কুষ্টিয়ায় সোমবার দ্বিতীয় দিনের এত বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) শ্রমিকরা ১২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছে। এতে স্থবিত হয়ে আছে লিফ ফ্যাক্টরির সব কর্মযজ্ঞ। এর আগে গতকাল রোববার থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। ওই দিন দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত অবস্থান করেন। এ সময় শ্রমিকদের প্রতিনিধিদল ডিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। পরে কারখানা প্রাঙ্গনে ফিরে গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, বেতন বাড়ানোর বিষয়টি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো নিজস্ব বিষয়। শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবো। তাদের প্রবলেম তাদেরকেই সমাধান করতে হবে। প্রাইভেট অরগানাইজেশানকে তো ফোর্স করতে পারি না সরকারি অরগানাইজেশান হলে দেখতে পারতাম। যতটুকু আইনের আওতায় তাদের থাকার কথা, সেটা আছে কি-না সেটা আমরা দেখব।
শ্রমিকরা বলেন, ১২ দফা দাবির বিষয়টি জানিয়ে ডিসি স্যারের কাছে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। তিনি আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। দাবি আদায়ের জন্য রোববার সকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফ্যাক্টরির গেটে অবস্থান করেছিলাম। এরপর আমরা ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ করিছি। দুপুর আড়াইটার দিক থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আমরা ডিসি অফিসের সামনে কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের দাবি আদায় হলে আমরা কাজে যোগদান করব, তার আগে নয়।
কর্মবিরতি পালন করা শ্রমিকরা বলেন, আমরা প্রতি মাসে সাড়ে ১০ হাজার টাকা বেতন পাই। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ডিউটি করি। এই বেতনে আমাদের সংসার চলে না। আমরা অনেক বৈষম্যের শিকার, আমরা অনেক কষ্ট করি। আমাদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের ১২ দফা দাবি মানতে হবে। আমাদের দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত আমাদের এই কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিলে আমরা কাজে ফিরব।
এ বিষয়ে জানতে মেসার্স মতিয়ার রহমান নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আক্তারুজ্জামান আকতারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কুষ্টিয়া অফিসের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) ফারজুন ইসলাম বলেন, ঈদের পর সবে অফিস চালু হয়েছে।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
কুষ্টিয়ায় সোমবার দ্বিতীয় দিনের এত বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) শ্রমিকরা ১২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছে। এতে স্থবিত হয়ে আছে লিফ ফ্যাক্টরির সব কর্মযজ্ঞ। এর আগে গতকাল রোববার থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। ওই দিন দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত অবস্থান করেন। এ সময় শ্রমিকদের প্রতিনিধিদল ডিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। পরে কারখানা প্রাঙ্গনে ফিরে গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, বেতন বাড়ানোর বিষয়টি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো নিজস্ব বিষয়। শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবো। তাদের প্রবলেম তাদেরকেই সমাধান করতে হবে। প্রাইভেট অরগানাইজেশানকে তো ফোর্স করতে পারি না সরকারি অরগানাইজেশান হলে দেখতে পারতাম। যতটুকু আইনের আওতায় তাদের থাকার কথা, সেটা আছে কি-না সেটা আমরা দেখব।
শ্রমিকরা বলেন, ১২ দফা দাবির বিষয়টি জানিয়ে ডিসি স্যারের কাছে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। তিনি আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। দাবি আদায়ের জন্য রোববার সকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফ্যাক্টরির গেটে অবস্থান করেছিলাম। এরপর আমরা ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ করিছি। দুপুর আড়াইটার দিক থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আমরা ডিসি অফিসের সামনে কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের দাবি আদায় হলে আমরা কাজে যোগদান করব, তার আগে নয়।
কর্মবিরতি পালন করা শ্রমিকরা বলেন, আমরা প্রতি মাসে সাড়ে ১০ হাজার টাকা বেতন পাই। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ডিউটি করি। এই বেতনে আমাদের সংসার চলে না। আমরা অনেক বৈষম্যের শিকার, আমরা অনেক কষ্ট করি। আমাদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের ১২ দফা দাবি মানতে হবে। আমাদের দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত আমাদের এই কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিলে আমরা কাজে ফিরব।
এ বিষয়ে জানতে মেসার্স মতিয়ার রহমান নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আক্তারুজ্জামান আকতারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কুষ্টিয়া অফিসের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) ফারজুন ইসলাম বলেন, ঈদের পর সবে অফিস চালু হয়েছে।