সিরাজগঞ্জ : কোরবানির জন্য খামারে প্রস্তুত গবাদি পশু -সংবাদ
ঈদুল আজহার এক মাসেরও কম রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের ৯ উপজেলায় কোরবানির জন্য খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে ৬ লাখ ৫৫, ৯০৪টি গবাদি পশু। এর মধ্যে গরু রয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯১টি, মহিষ ৩৮৭৪টি, ছাগল রয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১২টি, ভেড়া ৬৭ হাজার ৩০৩টি, অন্যান্ন ২৪টি। এর মধ্যে জেলার চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৪১টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৩টি। বাড়তি লাভের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে পশুর বাড়তি যত্ন আর লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা। জেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা পূরণ করে এখানকার গবাদি পশু।
এদিকে, দফায় দফায় বেড়েই চলছে গো-খাদ্যের দাম। খামারিদের এখন গো-খাদ্যে খরচ বেড়েছে। ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি করতে না পারলে লোকসান হবে বলে জানান খামারিরা। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে কোরবানির পশুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯ উপজেলায় খামার গুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মোটাতাজা করেছে। এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৪১টি। এই চাহিদা মিটিয়ে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৩টি পশু সারাদেশে যাবে। এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার যাতে ব্যবহার না করে এ জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে।
খামারিরা জানান, কোরবানির ঈদে তারা এসব গবাদিপশু বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি আয় করবে। খামারিরা নিজ বাড়ি ও খামারে বছরজুড়ে গবাদি পশুগুলো লালন-পালনের মাধ্যমে মোটাতাজা করেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে এখানকার পশু মোটাতাজা করা হয়। ছোট বড় গবাদি পশুর খামারের মাধ্যমে এ জেলার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের পথ তৈরি হয়েছে। সদর উপজেলার চররায়পুর গ্রামের খামারি গোলাপ হোসেন জানান, এ বছর কোরবানির জন্য ২০টি ষাড় প্রস্তত করেছি। কিন্তু গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে তাদের এবার বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন। একই উপজেলার বেজগাঁতীর খামারি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর বিক্রির জন্য ৬টি ষাড় প্রস্তুত করেছি। গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে আছি। গরুগুলোকে যে পরিমাণ খাওয়ানো হচ্ছে তাতে সঠিক দাম পাব কি না এ নিয়ে বড় চিন্তায় আছি।
সদর উপজেলার সয়দাবাদ অবস্থিত আরাভ অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান সিহাব জানান, তাদের খামারে দেশি-বিদেশি মিলে শতাধিক ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, দুম্বা মোটাতাজা করা হয়েছে। তাদের খামারে লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা দামের পশু মোটাতাজা করা হয়েছে- যার বেশিরভাগ পশু খামার থেকেই বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া তারা সারা বছরই পশু মোটাতাজা করে বিক্রি করে থাকেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা. একেএম আনোয়ারুল হক জানান, প্রতিটি উপজেলার খামার পরির্দশন করে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ ওষুধপত্র দেয়া হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের গো-খামারিরা পশু পালনে সচেতন।
খামারিরা পকু পালনে কোনো প্রকার ক্ষতি কারক ওষুধ ব্যাবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করছেন। এ ব্যপারে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয় হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে পশুগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং খামারিদের পশু বিক্রয়ের সুবিধার্থে অনলাইনে প্রচার চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, জেলায় ৩১টি স্থায়ী ও বিভিন্ন অস্থায়ী পশুর হাটের মাধ্যমে এসব গবাদি পশু বিক্রি করা হবে।
সিরাজগঞ্জ : কোরবানির জন্য খামারে প্রস্তুত গবাদি পশু -সংবাদ
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
ঈদুল আজহার এক মাসেরও কম রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের ৯ উপজেলায় কোরবানির জন্য খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে ৬ লাখ ৫৫, ৯০৪টি গবাদি পশু। এর মধ্যে গরু রয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯১টি, মহিষ ৩৮৭৪টি, ছাগল রয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১২টি, ভেড়া ৬৭ হাজার ৩০৩টি, অন্যান্ন ২৪টি। এর মধ্যে জেলার চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৪১টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৩টি। বাড়তি লাভের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে পশুর বাড়তি যত্ন আর লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা। জেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা পূরণ করে এখানকার গবাদি পশু।
এদিকে, দফায় দফায় বেড়েই চলছে গো-খাদ্যের দাম। খামারিদের এখন গো-খাদ্যে খরচ বেড়েছে। ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি করতে না পারলে লোকসান হবে বলে জানান খামারিরা। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে কোরবানির পশুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯ উপজেলায় খামার গুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া মোটাতাজা করেছে। এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৪১টি। এই চাহিদা মিটিয়ে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৩টি পশু সারাদেশে যাবে। এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার যাতে ব্যবহার না করে এ জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে।
খামারিরা জানান, কোরবানির ঈদে তারা এসব গবাদিপশু বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি আয় করবে। খামারিরা নিজ বাড়ি ও খামারে বছরজুড়ে গবাদি পশুগুলো লালন-পালনের মাধ্যমে মোটাতাজা করেন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে এখানকার পশু মোটাতাজা করা হয়। ছোট বড় গবাদি পশুর খামারের মাধ্যমে এ জেলার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের পথ তৈরি হয়েছে। সদর উপজেলার চররায়পুর গ্রামের খামারি গোলাপ হোসেন জানান, এ বছর কোরবানির জন্য ২০টি ষাড় প্রস্তত করেছি। কিন্তু গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে তাদের এবার বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন। একই উপজেলার বেজগাঁতীর খামারি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর বিক্রির জন্য ৬টি ষাড় প্রস্তুত করেছি। গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে আছি। গরুগুলোকে যে পরিমাণ খাওয়ানো হচ্ছে তাতে সঠিক দাম পাব কি না এ নিয়ে বড় চিন্তায় আছি।
সদর উপজেলার সয়দাবাদ অবস্থিত আরাভ অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান সিহাব জানান, তাদের খামারে দেশি-বিদেশি মিলে শতাধিক ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, দুম্বা মোটাতাজা করা হয়েছে। তাদের খামারে লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা দামের পশু মোটাতাজা করা হয়েছে- যার বেশিরভাগ পশু খামার থেকেই বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া তারা সারা বছরই পশু মোটাতাজা করে বিক্রি করে থাকেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা. একেএম আনোয়ারুল হক জানান, প্রতিটি উপজেলার খামার পরির্দশন করে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ ওষুধপত্র দেয়া হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের গো-খামারিরা পশু পালনে সচেতন।
খামারিরা পকু পালনে কোনো প্রকার ক্ষতি কারক ওষুধ ব্যাবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করছেন। এ ব্যপারে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয় হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে পশুগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং খামারিদের পশু বিক্রয়ের সুবিধার্থে অনলাইনে প্রচার চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, জেলায় ৩১টি স্থায়ী ও বিভিন্ন অস্থায়ী পশুর হাটের মাধ্যমে এসব গবাদি পশু বিক্রি করা হবে।