আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পর নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে ওই হামলা চালানো হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু আত্মগোপনে রয়েছেন।
আবদুল ওয়াদুদের পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫০ থেকে ৬০টি মোটরসাইকেল যোগে শতাধিক যুবক পিন্টুর বাড়িতে ঢোকে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন করে ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ব্যক্তিরা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় পিন্টুর স্ত্রী ও দুকান্যাসহ বাড়ির ভাড়াটিয়ারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে আর্তচিৎকার করতে থাকে। পিন্টুর স্ত্রী তার দুকন্যাকে নিয়ে বাড়ির স্টোর রুমে আশ্রয় নেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ফোন করেন।
আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর স্ত্রী সাবরিনা মাহজাবিন জয়ন্তী অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় প্রতিটি কক্ষে হামলা ভাঙচুর ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা বাড়ির সামনে রাখা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে এই তা-ব চালানো হয়। তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরেও হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা চলে গেলে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভান।
জয়ন্তী আরও জানান, হামলাকারীদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। তবে তারা হামলার শুরুতে জিয়ার সৈনিক একহও লড়াই করো সেøাগান দিয়েছিল। হামলা-ভাঙচুর করে তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিদর্শন করে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকেন এ হামলা-ভাঙচুর বিএনপির কেউ জড়িত নয়।
এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর আমরা শহরে আনন্দ মিছিল করেছি। আমাদের কেহ এ হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর শহরে মিছিল হচ্ছিল আমরা শহরে ব্যাস্ত ছিলাম এ ফাকে হামলকারীরা পিন্টুর বাসায় হামলা করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করে। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পর নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে ওই হামলা চালানো হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু আত্মগোপনে রয়েছেন।
আবদুল ওয়াদুদের পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫০ থেকে ৬০টি মোটরসাইকেল যোগে শতাধিক যুবক পিন্টুর বাড়িতে ঢোকে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন করে ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ব্যক্তিরা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় পিন্টুর স্ত্রী ও দুকান্যাসহ বাড়ির ভাড়াটিয়ারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে আর্তচিৎকার করতে থাকে। পিন্টুর স্ত্রী তার দুকন্যাকে নিয়ে বাড়ির স্টোর রুমে আশ্রয় নেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ফোন করেন।
আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর স্ত্রী সাবরিনা মাহজাবিন জয়ন্তী অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় প্রতিটি কক্ষে হামলা ভাঙচুর ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা বাড়ির সামনে রাখা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে এই তা-ব চালানো হয়। তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরেও হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা চলে গেলে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভান।
জয়ন্তী আরও জানান, হামলাকারীদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। তবে তারা হামলার শুরুতে জিয়ার সৈনিক একহও লড়াই করো সেøাগান দিয়েছিল। হামলা-ভাঙচুর করে তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিদর্শন করে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকেন এ হামলা-ভাঙচুর বিএনপির কেউ জড়িত নয়।
এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর আমরা শহরে আনন্দ মিছিল করেছি। আমাদের কেহ এ হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর শহরে মিছিল হচ্ছিল আমরা শহরে ব্যাস্ত ছিলাম এ ফাকে হামলকারীরা পিন্টুর বাসায় হামলা করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করে। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।