alt

সারাদেশ

কক্সবাজারের শীর্ষ ডাকাত শাহীন সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার : বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

কক্সবাজারের রামু উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযানে সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী ডাকাত শাহীন। অভিযানে তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস কমান্ডো ইউনিট।

অভিযানের এক পর্যায়ে একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহীনকে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম: একটি সাব মেশিন গান, দুটি বিদেশি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, ৭০ রাউন্ড গুলি, দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রামু সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডাকাত শাহীন দীর্ঘদিন ধরে রামু, ঈদগাঁও ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।অভিযানকালে তার আস্তানায় সামরিক ধরনের অস্ত্রের মজুত পাওয়া গেছে।

সেনা সূত্রে জানা যায়, শাহীন শুধু ডাকাতিই নয়, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাদক পাচারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত,চোরাকারবারিদের কাছ থেকে ‘পারমিশন ফি’ আদায় করত। এছাড়াও একাধিক অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। শাহীন গ্রেফতারের খবরে রামু উপজেলার মানুষজন স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি গ্রামগুলোর মানুষ রাতে বাইরে বের হতেন না, আতঙ্কে কৃষিকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বহু এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, এই শাহীন দিনের আলোতেও লোকজনকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত। সেনাবাহিনীর এই অভিযান আমাদের জন্য আশীর্বাদ।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহীনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া তার সহযোগী ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কক্সবাজারের রামুর পাহাড়ে বহুদিন ধরে চলা সন্ত্রাস ও অস্ত্রের দৌরাত্ম্য বন্ধে শাহীনের গ্রেফতার একটি বড় পদক্ষেপ। এলাকাবাসী এখন চায়—এ অভিযান চলমান থাকুক, এবং যারা তার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ছিল, তারাও আইনের আওতায় আনা হোক।

ছবি

ঈদ করতে ঢাকা থেকে রংপুর আসা হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ, ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা সময় লাগছে

স্বস্তির ঈদ যাত্রায় সন্তুষ্ট সিলেটবাসি

ফরিদপুরের মধুখালীতে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, ভ্যানচালকসহ আহত ২০ জন

ছবি

ফরিদপুরে দশ গ্রামের মানুষ আজ পালন করছে ঈদুল আযহা

ছবি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও ধীরগতি

ছবি

পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড

ছবি

খাগড়াছড়ির সীমান্ত নিরাপত্তায় কড়াকড়ি, রামগড়ে চোরাচালান ও পুশইন বন্ধে বিজিবির টহল জোরদার

ছবি

ভারতে যাওয়ার সময় আওয়ামীলীগ নেতা বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটক

ছবি

কালুরঘাটে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫, আহত অন্তত ৬

ছবি

বিএসএফের পুশইনের প্রতিবাদে কড়া অবস্থানে বিজিবি

ছবি

হাটে গরুর নাম ‘শামীম ওসমান’, দাম ১২ লাখ

ছবি

শৈলকুপায় সড়কে ঝরল বাবা-মা ও শিশুপুত্রের প্রাণ

ছবি

শূন্যরেখা অতিক্রমে বিছনাকান্দিতে উত্তেজনা, বিএসএফ ছুড়ল সাউন্ড গ্রেনেড

ছবি

গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চালু হয়েছে হাইওয়ে পুলিশের Hello HP অ্যাপ

ছবি

চরশাহীতে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল চাচাতো ভাই-বোনের

খালেদা জিয়াকে উপহার, ‘কালো মানিক’কে নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

ছবি

যমুনা সেতু এলাকায় ২৫ কিলোমিটার যানজট

ঈদের দশ দিনের ছুটি শুরু আজ

ছবি

বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও পশুর হাটে বাড়তি নিরাপত্তা

প্রতিদিন আদালতে হাজিরার শর্তে আকাশ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ, বিএসএফ সদস্যকে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারবোঝাই ট্রাক উল্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

ছবি

ফরিদপুরে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু, আহত ৪

ছবি

ঈদ সামনে রেখে অন্তহীন ব্যস্ততায় চান্দিনার কামারপাড়া

জগন্নাথপুর সীমান্তে ভারতীয় ভূ-খণ্ডে মাকে শেষ দেখা

ছবি

তাহিরপুরে যুবলীগ নেতাকে চুরির অভিযোগে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

৯৯৯-এ ফোন পেয়ে উদ্ধার, গ্রেপ্তার মোটরসাইকেলচালক

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ ১৮ গরু ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গোলাগুলি, আহত ৪

ছবি

প্যারোল মেলেনি, জেলগেটেই শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান

ঈশ্বরদী ইপিজেডে শত শত শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

ছবি

রাঙামাটিতে পাহাড় ধস-জলাবদ্ধতা, আশ্রয়কেন্দ্রে শত শত মানুষ

ছবি

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় পানির কারণে শ্রমিক অসুস্থতা, তদন্তে কর্তৃপক্ষ

ছবি

সংস্কারের তিন বছর না যেতেই লামা-সুয়ালক সড়ক বেহাল

লাউয়াছড়া পাহাড়ি সড়কে ডাকাতি

tab

সারাদেশ

কক্সবাজারের শীর্ষ ডাকাত শাহীন সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার

বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

কক্সবাজারের রামু উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযানে সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী ডাকাত শাহীন। অভিযানে তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি চৌকস কমান্ডো ইউনিট।

অভিযানের এক পর্যায়ে একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহীনকে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম: একটি সাব মেশিন গান, দুটি বিদেশি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, ৭০ রাউন্ড গুলি, দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রামু সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডাকাত শাহীন দীর্ঘদিন ধরে রামু, ঈদগাঁও ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।অভিযানকালে তার আস্তানায় সামরিক ধরনের অস্ত্রের মজুত পাওয়া গেছে।

সেনা সূত্রে জানা যায়, শাহীন শুধু ডাকাতিই নয়, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাদক পাচারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করত,চোরাকারবারিদের কাছ থেকে ‘পারমিশন ফি’ আদায় করত। এছাড়াও একাধিক অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। শাহীন গ্রেফতারের খবরে রামু উপজেলার মানুষজন স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি গ্রামগুলোর মানুষ রাতে বাইরে বের হতেন না, আতঙ্কে কৃষিকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বহু এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, এই শাহীন দিনের আলোতেও লোকজনকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত। সেনাবাহিনীর এই অভিযান আমাদের জন্য আশীর্বাদ।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহীনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া তার সহযোগী ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কক্সবাজারের রামুর পাহাড়ে বহুদিন ধরে চলা সন্ত্রাস ও অস্ত্রের দৌরাত্ম্য বন্ধে শাহীনের গ্রেফতার একটি বড় পদক্ষেপ। এলাকাবাসী এখন চায়—এ অভিযান চলমান থাকুক, এবং যারা তার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ছিল, তারাও আইনের আওতায় আনা হোক।

back to top