রাজশাহী : হিমাগারে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ -সংবাদ
রাজশাহীতে হিমাগারে রাখা আলুর বাড়তি ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আলুচাষী ও ব্যবসায়ীরা। গত রোববার দুপুরে পবা উপজেলার বায়া এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। রাজশাহী জেলা আলুচাষী ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
হিমাগারে আলু রাখা ও বুকিং কাটা আলুচাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত বছরগুলোতে বস্তা করে আলু হিমাগারগুলোতে রাখা হতো। তখন বস্তা ধরে হিসাব রাখা হতো। প্রতি বস্তায় ৮০ থেকে ৯০ কেজি পর্যন্ত আলু থাকতো। গত বছর আলু কমিয়ে ৫০ কেজি করে রাখা হয়। সে হিসেবে প্রতিকেজি আলু রাখতে তাদের খরচ পড়ে যেত ৪ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এবার স্টোরেজ মালিকেরা কেজি প্রতি ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আলু রাখা থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচ মিলে এখানে ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে যাচ্ছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আলুচাষী ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আহাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠুন আহমেদ, আলুচাষী হাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পবার বড়গাছি গ্রামের আলুচাষী রফিকুল ইসলাম ৫ হাজার বস্তা আলু রেখেছেন হিমাগারে। তার এলাকার আলুচাষীরা তার মাধ্যমে আলুগুলো হিমাগারে রেখেছে। তিনি প্রতিবস্তা আলু ২৩০ টাকা দরে রেখেছে। গত বছর অক্টোবরে তিনি সমস্ত টাকা পরিশোধ করেছেন (পেইড বুকিং)। পরে চলতি বছর মার্চে আলু রেখেছেন। এখন আবার বাড়তি টাকা চাচ্ছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। বাড়তি টাকা না দিলে আলু দিবে না। গত কয়েক দিন ধরে তারা হিমাগার থেকে আলু বের করতে পারেনি।
মোহনপুর উপজেলার কৃষক হাফিজুর রহমান দেড় হাজার বস্তা আলু রেখেছেন হিমাগারে। তিনি বলেন, এবার আলু চাষে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়েছে। অনেকে আলু চাষ করে পথে বসে গেছেন। আলুর দাম তো বাড়ছেই না। এখন হিমাগারে আলুর খরচ বাড়ালে তারা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। হিমাগারের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য তারা রাস্তায় নেমেছেন।
রাজশাহী জেলা কৃষক ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সাধারণ সম্পাদক মিঠু আহমেদ বলেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আজকে বিকালে আলু চাষি-ব্যবসায়ীদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইউএনও দুই দিনের সময় চেয়েছেন। আমরা আগামীকাল সকালে স্মারকলিপি ইউএনও’র নিকট হস্তান্তর করবো। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ জানান, রাজশাহী জেলা কৃষক ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সদস্যদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের লিখিত অভিযোগ বা স্মারকলিপি দিতে বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আব্দুল হালিম বলেন, স্টোরেজে আলু রাখার ভাড়া কমানোর দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। তারাও আলোচনায় বসতে চান।
রাজশাহী : হিমাগারে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
রাজশাহীতে হিমাগারে রাখা আলুর বাড়তি ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আলুচাষী ও ব্যবসায়ীরা। গত রোববার দুপুরে পবা উপজেলার বায়া এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। রাজশাহী জেলা আলুচাষী ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
হিমাগারে আলু রাখা ও বুকিং কাটা আলুচাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত বছরগুলোতে বস্তা করে আলু হিমাগারগুলোতে রাখা হতো। তখন বস্তা ধরে হিসাব রাখা হতো। প্রতি বস্তায় ৮০ থেকে ৯০ কেজি পর্যন্ত আলু থাকতো। গত বছর আলু কমিয়ে ৫০ কেজি করে রাখা হয়। সে হিসেবে প্রতিকেজি আলু রাখতে তাদের খরচ পড়ে যেত ৪ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এবার স্টোরেজ মালিকেরা কেজি প্রতি ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আলু রাখা থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচ মিলে এখানে ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে যাচ্ছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আলুচাষী ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আহাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠুন আহমেদ, আলুচাষী হাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পবার বড়গাছি গ্রামের আলুচাষী রফিকুল ইসলাম ৫ হাজার বস্তা আলু রেখেছেন হিমাগারে। তার এলাকার আলুচাষীরা তার মাধ্যমে আলুগুলো হিমাগারে রেখেছে। তিনি প্রতিবস্তা আলু ২৩০ টাকা দরে রেখেছে। গত বছর অক্টোবরে তিনি সমস্ত টাকা পরিশোধ করেছেন (পেইড বুকিং)। পরে চলতি বছর মার্চে আলু রেখেছেন। এখন আবার বাড়তি টাকা চাচ্ছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। বাড়তি টাকা না দিলে আলু দিবে না। গত কয়েক দিন ধরে তারা হিমাগার থেকে আলু বের করতে পারেনি।
মোহনপুর উপজেলার কৃষক হাফিজুর রহমান দেড় হাজার বস্তা আলু রেখেছেন হিমাগারে। তিনি বলেন, এবার আলু চাষে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়েছে। অনেকে আলু চাষ করে পথে বসে গেছেন। আলুর দাম তো বাড়ছেই না। এখন হিমাগারে আলুর খরচ বাড়ালে তারা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। হিমাগারের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য তারা রাস্তায় নেমেছেন।
রাজশাহী জেলা কৃষক ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সাধারণ সম্পাদক মিঠু আহমেদ বলেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আজকে বিকালে আলু চাষি-ব্যবসায়ীদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইউএনও দুই দিনের সময় চেয়েছেন। আমরা আগামীকাল সকালে স্মারকলিপি ইউএনও’র নিকট হস্তান্তর করবো। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ জানান, রাজশাহী জেলা কৃষক ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সদস্যদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের লিখিত অভিযোগ বা স্মারকলিপি দিতে বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আব্দুল হালিম বলেন, স্টোরেজে আলু রাখার ভাড়া কমানোর দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। তারাও আলোচনায় বসতে চান।