বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে গত চারদিন ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে আমতলী-তালতলীর মাঠ-ঘাট তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন না হওয়ায় পানি বন্দি হয়ে পরেছেন দুই উপজেলার লাখো মানুষ।
জানাগেছে, গত চার দিনে আমতলীতে ১৪০.৫৮ মিমি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী ও উপজেলার মাঠঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্দি হয়ে উপছে দুই উপজেলার অন্তত লাখো মানুষ। পানির নীতে তলিয়ে রয়েছে আউশের বীজতলা ও মাছের ঘের। শুক্রবার তেমন বৃষ্টি না হলেও মাঠ ও ঘাটের পানি তেমন নিস্কাশন হয়নি। মাঠ-ঘাট পানিতে থৈ থৈ করছে।
শনিবার দুপুরে আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পৌর শহরের নিমাঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের ঘরে পানি ওঠেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের সহায়তা করছে। এছাড়া আমতলী উপজেলার জোয়ারের পানিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাহিরের এলাকা তলিয়ে গেছে। তারা অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের তক্তাবুনিয়া গ্রামের শিবলী শরীফ বলেন, পানিতে মাঠ-ঘাট থৈ থৈ করছে। তেমন পানি নিস্কাশন না হওয়ায় পানি বন্দি হয়ে পরেছি। কাইনিয়া গ্রামের কৃষক জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন, শুধু পানি আর পানি। পানির কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া গ্রামের কাওসার মাদবর বলেন, স্লুইজ দিয়ে পানি নামছে কিন্তু যতটুকু নামা প্রয়োজন ততটুকু নামছে না। এভাবে পানি নামলে ৮ দিন লাগবে মাঠের পানি কমতে।
গুলিশাখালীর বাইনবুনিয়া গ্রামের ইব্রাহিম চৌকিদার বলেন, পানিতে সব তলিয়ে গেছে। গতরাতে তেমন বৃষ্টি হয়নি কিন্তু তারপরও পানি কমেনি। তিনি আরো বলেন, স্লুইজগেট গুলো দিয়ে তেমন পানি না নামার কারনে এমন অবস্থা হয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হিমেল মিয়া বলেন, উপজেলার অনেক স্লুইজেরই জলকপাল নেই। ফলে জোয়ারে পানি ওঠে,আবার ভাটায় পানি নামে। তার উপরে অতিবৃষ্টির পানিতে মাঠ-ঘাট তলিয়ে আছে। সব মিলিয়ে পানি নিস্কাশন হতে সময় লাগবে।
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে গত চারদিন ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে আমতলী-তালতলীর মাঠ-ঘাট তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন না হওয়ায় পানি বন্দি হয়ে পরেছেন দুই উপজেলার লাখো মানুষ।
জানাগেছে, গত চার দিনে আমতলীতে ১৪০.৫৮ মিমি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী ও উপজেলার মাঠঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্দি হয়ে উপছে দুই উপজেলার অন্তত লাখো মানুষ। পানির নীতে তলিয়ে রয়েছে আউশের বীজতলা ও মাছের ঘের। শুক্রবার তেমন বৃষ্টি না হলেও মাঠ ও ঘাটের পানি তেমন নিস্কাশন হয়নি। মাঠ-ঘাট পানিতে থৈ থৈ করছে।
শনিবার দুপুরে আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পৌর শহরের নিমাঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের ঘরে পানি ওঠেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের সহায়তা করছে। এছাড়া আমতলী উপজেলার জোয়ারের পানিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাহিরের এলাকা তলিয়ে গেছে। তারা অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের তক্তাবুনিয়া গ্রামের শিবলী শরীফ বলেন, পানিতে মাঠ-ঘাট থৈ থৈ করছে। তেমন পানি নিস্কাশন না হওয়ায় পানি বন্দি হয়ে পরেছি। কাইনিয়া গ্রামের কৃষক জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন, শুধু পানি আর পানি। পানির কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া গ্রামের কাওসার মাদবর বলেন, স্লুইজ দিয়ে পানি নামছে কিন্তু যতটুকু নামা প্রয়োজন ততটুকু নামছে না। এভাবে পানি নামলে ৮ দিন লাগবে মাঠের পানি কমতে।
গুলিশাখালীর বাইনবুনিয়া গ্রামের ইব্রাহিম চৌকিদার বলেন, পানিতে সব তলিয়ে গেছে। গতরাতে তেমন বৃষ্টি হয়নি কিন্তু তারপরও পানি কমেনি। তিনি আরো বলেন, স্লুইজগেট গুলো দিয়ে তেমন পানি না নামার কারনে এমন অবস্থা হয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হিমেল মিয়া বলেন, উপজেলার অনেক স্লুইজেরই জলকপাল নেই। ফলে জোয়ারে পানি ওঠে,আবার ভাটায় পানি নামে। তার উপরে অতিবৃষ্টির পানিতে মাঠ-ঘাট তলিয়ে আছে। সব মিলিয়ে পানি নিস্কাশন হতে সময় লাগবে।