পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ১৩৮নং দক্ষিণ দীঘির জান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটির পরেও জাতীয় পতাকা উরতে দেখা গেছে। তালাবদ্ধ বিদ্যালয়ের এমন চিত্রে দিন গড়িয়ে রাত নেমে এলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানায়। স্থানীয় এক সাংবাদিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরিতোষ চন্দ্র ম-লের কাছে জাতীয় পতাকা না নামানোর কারন জানতে চাইলে ওই শিক্ষক তড়িঘড়ি করে রাত ৮টার পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জাতীয় পতাকা নামিয়ে নেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক ৫ জন হলেও এদিন উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২ জন সহকারী শিক্ষক। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ৬ মে (মঙ্গলবার) স্কুল শুরু হওয়ার সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও সেটি আর নামানো হয়নি। বিদ্যালয় ছুটি হলে শিক্ষকরা তালা দিয়ে চলে যান। সেদিন রাত ৮টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখেন এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ১৩৮নং দক্ষিণ দীঘির জান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লীলা রানি রানি বেপারী বলেন, আমি গতদিন উপজেলায় আমাদের মাসিক মিটিংয়ে ছিলাম এবং বিদ্যালয়ের প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরিক্ষা ২০২৫-এর প্রশ্নপত্র আনতে গিয়েছিলাম। পরে বাড়িতে এসে শুনতে পাই, বিদ্যালয়ে যেই শিক্ষকরা ছিলেন তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় পতাকা নামাননি। আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এক শিক্ষকের মাধ্যমে পতাকাটি নামিয়ে ফেলি। ঘটনাটি নিয়ে আমি খুবই অনুতপ্ত এবং আমার শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। ১৩৮নং দক্ষিণ দীঘির জান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ক্লাস্টার শিক্ষা অফিসার এটিও মাসুম বিল্লাহ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অফিসিয়াল জবাব চাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। নাজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসা. হেনায়ারা খানম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে এই বিষয়ে আমরা আপনাকে জানাবো। পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, তদন্ত করে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করাা হবে। এই বিষয়ে কথা বলতে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বির মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ১৩৮নং দক্ষিণ দীঘির জান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটির পরেও জাতীয় পতাকা উরতে দেখা গেছে। তালাবদ্ধ বিদ্যালয়ের এমন চিত্রে দিন গড়িয়ে রাত নেমে এলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানায়। স্থানীয় এক সাংবাদিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরিতোষ চন্দ্র ম-লের কাছে জাতীয় পতাকা না নামানোর কারন জানতে চাইলে ওই শিক্ষক তড়িঘড়ি করে রাত ৮টার পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জাতীয় পতাকা নামিয়ে নেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক ৫ জন হলেও এদিন উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২ জন সহকারী শিক্ষক। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ৬ মে (মঙ্গলবার) স্কুল শুরু হওয়ার সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও সেটি আর নামানো হয়নি। বিদ্যালয় ছুটি হলে শিক্ষকরা তালা দিয়ে চলে যান। সেদিন রাত ৮টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখেন এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ১৩৮নং দক্ষিণ দীঘির জান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লীলা রানি রানি বেপারী বলেন, আমি গতদিন উপজেলায় আমাদের মাসিক মিটিংয়ে ছিলাম এবং বিদ্যালয়ের প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরিক্ষা ২০২৫-এর প্রশ্নপত্র আনতে গিয়েছিলাম। পরে বাড়িতে এসে শুনতে পাই, বিদ্যালয়ে যেই শিক্ষকরা ছিলেন তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় পতাকা নামাননি। আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এক শিক্ষকের মাধ্যমে পতাকাটি নামিয়ে ফেলি। ঘটনাটি নিয়ে আমি খুবই অনুতপ্ত এবং আমার শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। ১৩৮নং দক্ষিণ দীঘির জান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ক্লাস্টার শিক্ষা অফিসার এটিও মাসুম বিল্লাহ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অফিসিয়াল জবাব চাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। নাজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসা. হেনায়ারা খানম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে এই বিষয়ে আমরা আপনাকে জানাবো। পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, তদন্ত করে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করাা হবে। এই বিষয়ে কথা বলতে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বির মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।