গত সোমবার সকালে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে জমি নিয়ে পুলিশের সামনেই সংঘর্ষ করেছে দুই প্রতিবেশীর অনুসারীরা। নাসিরনগর থানার ওসি, শিশু ও নারীসহ দু’পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। ৬ জন চিকিৎসা নিয়েছে নাসিরনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গুরুতর আহত ১ জনকে রেফার করা হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে। অন্যরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বিভিন্ন এলাকায়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের মধ্য পাড়ার আব্দুর রুম ও বাচ্চু মিয়ার অনুসারীদের মাঝে একটি জমি নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলছে। বেশ কিছুদিন আগে আব্দুর রুমের ছেলে কাউছার ব্রাহ্মনবাড়িয়া আদালতে ১টি মামলা করেছিল বাচ্চু মিয়ার অনুসারীদের নামে। মামলা চলমান অবস্থায়ই সংঘর্ষ হয় উভয়পক্ষের মাঝে। গত ১৫/২০ দিন আগে বাচ্চু মিয়ার ছেলে এরশাদও নাসিরনগর থানায় ১টি মামলা করেছে আব্দুর রুম ও অনুসারীদের নামে। এনিয়ে দুইপক্ষের মাঝেই বাড়ছিল উত্তেজনা। গত সোমবার সকালে নাসিরনগর থানার ওসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের। কিন্তু হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিবেশ, উত্তেজনার এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষের লোকজন। উভয়পক্ষ মিলে আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি।
নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম (৪২), জসীম মিয়া (৪৫), মামুনুর রশীদ (৩৬), ছায়াতুন্নেছা (৬০), শিল্পী আক্তার (৩০), হোসনেয়ারা বেগম (৪৫) ও মো. শাওন মিয়া (১০) চিকিৎসা নিয়েছেন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গুরুতর আহত জসীম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে। মো. শাওন মিয়া (১০) মিয়ার বাড়ি উপজেলার কমলপুর গ্রামে। সে তার মায়ের সঙ্গে কুলিকুন্ডা গ্রামে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আজম মৃধা বলেন, আজকে পুলিশ গেছিল, ৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। পুলিশের সামনেই বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও মারামরি হইছে। নাসিরনগর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন কর্মচারী জানান, ওসি সাহেবের কানের ওপরে মাথায় আঘাত লেগেছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল করলে থানার সেকেন্ড অফিসার চম্পক চক্রবর্তী কল রিসিভ করে জানান, ওসি স্যার ব্যাথা পাইছে, অন্য কেউ আহত হয়নি।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
গত সোমবার সকালে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে জমি নিয়ে পুলিশের সামনেই সংঘর্ষ করেছে দুই প্রতিবেশীর অনুসারীরা। নাসিরনগর থানার ওসি, শিশু ও নারীসহ দু’পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। ৬ জন চিকিৎসা নিয়েছে নাসিরনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গুরুতর আহত ১ জনকে রেফার করা হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে। অন্যরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বিভিন্ন এলাকায়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের মধ্য পাড়ার আব্দুর রুম ও বাচ্চু মিয়ার অনুসারীদের মাঝে একটি জমি নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলছে। বেশ কিছুদিন আগে আব্দুর রুমের ছেলে কাউছার ব্রাহ্মনবাড়িয়া আদালতে ১টি মামলা করেছিল বাচ্চু মিয়ার অনুসারীদের নামে। মামলা চলমান অবস্থায়ই সংঘর্ষ হয় উভয়পক্ষের মাঝে। গত ১৫/২০ দিন আগে বাচ্চু মিয়ার ছেলে এরশাদও নাসিরনগর থানায় ১টি মামলা করেছে আব্দুর রুম ও অনুসারীদের নামে। এনিয়ে দুইপক্ষের মাঝেই বাড়ছিল উত্তেজনা। গত সোমবার সকালে নাসিরনগর থানার ওসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের। কিন্তু হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিবেশ, উত্তেজনার এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষের লোকজন। উভয়পক্ষ মিলে আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি।
নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম (৪২), জসীম মিয়া (৪৫), মামুনুর রশীদ (৩৬), ছায়াতুন্নেছা (৬০), শিল্পী আক্তার (৩০), হোসনেয়ারা বেগম (৪৫) ও মো. শাওন মিয়া (১০) চিকিৎসা নিয়েছেন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গুরুতর আহত জসীম মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে। মো. শাওন মিয়া (১০) মিয়ার বাড়ি উপজেলার কমলপুর গ্রামে। সে তার মায়ের সঙ্গে কুলিকুন্ডা গ্রামে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আজম মৃধা বলেন, আজকে পুলিশ গেছিল, ৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। পুলিশের সামনেই বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও মারামরি হইছে। নাসিরনগর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন কর্মচারী জানান, ওসি সাহেবের কানের ওপরে মাথায় আঘাত লেগেছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল করলে থানার সেকেন্ড অফিসার চম্পক চক্রবর্তী কল রিসিভ করে জানান, ওসি স্যার ব্যাথা পাইছে, অন্য কেউ আহত হয়নি।