গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদের আবাদি জমির ফসল পুড়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও রক্ষা হচ্ছে না সবজি ক্ষেতগুলো। এতে উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে অব্যাহত তাপপ্রবা?হে ফসলি জমিতে সেচ দিয়েও কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। ১টি পৌরসভার এবং ১৫টি ইউনিয়নের কাবিলপুর, চতরা, বড় আলমপুর, রায়পুর, রামনাথপুর, মিঠিপুর, পীরগঞ্জ, বড়দরগাহ, কুমেদপুর এবং শানেরহাট ইউনিয়নে ব্যাপক হারে মুখিকচু আবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে কাঁঠালী মাটিতে কচুর গাছের পাতা রোদে পুড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য সব সবজির জমিতে অধিক হারে সেচ দিতে হচ্ছে।
গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। উপজেলার কয়েকটি সবজি অধ্যুষিত এলাকার ঘুরে কথা হয় সবজি চাষিদের সঙ্গে, তারা বলেন সবজি চাষাবাদের মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি-বাদল ছিল এবং ঈদের আগমুহূর্ত পর্যন্ত মাটিতে রস ছিল। ঈদের পর থেকে বৃষ্টি বাদলের দেখে নেই। যে কারণে রোদে এবং তাপ প্রবাহের ফলে সবজির গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কচুর আবাদ শেষ পর্যায়ে এসেছে। মাস খানেকের মধ্যেই জমি থেকে কচু তোলা যাবে সেই মুহূর্তে তাপমাত্রা বেড়েছে। এ কারণে চলতি মৌসুমে ফলন বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বদনাপাড়া গ্রামের আজাহার আলী এবং আব্দুস সোবহান বলেন, এ বছর সাথী ফসল হিসেবে আলুর জমিতে কচু রোপণ করি। আবাদও ভালো হয়েছে এক মাসের মধ্যে আমরা জমি থেকে কচু উঠাতে পারবো। ফসল তোলার আগেই প্রচ- রোদ আর তাপদাহের কারণে গাছের পাতা পুড়িয়ে কুকড়ে যাচ্ছে এতে করে জমিতে অতিরিক্ত সেচ দিতে হচ্ছে। যে কারণে এই ফসলে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। মাদারপুর গ্রামের আহাদ আলী জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে ছিল এবং কচুর বাম্পার ফলনের আশায় এলাকার চাষিরা আবাদ করেছে। কাঁঠালী মাটিতে সুস্থ সবল কচুর গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। এটা মূলত তাপদাহের কারণে। বেশিরভাগ জমিতে অতিরিক্ত সেচ এবং কীটনাশক প্রয়োগ করতে হচ্ছে। খেজমতপুর এলাকার আফছার আলী জানান, রংপুর জেলার মধ্যে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নে জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত আবাদ কচু। ইতোমধ্যে বাজারে নতুন কচু উঠতে শুরু করেছে। যে সব কচু আগাম হিসেবে চাষ করা হয়েছে তাদের কোন প্রকার রোগবালাই নেই। দেরিতে যে সব কৃষক কচুর চাষ করছে তাদের জমিতে তাপদাহের কারণে পাতা পুড়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে কিছু ফসল ঠেকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবদি সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, এ বছর উপজেলায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে মুখিকচু চাষ করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাজারে আমদানি হবে। গত কয়েকদিনের প্রখর রোদের কারণে কিছু জমির পাতা পুড়ে গেলেও এতে কোন সমস্যা হবে না। এ বছর মুখিকচুর ফলন ভালো হবে বলে তিনি জানান।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদের আবাদি জমির ফসল পুড়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও রক্ষা হচ্ছে না সবজি ক্ষেতগুলো। এতে উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে অব্যাহত তাপপ্রবা?হে ফসলি জমিতে সেচ দিয়েও কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। ১টি পৌরসভার এবং ১৫টি ইউনিয়নের কাবিলপুর, চতরা, বড় আলমপুর, রায়পুর, রামনাথপুর, মিঠিপুর, পীরগঞ্জ, বড়দরগাহ, কুমেদপুর এবং শানেরহাট ইউনিয়নে ব্যাপক হারে মুখিকচু আবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে কাঁঠালী মাটিতে কচুর গাছের পাতা রোদে পুড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য সব সবজির জমিতে অধিক হারে সেচ দিতে হচ্ছে।
গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। উপজেলার কয়েকটি সবজি অধ্যুষিত এলাকার ঘুরে কথা হয় সবজি চাষিদের সঙ্গে, তারা বলেন সবজি চাষাবাদের মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি-বাদল ছিল এবং ঈদের আগমুহূর্ত পর্যন্ত মাটিতে রস ছিল। ঈদের পর থেকে বৃষ্টি বাদলের দেখে নেই। যে কারণে রোদে এবং তাপ প্রবাহের ফলে সবজির গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কচুর আবাদ শেষ পর্যায়ে এসেছে। মাস খানেকের মধ্যেই জমি থেকে কচু তোলা যাবে সেই মুহূর্তে তাপমাত্রা বেড়েছে। এ কারণে চলতি মৌসুমে ফলন বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বদনাপাড়া গ্রামের আজাহার আলী এবং আব্দুস সোবহান বলেন, এ বছর সাথী ফসল হিসেবে আলুর জমিতে কচু রোপণ করি। আবাদও ভালো হয়েছে এক মাসের মধ্যে আমরা জমি থেকে কচু উঠাতে পারবো। ফসল তোলার আগেই প্রচ- রোদ আর তাপদাহের কারণে গাছের পাতা পুড়িয়ে কুকড়ে যাচ্ছে এতে করে জমিতে অতিরিক্ত সেচ দিতে হচ্ছে। যে কারণে এই ফসলে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। মাদারপুর গ্রামের আহাদ আলী জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে ছিল এবং কচুর বাম্পার ফলনের আশায় এলাকার চাষিরা আবাদ করেছে। কাঁঠালী মাটিতে সুস্থ সবল কচুর গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। এটা মূলত তাপদাহের কারণে। বেশিরভাগ জমিতে অতিরিক্ত সেচ এবং কীটনাশক প্রয়োগ করতে হচ্ছে। খেজমতপুর এলাকার আফছার আলী জানান, রংপুর জেলার মধ্যে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নে জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত আবাদ কচু। ইতোমধ্যে বাজারে নতুন কচু উঠতে শুরু করেছে। যে সব কচু আগাম হিসেবে চাষ করা হয়েছে তাদের কোন প্রকার রোগবালাই নেই। দেরিতে যে সব কৃষক কচুর চাষ করছে তাদের জমিতে তাপদাহের কারণে পাতা পুড়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে কিছু ফসল ঠেকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবদি সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, এ বছর উপজেলায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে মুখিকচু চাষ করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাজারে আমদানি হবে। গত কয়েকদিনের প্রখর রোদের কারণে কিছু জমির পাতা পুড়ে গেলেও এতে কোন সমস্যা হবে না। এ বছর মুখিকচুর ফলন ভালো হবে বলে তিনি জানান।