চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেলসেতুতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত ১১টার দিকে, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন একটি সিএনজি, মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় ব্রিজের ওপর দিয়ে যানবাহনগুলো পার হচ্ছিল। ঠিক তখনই দ্রুতগতির ট্রেনটি কোনো হুঁশিয়ারি বা হর্ণ না দিয়েই সেতুতে প্রবেশ করে। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি ছিটকে পড়ে এবং মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও জানা গেছে তারা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা।
সিএনজিতে থাকা এক আহত যাত্রী বলেন, “আমরা ব্রিজ পার হচ্ছিলাম, হঠাৎ পেছন থেকে হর্ণ না দিয়ে ট্রেন এসে ধাক্কা দেয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, কালুরঘাট সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটি একইসঙ্গে রেল ও সড়ক চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হলেও, ট্রেন আসার সময় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কোনো কার্যকর সিগন্যাল বা গেট ব্যবস্থা নেই। এতে এমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি সবসময়ই থেকে যায়।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই ট্রেন চালক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেলসেতুতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত ১১টার দিকে, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন একটি সিএনজি, মোটরসাইকেল এবং প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় ব্রিজের ওপর দিয়ে যানবাহনগুলো পার হচ্ছিল। ঠিক তখনই দ্রুতগতির ট্রেনটি কোনো হুঁশিয়ারি বা হর্ণ না দিয়েই সেতুতে প্রবেশ করে। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি ছিটকে পড়ে এবং মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও জানা গেছে তারা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা।
সিএনজিতে থাকা এক আহত যাত্রী বলেন, “আমরা ব্রিজ পার হচ্ছিলাম, হঠাৎ পেছন থেকে হর্ণ না দিয়ে ট্রেন এসে ধাক্কা দেয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, কালুরঘাট সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটি একইসঙ্গে রেল ও সড়ক চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হলেও, ট্রেন আসার সময় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কোনো কার্যকর সিগন্যাল বা গেট ব্যবস্থা নেই। এতে এমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি সবসময়ই থেকে যায়।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই ট্রেন চালক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এলাকাবাসী।