মানিকগঞ্জ : বেকারিতে নোংরা পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে শিশুখাদ্য -সংবাদ
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বেকারি । এসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে শিশু খাবার। উৎপাদিত খাদ্যের গুনগতমান এবং পরিমাপ নিশ্চিকরণে স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারি। কারখানাগুলোতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ছাড়াই বাহারি মোড়কে বিস্কুট, ক্রিমরোল, বনরুটি, সেমাই, কটকটি, বাটারবোন, ঘিটোস্ট, কেক, বাটারবন, পাউরুটি শিশু খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড খাবার উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। কোন প্রকার পরীক্ষা, নিরিক্ষা ছাড়াই খাদ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বেকারি কর্মরত শ্রমিকরা প্যাকেটে দিয়ে দিচ্ছে। জেলার প্রতিটি বেকারিতে শ্রমিকদের পাশাপাশি ১০ থেকে ১২ বছরের শিশুদের কাজ করতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ বেকারি ও কারখানায় কোনো প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। উৎপাদিত খাবারেরমান নিয়ন্ত্রনকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্টান্ডার্ডস টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর অনুমোদন ও খাদ্য বিভাগের ছারপত্র নেই। নেই ট্রেড লাইসেন্স।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জে মোট ৭২টি বেকারি আছে। এর মধ্যে সদরে ১৮টি , সিংগাইরে ২২টি ঘিওরে ৫টি, শিবালয়ে ৩টি, দৌলতপুরে ৩টি, সাটুরিয়াতে ৩টি, হরিরামপুরে ১৬টি বেকারি রয়েছে। এসব বেকারির উৎপাদিত খাদ্যেরমান প্রণয়ন এবং গুনগতমান ও পরিবেশ নিশ্চিতকরনের কোনো প্রকারের ব্যবস্থা নেই। অভিযোগ রয়েছে, জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন বেকারিতে শিশু খাদ্য তৈরি করতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, কেমিক্যাল, নিম্নমানের পাম তেল, আটা ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া শ্রমিকরা বিশেষ পোশাক ছাড়া খালি গায়ে খাবার তৈরি করছে। নোংরা অপরিস্কার কড়াই গুলোতে আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। প্রতিটি খাবারে আটা, ইস্, ডিম, সোডা দেওয়া হয়। ডালডা ও চিনি দিয়ে তৈরিকৃত ক্রিম রাখার পাত্রগুলোতে তেলাপোকা, ঝাঁকে ঝাঁকে মশা মাছি ভনভন করছে। প্রতিটি খাবারে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন হাট বাজার গুলোতে অটোবাইক ও ভ্যানে করে দিবারাত্রি খাদ্য সামগ্রীগুলো দোকানে দোকোনে পৌঁছে দিচ্ছে। আশ্চর্য বিষয়, খাবারগুলো কবে উৎপাদন করা হয়েছে। কবে মেয়াদ শেষ হবে তার কোন উল্লেখ নেই।, বেকারির মালিকরা নিজেরাই উৎপাদন মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লেখা স্টিকার পণ্য সামগ্রী প্যাকেটে ভিতরে দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিম্মনমানের উপকরন দিয়ে তৈরি করা এসব খাবার স্বাস্থের জন্য খুবই খারাপ ও ঝুঁকিপূর্ণ। খোলা বাজারের কোনো খাদ্য শিশুদের খাওয়ানো টিক নয়। ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। যা মানক দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জেলার বিভিন্ন বেকারিতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর রং কেমিক্যাল, দিয়ে তৈরিকৃত শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা আইনত নিষিদ্ধ। আমি নতুন যোগদান করেছি। বেকারির তালিকা আমার অফিসে নেই। অভিযোগ পেলে এ সব বেকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মানিকগঞ্জ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজন্তা জানান, আমি ইতোমধ্যে তিনটি বেকারির মালিককে জড়িমারা করা হয়েছে। তবে আমাদের কার্য়ক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে জেলাকে কতটি বেকারি বা কারখানা আছে তা আমার জানা নেই।
মানিকগঞ্জ : বেকারিতে নোংরা পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে শিশুখাদ্য -সংবাদ
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বেকারি । এসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে শিশু খাবার। উৎপাদিত খাদ্যের গুনগতমান এবং পরিমাপ নিশ্চিকরণে স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারি। কারখানাগুলোতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ ছাড়াই বাহারি মোড়কে বিস্কুট, ক্রিমরোল, বনরুটি, সেমাই, কটকটি, বাটারবোন, ঘিটোস্ট, কেক, বাটারবন, পাউরুটি শিশু খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড খাবার উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। কোন প্রকার পরীক্ষা, নিরিক্ষা ছাড়াই খাদ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বেকারি কর্মরত শ্রমিকরা প্যাকেটে দিয়ে দিচ্ছে। জেলার প্রতিটি বেকারিতে শ্রমিকদের পাশাপাশি ১০ থেকে ১২ বছরের শিশুদের কাজ করতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ বেকারি ও কারখানায় কোনো প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। উৎপাদিত খাবারেরমান নিয়ন্ত্রনকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্টান্ডার্ডস টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর অনুমোদন ও খাদ্য বিভাগের ছারপত্র নেই। নেই ট্রেড লাইসেন্স।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জে মোট ৭২টি বেকারি আছে। এর মধ্যে সদরে ১৮টি , সিংগাইরে ২২টি ঘিওরে ৫টি, শিবালয়ে ৩টি, দৌলতপুরে ৩টি, সাটুরিয়াতে ৩টি, হরিরামপুরে ১৬টি বেকারি রয়েছে। এসব বেকারির উৎপাদিত খাদ্যেরমান প্রণয়ন এবং গুনগতমান ও পরিবেশ নিশ্চিতকরনের কোনো প্রকারের ব্যবস্থা নেই। অভিযোগ রয়েছে, জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন বেকারিতে শিশু খাদ্য তৈরি করতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, কেমিক্যাল, নিম্নমানের পাম তেল, আটা ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া শ্রমিকরা বিশেষ পোশাক ছাড়া খালি গায়ে খাবার তৈরি করছে। নোংরা অপরিস্কার কড়াই গুলোতে আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। প্রতিটি খাবারে আটা, ইস্, ডিম, সোডা দেওয়া হয়। ডালডা ও চিনি দিয়ে তৈরিকৃত ক্রিম রাখার পাত্রগুলোতে তেলাপোকা, ঝাঁকে ঝাঁকে মশা মাছি ভনভন করছে। প্রতিটি খাবারে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন হাট বাজার গুলোতে অটোবাইক ও ভ্যানে করে দিবারাত্রি খাদ্য সামগ্রীগুলো দোকানে দোকোনে পৌঁছে দিচ্ছে। আশ্চর্য বিষয়, খাবারগুলো কবে উৎপাদন করা হয়েছে। কবে মেয়াদ শেষ হবে তার কোন উল্লেখ নেই।, বেকারির মালিকরা নিজেরাই উৎপাদন মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লেখা স্টিকার পণ্য সামগ্রী প্যাকেটে ভিতরে দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিম্মনমানের উপকরন দিয়ে তৈরি করা এসব খাবার স্বাস্থের জন্য খুবই খারাপ ও ঝুঁকিপূর্ণ। খোলা বাজারের কোনো খাদ্য শিশুদের খাওয়ানো টিক নয়। ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। যা মানক দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জেলার বিভিন্ন বেকারিতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর রং কেমিক্যাল, দিয়ে তৈরিকৃত শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা আইনত নিষিদ্ধ। আমি নতুন যোগদান করেছি। বেকারির তালিকা আমার অফিসে নেই। অভিযোগ পেলে এ সব বেকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মানিকগঞ্জ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজন্তা জানান, আমি ইতোমধ্যে তিনটি বেকারির মালিককে জড়িমারা করা হয়েছে। তবে আমাদের কার্য়ক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে জেলাকে কতটি বেকারি বা কারখানা আছে তা আমার জানা নেই।