যন্ত সময় চেয়ে অবরোধ উঠিয়ে নেন ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার।
এ সময় সিএনজি চালকরা বলেন, ভৈরবে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার সিএনজি চলাচল করে। বেশির ভাগ সিএনজির চালক হতদরিদ্র। সারাদিন ৫শ থেকে ৭শ টাকা ইনকাম করে। কিন্তু সড়কে চলতে গেলে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ সিএনজি আটকে অযথা ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকা পর্যন্ত মামলা দিয়ে দেয়। এতে করে চালকরা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েন।
এদিকে গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ঠিক না থাকলে সময় না দিয়ে থানায় এনে গাড়ি আটকে রেখে চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে চালকদের মারধর করে। রোববার সকালে ৫টি গাড়ি থানায় আটকে রাখে। গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও অনেক গাড়ির কাগজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। গাড়ির কাগজপত্র ঠিক করতেও সময় লাগে। এর মধ্যে বসে থাকলে পরিবারের খাবার জুটবে না। এদিকে ভৈরবের দালালদের সঙ্গে আঁতাত করে হাইওয়ে থানা পুলিশ সিএনজি চালকদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে চাঁদা আদায় করছে। হাইওয়ে থানা পুলিশ ও দালালদের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করেন চালকরা।
এ বিষয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, চালকদের দাবি সিএনজি কাগজ পত্র যেগুলো মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেগুলো ঠিক করতে তাদের সময় দিতে হবে। এ বিষয়ে তারা আবেদন করেছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করেছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার কিছু যান মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশাও রয়েছে। চালকরা তাদের সংসার চালাতে সিএনজি চালায়। এজন্য আইনীভাবে যেন তারা সঠিক নিয়মে সিএনজি চালাতে পারে সেদিকে মানবিক দিক বিবেচনা করে ছাড় দেয়া হচ্ছে। কিন্তু নিষিদ্ধ যান যেন সড়কে চলতে না পারে সে বিষয়েও সরকার কাজ করছে। যদিও সড়কে সিএনজি চলে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে বৈধতা দিয়ে শৃঙ্খলার মধ্যে চলতে পারে সে বিষয়েও সরকার কাজ করছে।