কুষ্টিয়ার খোকসায় সরকারী হালটের (পায়ে চলা পথ) জমির দখল পাল্টা দখল কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এক পক্ষের আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেনা ক্যাম্পে যাওয়ার কথা বলে আত্মগোপন করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যানের দাবি দুই পক্ষই বিএনপির নেতাকর্মী।
জানা গেছে, রবিরার সকালে উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের জয়ন্তী হাজরা গ্রামে বদর শেখ ও আবু মুসা’র লোকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন।
এ হামলা পাল্টা হামলায় আহত বদর শেখ (৪৫) তার সহদর আজিম উদ্দিন (৩৫) উভয়ের পিতা মৃত দানেজ শেখ, সাইফুল শেখ (৩৫) পিতা আজিম উদ্দিন, সীমা খাতুন (৩৫) ও রবিউল শেখ (৪৫) দম্পতি, এবং শাজাহান খান (৬০) পিতা হাতেম খা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক পক্ষের এক নারীসহ চার জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেনা ক্যাম্পে যাবার কথা বলে হাসপাতাল ছেড়ে যায় বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।
রবিবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকেরা আবু মুসাদের সমাজের মাতুব্বর অনিরদ্দিন প্রামানিকের সাথে বাগবিতান্ডায় জড়িয়ে পরেন। এ নিয়ে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট ধরে দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের হামলাকারীরা আহত হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার জাহিদ জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক নারীসহ চার জন প্রথমে তাদের কাছে চিকিৎসা নেন। তারা থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের উপর আস্তা হারিয়ে কুষ্টিয়ায় সেনা ক্যাম্পে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
বদর শেখের পরিবারের আহত চার সদস্য জেলা সদরে সেনা ক্যাম্পে যাওয়ার কথা বলে কয়েক ঘন্টা নিরুদ্দেশ হয়ে যান। কোন ভাবেই পরিবারটির সাথে যোগায়োগ করা সম্ভব হচ্ছিলো না। এক পর্যায়ে রাতে তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। মুঠোফোনে চুমকী নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী জানান, তার বাবা রবিউল শেখ মা সীমা খাতুন ও দাদা বদর শেখের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তারা সেনা ক্যাম্পে না গিয়ে রোগী নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চলে আসেন। সেখানেই রোগী ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
এই শিক্ষার্থী আরও জানান, আহতদের পরিবারের থেকে থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বাবা মা ও পরিবারের উপর হামলার ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচারের দাবি করে ওই ছাত্রী।
আহত শাজাহানের শয্যা পাশে বসে স্ত্রী রুবিনা খাতুন জানান, তারা কারো পক্ষের লোক না। মারামারি ঠেকাতে গিয়ে তার স্বামী হামলার শিকার হয়েছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকিব খানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিবাদ পুর্ণ জমি ১ নম্বর খতিয়ান ভুক্ত সরকারী হালোট। অনেক বার মাপজোঁক করা হয়েছে। এক পক্ষ সেই জমি দখল রেখেছিল। এখন অন্য পক্ষ দখল করছে। দুই পক্ষই বিএনপির লোক। এলাকায় তাদের পৃথক অফিস রয়েছে।
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষাই মামলা করবে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। মামলা রেকর্ডের পর আসামী গ্রেফতার হবে।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
কুষ্টিয়ার খোকসায় সরকারী হালটের (পায়ে চলা পথ) জমির দখল পাল্টা দখল কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এক পক্ষের আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেনা ক্যাম্পে যাওয়ার কথা বলে আত্মগোপন করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যানের দাবি দুই পক্ষই বিএনপির নেতাকর্মী।
জানা গেছে, রবিরার সকালে উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের জয়ন্তী হাজরা গ্রামে বদর শেখ ও আবু মুসা’র লোকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন।
এ হামলা পাল্টা হামলায় আহত বদর শেখ (৪৫) তার সহদর আজিম উদ্দিন (৩৫) উভয়ের পিতা মৃত দানেজ শেখ, সাইফুল শেখ (৩৫) পিতা আজিম উদ্দিন, সীমা খাতুন (৩৫) ও রবিউল শেখ (৪৫) দম্পতি, এবং শাজাহান খান (৬০) পিতা হাতেম খা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক পক্ষের এক নারীসহ চার জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেনা ক্যাম্পে যাবার কথা বলে হাসপাতাল ছেড়ে যায় বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।
রবিবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকেরা আবু মুসাদের সমাজের মাতুব্বর অনিরদ্দিন প্রামানিকের সাথে বাগবিতান্ডায় জড়িয়ে পরেন। এ নিয়ে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট ধরে দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের হামলাকারীরা আহত হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার জাহিদ জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক নারীসহ চার জন প্রথমে তাদের কাছে চিকিৎসা নেন। তারা থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের উপর আস্তা হারিয়ে কুষ্টিয়ায় সেনা ক্যাম্পে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
বদর শেখের পরিবারের আহত চার সদস্য জেলা সদরে সেনা ক্যাম্পে যাওয়ার কথা বলে কয়েক ঘন্টা নিরুদ্দেশ হয়ে যান। কোন ভাবেই পরিবারটির সাথে যোগায়োগ করা সম্ভব হচ্ছিলো না। এক পর্যায়ে রাতে তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। মুঠোফোনে চুমকী নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী জানান, তার বাবা রবিউল শেখ মা সীমা খাতুন ও দাদা বদর শেখের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তারা সেনা ক্যাম্পে না গিয়ে রোগী নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চলে আসেন। সেখানেই রোগী ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
এই শিক্ষার্থী আরও জানান, আহতদের পরিবারের থেকে থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বাবা মা ও পরিবারের উপর হামলার ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচারের দাবি করে ওই ছাত্রী।
আহত শাজাহানের শয্যা পাশে বসে স্ত্রী রুবিনা খাতুন জানান, তারা কারো পক্ষের লোক না। মারামারি ঠেকাতে গিয়ে তার স্বামী হামলার শিকার হয়েছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকিব খানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিবাদ পুর্ণ জমি ১ নম্বর খতিয়ান ভুক্ত সরকারী হালোট। অনেক বার মাপজোঁক করা হয়েছে। এক পক্ষ সেই জমি দখল রেখেছিল। এখন অন্য পক্ষ দখল করছে। দুই পক্ষই বিএনপির লোক। এলাকায় তাদের পৃথক অফিস রয়েছে।
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষাই মামলা করবে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। মামলা রেকর্ডের পর আসামী গ্রেফতার হবে।