টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত রোববার সকাল থেকে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ২টা) ভারত থেকে কোন ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। ওপারে অনলাইন সিস্টেমে ত্রুটির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রমও গত রোববার সকাল থেকে পুরোপুরি শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বলে জানান বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার। টানা ছুটিতে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে দুদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, দীর্ঘ ঈদের ছুটির পর গত রোববার সকাল থেকে দুদেশের মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় শুরু হয়েছে। ওপারে অনলাইন সিস্টেমে ত্রুটির কারণে কোনো আমদানি পণ্য বন্দরে আসেনি। পুরোদমে কাজ শুরু হতে দুই থেকে তিনদিন সময় লাগবে। বন্দরে পণ্যজট কমাতে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তবে প্রচন্ড গরমে বন্দর অভ্যন্তরে বা ওপেন ইয়ার্ডে হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, গত রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৩০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি হলেও ভারত থেকে কোন পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে আমদানি হয়নি। ওপারের নেট লাইন খারাপ থাকায় কোনো পণ্য ঢুকাতে পারছে পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘দেশের ৮০ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। আমদানিকারকরা গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ায় এখনও ঢাকায় তাদের অফিস খোলেনি। তাই বন্দর থেকে পণ্য খালাসও তেমন নেয়া হচ্ছে না। পুরোপুরি কাজ শুরু হতে দুয়েকদিন লেগে যাবে বলে তিনি জানান।
ঈদের ছুটিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টানা ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ওপারের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র ট্রাকজট সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর এলাকা, বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁ পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি বলেন, ঈদে টানা ১০ দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময় পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। ভারত-বাংলাদেশ ভিসা কার্যক্রম সীমিত থাকায় এ সময় যাত্রীদের চাপ ছিল না- যাতায়াতকৃত যাত্রীদের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে জন্য ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছিল।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত রোববার সকাল থেকে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ২টা) ভারত থেকে কোন ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। ওপারে অনলাইন সিস্টেমে ত্রুটির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রমও গত রোববার সকাল থেকে পুরোপুরি শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বলে জানান বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার। টানা ছুটিতে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে দুদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, দীর্ঘ ঈদের ছুটির পর গত রোববার সকাল থেকে দুদেশের মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় শুরু হয়েছে। ওপারে অনলাইন সিস্টেমে ত্রুটির কারণে কোনো আমদানি পণ্য বন্দরে আসেনি। পুরোদমে কাজ শুরু হতে দুই থেকে তিনদিন সময় লাগবে। বন্দরে পণ্যজট কমাতে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তবে প্রচন্ড গরমে বন্দর অভ্যন্তরে বা ওপেন ইয়ার্ডে হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, গত রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৩০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি হলেও ভারত থেকে কোন পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে আমদানি হয়নি। ওপারের নেট লাইন খারাপ থাকায় কোনো পণ্য ঢুকাতে পারছে পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘দেশের ৮০ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। আমদানিকারকরা গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ায় এখনও ঢাকায় তাদের অফিস খোলেনি। তাই বন্দর থেকে পণ্য খালাসও তেমন নেয়া হচ্ছে না। পুরোপুরি কাজ শুরু হতে দুয়েকদিন লেগে যাবে বলে তিনি জানান।
ঈদের ছুটিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টানা ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ওপারের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র ট্রাকজট সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর এলাকা, বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁ পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি বলেন, ঈদে টানা ১০ দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময় পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। ভারত-বাংলাদেশ ভিসা কার্যক্রম সীমিত থাকায় এ সময় যাত্রীদের চাপ ছিল না- যাতায়াতকৃত যাত্রীদের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে জন্য ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছিল।