বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে চোরাচালানকৃত গরু ছিনিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও চোরাকারবারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বিজিবির তিন সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহত চোরাকারবারীর একজন মাঝি হিসেবে পরিচিত।
ঘটনাটি ঘটে রবিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের উত্তর ছালামীপাড়ার বামুর ঘোনার রাস্তার মাথা এলাকায়। এ ঘটনায় পরদিন সোমবার (২ জুন) সকালে ১১ বিজিবির পক্ষ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযোগে সরকারি কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করার কথা বলা হয়েছে।
১১ বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যা থেকে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি সদস্যরা। পরে রাতের দিকে বড়তারাখলা এলাকা দিয়ে ১৮টি বার্মিজ গরু পাচারের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। বিজিবি সদস্যরা তা জব্দ করলে চোরাকারবারীদের একটি দল আক্তার কামালের নেতৃত্বে হামলা চালায়। তারা গুলি চালানোর পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে বিজিবি সদস্যদের ওপর চড়াও হয়।
বিজিবির দাবি, হামলার সময় তারা বিজিবির একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। আত্মরক্ষায় বিজিবি সদস্যরা এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে সংঘর্ষে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন—ল্যান্স নায়েক মো. শফিকুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক মো. নজরুল ইসলাম ও সিপাহী মো. সোহাগ।
তারা বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার সময় জব্দ করা ১৮টি গরুর মধ্যে চোরাকারবারীরা বিজিবির কাছ থেকে ১৩টি গরু ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। বিজিবি বাকী ৫টি গরু জব্দ করে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা।
১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, "আমরা রাষ্ট্রের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু চোরাকারবারীরা বিজিবির ওপর গুলি ছুড়েছে, অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, আমাদের সদস্যদের আহত করেছে। এটি আইনের চরম লঙ্ঘন ও বেপরোয়া অপরাধ।"
আহত চোরাকারবারী আক্তার কামাল ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান এবং অন্যত্র চিকিৎসা নেওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা ঘটনার সময় ২-৩ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন। তবে কারা গুলি ছুড়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাশরুরুল হক জানিয়েছেন, "বিজিবি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।"
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে চোরাচালানকৃত গরু ছিনিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও চোরাকারবারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বিজিবির তিন সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহত চোরাকারবারীর একজন মাঝি হিসেবে পরিচিত।
ঘটনাটি ঘটে রবিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের উত্তর ছালামীপাড়ার বামুর ঘোনার রাস্তার মাথা এলাকায়। এ ঘটনায় পরদিন সোমবার (২ জুন) সকালে ১১ বিজিবির পক্ষ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযোগে সরকারি কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করার কথা বলা হয়েছে।
১১ বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যা থেকে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি সদস্যরা। পরে রাতের দিকে বড়তারাখলা এলাকা দিয়ে ১৮টি বার্মিজ গরু পাচারের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। বিজিবি সদস্যরা তা জব্দ করলে চোরাকারবারীদের একটি দল আক্তার কামালের নেতৃত্বে হামলা চালায়। তারা গুলি চালানোর পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে বিজিবি সদস্যদের ওপর চড়াও হয়।
বিজিবির দাবি, হামলার সময় তারা বিজিবির একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। আত্মরক্ষায় বিজিবি সদস্যরা এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে সংঘর্ষে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন—ল্যান্স নায়েক মো. শফিকুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক মো. নজরুল ইসলাম ও সিপাহী মো. সোহাগ।
তারা বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার সময় জব্দ করা ১৮টি গরুর মধ্যে চোরাকারবারীরা বিজিবির কাছ থেকে ১৩টি গরু ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। বিজিবি বাকী ৫টি গরু জব্দ করে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা।
১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, "আমরা রাষ্ট্রের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু চোরাকারবারীরা বিজিবির ওপর গুলি ছুড়েছে, অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, আমাদের সদস্যদের আহত করেছে। এটি আইনের চরম লঙ্ঘন ও বেপরোয়া অপরাধ।"
আহত চোরাকারবারী আক্তার কামাল ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান এবং অন্যত্র চিকিৎসা নেওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা ঘটনার সময় ২-৩ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন। তবে কারা গুলি ছুড়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাশরুরুল হক জানিয়েছেন, "বিজিবি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।"