কক্সবাজারের রামু উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযানে সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী ডাকাত শাহীন। অভিযানে তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস কমান্ডো ইউনিট।
অভিযানের এক পর্যায়ে একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহীনকে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম: একটি সাব মেশিন গান, দুটি বিদেশি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, ৭০ রাউন্ড গুলি, দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রামু সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডাকাত শাহীন দীর্ঘদিন ধরে রামু, ঈদগাঁও ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।অভিযানকালে তার আস্তানায় সামরিক ধরনের অস্ত্রের মজুত পাওয়া গেছে।
সেনা সূত্রে জানা যায়, শাহীন শুধু ডাকাতিই নয়, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাদক পাচারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত,চোরাকারবারিদের কাছ থেকে ‘পারমিশন ফি’ আদায় করত। এছাড়াও একাধিক অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। শাহীন গ্রেফতারের খবরে রামু উপজেলার মানুষজন স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি গ্রামগুলোর মানুষ রাতে বাইরে বের হতেন না, আতঙ্কে কৃষিকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বহু এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, এই শাহীন দিনের আলোতেও লোকজনকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত। সেনাবাহিনীর এই অভিযান আমাদের জন্য আশীর্বাদ।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহীনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া তার সহযোগী ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজারের রামুর পাহাড়ে বহুদিন ধরে চলা সন্ত্রাস ও অস্ত্রের দৌরাত্ম্য বন্ধে শাহীনের গ্রেফতার একটি বড় পদক্ষেপ। এলাকাবাসী এখন চায়—এ অভিযান চলমান থাকুক, এবং যারা তার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ছিল, তারাও আইনের আওতায় আনা হোক।
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
কক্সবাজারের রামু উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযানে সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী ডাকাত শাহীন। অভিযানে তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস কমান্ডো ইউনিট।
অভিযানের এক পর্যায়ে একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহীনকে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম: একটি সাব মেশিন গান, দুটি বিদেশি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, ৭০ রাউন্ড গুলি, দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রামু সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডাকাত শাহীন দীর্ঘদিন ধরে রামু, ঈদগাঁও ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।অভিযানকালে তার আস্তানায় সামরিক ধরনের অস্ত্রের মজুত পাওয়া গেছে।
সেনা সূত্রে জানা যায়, শাহীন শুধু ডাকাতিই নয়, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাদক পাচারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত,চোরাকারবারিদের কাছ থেকে ‘পারমিশন ফি’ আদায় করত। এছাড়াও একাধিক অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। শাহীন গ্রেফতারের খবরে রামু উপজেলার মানুষজন স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি গ্রামগুলোর মানুষ রাতে বাইরে বের হতেন না, আতঙ্কে কৃষিকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বহু এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, এই শাহীন দিনের আলোতেও লোকজনকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত। সেনাবাহিনীর এই অভিযান আমাদের জন্য আশীর্বাদ।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহীনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া তার সহযোগী ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজারের রামুর পাহাড়ে বহুদিন ধরে চলা সন্ত্রাস ও অস্ত্রের দৌরাত্ম্য বন্ধে শাহীনের গ্রেফতার একটি বড় পদক্ষেপ। এলাকাবাসী এখন চায়—এ অভিযান চলমান থাকুক, এবং যারা তার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ছিল, তারাও আইনের আওতায় আনা হোক।