খাগড়াছড়ি : কলেজ নির্মাণে প্রশাসনের বাধা ও বনবিভাগ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞাস্বরূপ সাইনবোর্ড টাঙানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন -সংবাদ
পার্বত্য পর্যটন নগরীখ্যাত সাজেকে কলেজ নির্মাণে প্রশাসনের বাধা ও বনবিভাগ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞাস্বরূপ সাইনবোর্ড টাঙানোর প্রতিবাদে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে সাজেক এলাকাবাসী। জনগণের দোহাই দিয়ে শিক্ষা প্রসার উন্নয়নে প্রশাসনে বাধা দুর্ঘম এলাকাবাসীদের দূরত্ব রেখে চরম বৈষম্যে শিকার বিষফোড়া জন্ম দিয়েছে।
গত সোমবার সকাল ৯টার সময় সাজেকের উজোবাজারে এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৫শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে সাজেক ইউপির চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমার সভাপতিত্বে ও সাজেক গণঅধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব বাবুধন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাজেক ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের সদস্য পরিচয় চাকমা, শিক্ষক সুমন চাকমা, সাজেক কার্বারী এসোসিয়েশনে সভাপতি ও সাজেক গণঅধিকার রক্ষা কমিটির আহব্বায়ক নতুন জয় চাকমা।
সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, জনগণের উদ্যোগে সাজেক কলেজ নির্মাণের শুরুতে বাঘাইহাট জোন থেকে এফএস মো. শরীফ কর্তৃক বাধা প্রদান করা হয়। তিনি কয়েকজনকে মামলার ভয়ও দেখিয়েছেন। কিন্তু তার হুমকি তোয়াক্কা না করে এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে কলেজ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এর পর গত ২০শে মে বাঘাইহাট বনবিভাগ থেকে আমাকে ৭দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে প্রতিবেদন দেয়, যাতে কলেজ অপসারণ করি। বনবিভাগের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি জোনের নির্দেশ, আমরা অসহায় বলে জানান। আবার এ মাসে গত ১৩ই জুন তারিখ দুপুর ২টা সময়ে বাঘাইছড়ি ইউএনও শিরীন আক্তার সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে এসে ইউপি পর্ষদ ও বাঘাইহাট বন বিভাগে কর্মকর্তাদের সাথে সাজেক কলেজ নির্মাণ নিয়ে আলাপ করে এক মাসের জন্য সাজেক কলেজ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা ও বনবিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ইউএনও।
তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয়, ইউএনও সাজেক কলেজ নির্মাণের জন্য ইউপি থেকে কোন বরাদ্দ দেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবায়িত সকল প্রকল্প থেকে কলেজ নির্মাণে কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা তাও তদন্ত করা হবে বলে ইউএনও শিরীন আক্তার বলেছেন।
তিনি কলেজ নির্মাণে প্রশাসনের এমন বাধা এলাকার জনগণ মানতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন ।
খাগড়াছড়ি : কলেজ নির্মাণে প্রশাসনের বাধা ও বনবিভাগ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞাস্বরূপ সাইনবোর্ড টাঙানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
পার্বত্য পর্যটন নগরীখ্যাত সাজেকে কলেজ নির্মাণে প্রশাসনের বাধা ও বনবিভাগ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞাস্বরূপ সাইনবোর্ড টাঙানোর প্রতিবাদে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে সাজেক এলাকাবাসী। জনগণের দোহাই দিয়ে শিক্ষা প্রসার উন্নয়নে প্রশাসনে বাধা দুর্ঘম এলাকাবাসীদের দূরত্ব রেখে চরম বৈষম্যে শিকার বিষফোড়া জন্ম দিয়েছে।
গত সোমবার সকাল ৯টার সময় সাজেকের উজোবাজারে এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৫শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে সাজেক ইউপির চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমার সভাপতিত্বে ও সাজেক গণঅধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব বাবুধন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাজেক ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের সদস্য পরিচয় চাকমা, শিক্ষক সুমন চাকমা, সাজেক কার্বারী এসোসিয়েশনে সভাপতি ও সাজেক গণঅধিকার রক্ষা কমিটির আহব্বায়ক নতুন জয় চাকমা।
সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, জনগণের উদ্যোগে সাজেক কলেজ নির্মাণের শুরুতে বাঘাইহাট জোন থেকে এফএস মো. শরীফ কর্তৃক বাধা প্রদান করা হয়। তিনি কয়েকজনকে মামলার ভয়ও দেখিয়েছেন। কিন্তু তার হুমকি তোয়াক্কা না করে এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে কলেজ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এর পর গত ২০শে মে বাঘাইহাট বনবিভাগ থেকে আমাকে ৭দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে প্রতিবেদন দেয়, যাতে কলেজ অপসারণ করি। বনবিভাগের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি জোনের নির্দেশ, আমরা অসহায় বলে জানান। আবার এ মাসে গত ১৩ই জুন তারিখ দুপুর ২টা সময়ে বাঘাইছড়ি ইউএনও শিরীন আক্তার সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে এসে ইউপি পর্ষদ ও বাঘাইহাট বন বিভাগে কর্মকর্তাদের সাথে সাজেক কলেজ নির্মাণ নিয়ে আলাপ করে এক মাসের জন্য সাজেক কলেজ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা ও বনবিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ইউএনও।
তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয়, ইউএনও সাজেক কলেজ নির্মাণের জন্য ইউপি থেকে কোন বরাদ্দ দেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবায়িত সকল প্রকল্প থেকে কলেজ নির্মাণে কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা তাও তদন্ত করা হবে বলে ইউএনও শিরীন আক্তার বলেছেন।
তিনি কলেজ নির্মাণে প্রশাসনের এমন বাধা এলাকার জনগণ মানতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন ।