চাঁদপুর : যাত্রীদের পদচারণায় জমজমাট লঞ্চঘাট -সংবাদ
ঝিমিয়ে পড়া চাঁদপুর লঞ্চঘাট নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুনরায় জমজমাট হয়ে উঠেছে। সুসজ্জিত ঘাট, চমৎকার আলোকসজ্জা, সিসি ক্যামেরা ও বিভিন্ন বাহিনীর তৎপরতায় দিনে নির্বিঘেœ গড়ে অর্ধলক্ষ মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করছে।
গত রোববার দিবাগত রাতে ঘাট জমজমাট হওয়ার কারণ জানিয়েছেন নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ চাঁদপুরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য।
তিনি জানান, ঈদের লম্বা ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে মানুষ ফেরার জন্য লঞ্চকে গুরুত্ব দেয়ায় ঘাট জমজমাট। বর্তমানে চাঁদপুর ঢাকা নৌরুটসহ অন্যান্য স্থানে বড় বড় ৩০টি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করছে। এ ছাড়া চাঁদপুর নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে ছোট ১৬টি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করছে। ছোট লঞ্চগুলো বাদে বড় লঞ্চ সকালের ভোর ৬টা হতে শুরু করে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলাচল করছে। তবে দূর দূরান্তের কিছু লঞ্চ আরও গভীর রাতেও ঘাটে ভিড়ছে।
নিরব নামে এক যাত্রী জানান, চাঁদপুর ঢাকায় লঞ্চে করে মাত্র ১৮০ টাকায় যাওয়া আসা করা যাচ্ছে। ঘাটে নামলেই খাওয়া দাওয়ারও বেশ কিছু হোটেল থাকায় অসুবিধা হচ্ছে না। ঘাটের সামনে অটো সিএনজি চালকদেরও হয়রানি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে দেখলাম। তবে লঞ্চগুলো ঢাকা চাঁদপুর আসা যাওয়ায় ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের এত সময় লাগাচ্ছে যা বিরক্তিকর। এটা আরও কমিয়ে আনলে নদীতে নিরাপদ এই লঞ্চযাত্রায় যাত্রীরা আরও স্বস্তি পেত।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বাছির আলি খান বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে কর্মব্যস্ত মানুষের কল্যাণে যাত্রী সাধারণের চলাচল নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিআইডব্লিউটিএর সুনাম ধরে রাখতে নিয়মিত তদারকি অব্যাহত রেখেছি। এই ঘাট দিয়ে দিনে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ যাতায়াত করছে। মূলত সময় কতক্ষণ লাগে সেটা বড় কথা নয় বরং যারা নিরাপদ নৌ ভ্রমণপ্রেমী তারা নিরিবিলি যাত্রা হিসেবেই নৌপথ ব্যবহার করছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার রকিব উদ্দিন বলেন, ঈদ এলেই আমরা এখানে পুলিশের পক্ষ থেকে জরুরী তদারকির জন্য কন্ট্রোল রুম চালু রাখি। এতে করে নৌপথে অপরাধ প্রবনতা অনেকটা কমে এসেছে- যার কারণে এখানকার লঞ্চঘাটে যাত্রীদের আসা যাওয়ার আনাগোনা বেড়েছে। তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের এই লঞ্চঘাট যাত্রীসেবায় অন্যন্য নজির হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি রয়েছে- যা অব্যাহত রাখতে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
চাঁদপুর : যাত্রীদের পদচারণায় জমজমাট লঞ্চঘাট -সংবাদ
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
ঝিমিয়ে পড়া চাঁদপুর লঞ্চঘাট নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুনরায় জমজমাট হয়ে উঠেছে। সুসজ্জিত ঘাট, চমৎকার আলোকসজ্জা, সিসি ক্যামেরা ও বিভিন্ন বাহিনীর তৎপরতায় দিনে নির্বিঘেœ গড়ে অর্ধলক্ষ মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করছে।
গত রোববার দিবাগত রাতে ঘাট জমজমাট হওয়ার কারণ জানিয়েছেন নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ চাঁদপুরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য।
তিনি জানান, ঈদের লম্বা ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে মানুষ ফেরার জন্য লঞ্চকে গুরুত্ব দেয়ায় ঘাট জমজমাট। বর্তমানে চাঁদপুর ঢাকা নৌরুটসহ অন্যান্য স্থানে বড় বড় ৩০টি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করছে। এ ছাড়া চাঁদপুর নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে ছোট ১৬টি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করছে। ছোট লঞ্চগুলো বাদে বড় লঞ্চ সকালের ভোর ৬টা হতে শুরু করে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলাচল করছে। তবে দূর দূরান্তের কিছু লঞ্চ আরও গভীর রাতেও ঘাটে ভিড়ছে।
নিরব নামে এক যাত্রী জানান, চাঁদপুর ঢাকায় লঞ্চে করে মাত্র ১৮০ টাকায় যাওয়া আসা করা যাচ্ছে। ঘাটে নামলেই খাওয়া দাওয়ারও বেশ কিছু হোটেল থাকায় অসুবিধা হচ্ছে না। ঘাটের সামনে অটো সিএনজি চালকদেরও হয়রানি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে দেখলাম। তবে লঞ্চগুলো ঢাকা চাঁদপুর আসা যাওয়ায় ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের এত সময় লাগাচ্ছে যা বিরক্তিকর। এটা আরও কমিয়ে আনলে নদীতে নিরাপদ এই লঞ্চযাত্রায় যাত্রীরা আরও স্বস্তি পেত।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বাছির আলি খান বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে কর্মব্যস্ত মানুষের কল্যাণে যাত্রী সাধারণের চলাচল নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিআইডব্লিউটিএর সুনাম ধরে রাখতে নিয়মিত তদারকি অব্যাহত রেখেছি। এই ঘাট দিয়ে দিনে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ যাতায়াত করছে। মূলত সময় কতক্ষণ লাগে সেটা বড় কথা নয় বরং যারা নিরাপদ নৌ ভ্রমণপ্রেমী তারা নিরিবিলি যাত্রা হিসেবেই নৌপথ ব্যবহার করছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার রকিব উদ্দিন বলেন, ঈদ এলেই আমরা এখানে পুলিশের পক্ষ থেকে জরুরী তদারকির জন্য কন্ট্রোল রুম চালু রাখি। এতে করে নৌপথে অপরাধ প্রবনতা অনেকটা কমে এসেছে- যার কারণে এখানকার লঞ্চঘাটে যাত্রীদের আসা যাওয়ার আনাগোনা বেড়েছে। তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের এই লঞ্চঘাট যাত্রীসেবায় অন্যন্য নজির হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি রয়েছে- যা অব্যাহত রাখতে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।