ঝালকাঠি সদর উপজেলায় নথুল্লাবাদ ইউনিয়নে বীরকাঠি ও সাবাঙ্গল গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মরে যাওয়া খাল খনন করা হয়েছে। এই খননের ফলে এই দুই গ্রামের কৃষকরা ৫০০ একর জায়গায় বোরো আবাদ সম্প্রসারণ করার সুযোগ পাবে। গুরুধাম থেকে মানপাশা প্রধান খালের সংযোগ থেকে গ্রামের মধ্য থেকে এই খালগুলো একসময় সচল ছিল। কিন্তু সংস্কারের অভাবে খালগুলো ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে মরে যায়। খালগুলো ভরে যাওয়ায় বোরো মৌসুমে কৃষকদের সেচ সুবিধা না থাকায় এই জায়গাজুড়ে চাষাবাদ বন্ধ থাকে। ঝালকাঠির নথুল্লাবাদ ইউনিয়নজুড়েই জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় দুই দশক ধরে এই ইউনিয়নে শুধু বোরো ধানের চাষ হয় এবং আউশ আমন মৌসুমে জমিগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় অন্যকোন ধান চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না।
এলজিইডি বিভাগের ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির মাধ্যমে খাল খনন করা হয়েছে। ৪.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালগুলো ৩০ ফুট প্রসস্থ রেখে সাড়ে ৪ ফুট গভীর করে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে খাল খনন করা হয়। ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত খাল খনন করা হয়েছে। খাল খননের ফলে খালের দুই পাশে কাটা মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধ করা হয়েছে। খাল খনন করায় কৃষকদের বোরো চাষা বন্ধ হয়ে যাওয়া আবার শুরু করতে পারবেন এই কারণে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি খালের দুই পাশে বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষাবাদ করা যাবে এবং বনায়ন কর্মসূচির আওতায় গাছ লাগানো হবে। এই এলাকায় বোরো আবাদ সম্প্রসারিত হওয়ায় কৃষকের পাশাপাশি কৃষি বিভাগও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। স্কেভেটার মেশিন দিয়ে ডিজাইন অনুযায়ী কাজের গুনগত অক্ষুণ্ণ রেখে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে এলজিইডি বিভাগ। ক্ষুদ্র পানি সেচ ব্যবস্থাপনা কমিটি এই কাজের তদারকি করেছেন।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় নথুল্লাবাদ ইউনিয়নে বীরকাঠি ও সাবাঙ্গল গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মরে যাওয়া খাল খনন করা হয়েছে। এই খননের ফলে এই দুই গ্রামের কৃষকরা ৫০০ একর জায়গায় বোরো আবাদ সম্প্রসারণ করার সুযোগ পাবে। গুরুধাম থেকে মানপাশা প্রধান খালের সংযোগ থেকে গ্রামের মধ্য থেকে এই খালগুলো একসময় সচল ছিল। কিন্তু সংস্কারের অভাবে খালগুলো ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে মরে যায়। খালগুলো ভরে যাওয়ায় বোরো মৌসুমে কৃষকদের সেচ সুবিধা না থাকায় এই জায়গাজুড়ে চাষাবাদ বন্ধ থাকে। ঝালকাঠির নথুল্লাবাদ ইউনিয়নজুড়েই জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় দুই দশক ধরে এই ইউনিয়নে শুধু বোরো ধানের চাষ হয় এবং আউশ আমন মৌসুমে জমিগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় অন্যকোন ধান চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না।
এলজিইডি বিভাগের ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির মাধ্যমে খাল খনন করা হয়েছে। ৪.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালগুলো ৩০ ফুট প্রসস্থ রেখে সাড়ে ৪ ফুট গভীর করে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে খাল খনন করা হয়। ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত খাল খনন করা হয়েছে। খাল খননের ফলে খালের দুই পাশে কাটা মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধ করা হয়েছে। খাল খনন করায় কৃষকদের বোরো চাষা বন্ধ হয়ে যাওয়া আবার শুরু করতে পারবেন এই কারণে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি খালের দুই পাশে বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষাবাদ করা যাবে এবং বনায়ন কর্মসূচির আওতায় গাছ লাগানো হবে। এই এলাকায় বোরো আবাদ সম্প্রসারিত হওয়ায় কৃষকের পাশাপাশি কৃষি বিভাগও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। স্কেভেটার মেশিন দিয়ে ডিজাইন অনুযায়ী কাজের গুনগত অক্ষুণ্ণ রেখে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে এলজিইডি বিভাগ। ক্ষুদ্র পানি সেচ ব্যবস্থাপনা কমিটি এই কাজের তদারকি করেছেন।