নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার তমরুদ্দি বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অংশ তমরুদ্দি বাজারে ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। তবে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর আগেই শামীমের অনুসারীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে দলেরই আরেকটি পক্ষের বিরুদ্ধে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত মো. আলাউদ্দিন ওরফে জাহেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে?
পুলিশ ও দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সংঘর্ষে জড়ায় কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবের রহমান শামীম এবং হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারীরা। শামীমের পক্ষের অভিযোগ, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আলমগীর কবিরের অনুসারীরা হামলা চালিয়েছেন। অন্যদিকে আলমগীর কবির বলেন, “আমাদের লোকজনের ওপরই হামলা হয়েছে। আমরা কারও ওপর হামলা করিনি।”
কী ঘটেছিল মাঠে?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের পর সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিকেলে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন,
> “বিএনপির দুই পক্ষ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। দুই পক্ষই মারমুখী অবস্থানে ছিল। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”
উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বলেন,
> “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। পথে বহিষ্কৃত নেতা আলমগীর কবিরের অনুসারীরা হামলা চালায়।”
অন্যদিকে আলমগীর কবির বলেন,
> “তমরুদ্দি এলাকায় আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছে। আমাদের কেউ হামলায় জড়িত নয়।”
পুলিশ জানায়, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
---
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার তমরুদ্দি বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি অংশ তমরুদ্দি বাজারে ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। তবে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর আগেই শামীমের অনুসারীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে দলেরই আরেকটি পক্ষের বিরুদ্ধে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত মো. আলাউদ্দিন ওরফে জাহেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে?
পুলিশ ও দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সংঘর্ষে জড়ায় কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবের রহমান শামীম এবং হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারীরা। শামীমের পক্ষের অভিযোগ, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আলমগীর কবিরের অনুসারীরা হামলা চালিয়েছেন। অন্যদিকে আলমগীর কবির বলেন, “আমাদের লোকজনের ওপরই হামলা হয়েছে। আমরা কারও ওপর হামলা করিনি।”
কী ঘটেছিল মাঠে?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের পর সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিকেলে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন,
> “বিএনপির দুই পক্ষ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। দুই পক্ষই মারমুখী অবস্থানে ছিল। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”
উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বলেন,
> “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। পথে বহিষ্কৃত নেতা আলমগীর কবিরের অনুসারীরা হামলা চালায়।”
অন্যদিকে আলমগীর কবির বলেন,
> “তমরুদ্দি এলাকায় আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছে। আমাদের কেউ হামলায় জড়িত নয়।”
পুলিশ জানায়, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
---