alt

সারাদেশ

কাঁকড়া সম্পদ রক্ষা করার দাবি উপকূলবাসীর

প্রতিনিধি, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) : মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

কাঁকড়া এখন অর্থকরী সম্পদ উপকুলীয় এলাকায়। মাছের চেয়েও দাম বেশি। মাছ ধরা বাদ দিয়ে কাঁকড়া ধরা শুরু করেছে অনেক জেলেরা। বাধা নিষেধ না থাকায় ছোট বড় যেটা পায় সেটাই ধরে ফেলছে তারা। দিনদিন কমে যাচ্ছে এ সম্পদ। টিকিয়ে রাখার দাবি করছেন উপকুলবাসী। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ দিলে, প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে পারে এই কাঁকড়া থেকে।

জানা গেছে, নদ নদীর কম পানিতে, চরাঞ্চলের নিচু জায়গায়, জলাবদ্ধতার আশপাশে, বন বিভাগের জঙ্গলে, গর্ত করে ওই গর্তে থাকে কাঁকড়া। যাদের নৌকা বা ট্রলার নেই, তারা রডের মাথা বাঁকা করে ওই রড দিয়ে গর্ত থেকে বের করে আনে। নৌকা ট্রলার মালিকরা বাঁশের খাঁচা (চাঁই) তৈরি করে, খাদ্য হিসেবে ছোট ছোট মাছ বা হাঁস মুরগীর নারীভুড়ি টুকরো করে কেটে, দু এক টুকরো চাঁইয়ের ভিতর দিয়ে রশি লাগিয়ে নদী বা খালের কম পানিতে ডুবিয়ে দেয়। ছোট বড় কাঁকড়া খাদ্যের লোভে চাইয়ের ভিতর ঢুকলে আর বের হতে পারেনা। ধরা পরে জেলেদের হাতে। এতে দিনদিন কমে যাচ্ছে অর্থকরী এই সম্পদ।

জেলেরা জানান, সাগর ও নদ নদীতে নানা প্রজাতির মাছ ধরে সংসার চালাতো তারা। মাছের সংখ্যা এখন অনেক কম। ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটে তাদের। জালের উপর ভরসা না করে কাঁকড়া ধরা শুরু করেছে অনেকে। তবে, ধরার ব্যাপারে কোন বাধা নিষেধ না থাকায়, ভবিষ্যতে কাঁকড়ার বংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।

রাঙ্গাবালীর কাঁকড়া ব্যবসায়ী দিপ্ত হাওলাদার বলেন, গ্রেট অনুসারে ঢাকায় প্রতি কেজি ৮ শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ওখান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ না দিলে এক সময় হারিয়ে যাবে এই সম্পদটি। মাছের প্রজনন মৌসুমে যেমন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়, কাঁকড়ার মৌসুমেও নিষেধাজ্ঞা জারী করা উচিত। এ আইন চালু থাকলে এত দিনে,সাগর বা নদ নদীতে পা রাখার যায়গা থাকতো না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, জেলেরা এখন কাঁকড়া ধরায় বেশি ব্যস্ত। অনেকেই কাঁকড়ার উপর নির্ভরশীল। ধরা ও সংরক্ষনে আমরা তাদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, এক সময়ের অবহেলিত এই জলজ প্রাণীটি এখন দেশের অর্থকরী সম্পদ। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ না পেলে, অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মোটেই এরিয়ে যাওয়া যায়না।

লাকসামে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি

ছবি

পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে রহস্যময় মেঘ, অনুসন্ধানে নাসা

মোবাইল রিচার্জ করে বাবাকে সারপ্রাইজ দিন নগদে

কালীগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে চার ট্রেডে ৯০ তরুণ-তরুণীর দক্ষতা অর্জন

সড়ক দুর্ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থী নিহত

ছবি

৮ বছর পর স্থায়ী ভবনে শুরু হলো লালমাই উপজেলার কার্যক্রম

কুষ্টিয়ায় অপহৃত ব্যবসায়ীকে বাড়ির সামনে রেখে গেল অপহরণকারীরা

ছবি

দুর্গাপুরে রাস্তার নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি

মহেশপুরে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই যুবক

সৌন্দর্যবর্ধনে কৃষ্ণচূড়া-রাধাচূড়া রোপণ

ভোলায় দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরা হলো না শাহারানু বেগমের

ছবি

বরগুনা-বাকেরগঞ্জ মহাসড়ক খানাখন্দে বেহাল

গাংনীতে বোমা সাদৃশ বস্তু উদ্ধার

টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে গুলি করে হত্যা

গোপালগপুরে মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

চকরিয়া পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশস্থ হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের গতিপথ

দীঘিনালার মাইনি নদী থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

কসবায় বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্র্ষ আহত ৫০

ছবি

মাদারগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙন স্থায়ী বাঁধ চায় পাকরুলবাসী

পটুয়াখালীর চরকাজল বাজারে ৫ দোকান ভষ্মিভূত

চুনারুঘাটে পুকুরে মিলল গৃহবধূর মরদেহ

বাস কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

ছবি

সাজেকে কলেজ নির্মাণে প্রশাসনের বাধাদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন

শীতলক্ষ্যা থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

খোকসা আ’লীগের সহ-সভাপতি আটক

খোকসায় সরকারি হালট দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৮

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১

ভেজাল দুধ তৈরির দায়ে জরিমানা

ডেঙ্গুতে পবিপ্রবির আনসারের মৃত্যু

ছবি

দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্রের ভাসমান সেতু বারো মাসই থাকে ভাঙা

বাড্ডায় তরুণীর লাশ উদ্ধার

হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৩,৬৫৯ বাংলাদেশি

tab

সারাদেশ

কাঁকড়া সম্পদ রক্ষা করার দাবি উপকূলবাসীর

প্রতিনিধি, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

কাঁকড়া এখন অর্থকরী সম্পদ উপকুলীয় এলাকায়। মাছের চেয়েও দাম বেশি। মাছ ধরা বাদ দিয়ে কাঁকড়া ধরা শুরু করেছে অনেক জেলেরা। বাধা নিষেধ না থাকায় ছোট বড় যেটা পায় সেটাই ধরে ফেলছে তারা। দিনদিন কমে যাচ্ছে এ সম্পদ। টিকিয়ে রাখার দাবি করছেন উপকুলবাসী। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ দিলে, প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে পারে এই কাঁকড়া থেকে।

জানা গেছে, নদ নদীর কম পানিতে, চরাঞ্চলের নিচু জায়গায়, জলাবদ্ধতার আশপাশে, বন বিভাগের জঙ্গলে, গর্ত করে ওই গর্তে থাকে কাঁকড়া। যাদের নৌকা বা ট্রলার নেই, তারা রডের মাথা বাঁকা করে ওই রড দিয়ে গর্ত থেকে বের করে আনে। নৌকা ট্রলার মালিকরা বাঁশের খাঁচা (চাঁই) তৈরি করে, খাদ্য হিসেবে ছোট ছোট মাছ বা হাঁস মুরগীর নারীভুড়ি টুকরো করে কেটে, দু এক টুকরো চাঁইয়ের ভিতর দিয়ে রশি লাগিয়ে নদী বা খালের কম পানিতে ডুবিয়ে দেয়। ছোট বড় কাঁকড়া খাদ্যের লোভে চাইয়ের ভিতর ঢুকলে আর বের হতে পারেনা। ধরা পরে জেলেদের হাতে। এতে দিনদিন কমে যাচ্ছে অর্থকরী এই সম্পদ।

জেলেরা জানান, সাগর ও নদ নদীতে নানা প্রজাতির মাছ ধরে সংসার চালাতো তারা। মাছের সংখ্যা এখন অনেক কম। ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটে তাদের। জালের উপর ভরসা না করে কাঁকড়া ধরা শুরু করেছে অনেকে। তবে, ধরার ব্যাপারে কোন বাধা নিষেধ না থাকায়, ভবিষ্যতে কাঁকড়ার বংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।

রাঙ্গাবালীর কাঁকড়া ব্যবসায়ী দিপ্ত হাওলাদার বলেন, গ্রেট অনুসারে ঢাকায় প্রতি কেজি ৮ শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ওখান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ না দিলে এক সময় হারিয়ে যাবে এই সম্পদটি। মাছের প্রজনন মৌসুমে যেমন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়, কাঁকড়ার মৌসুমেও নিষেধাজ্ঞা জারী করা উচিত। এ আইন চালু থাকলে এত দিনে,সাগর বা নদ নদীতে পা রাখার যায়গা থাকতো না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, জেলেরা এখন কাঁকড়া ধরায় বেশি ব্যস্ত। অনেকেই কাঁকড়ার উপর নির্ভরশীল। ধরা ও সংরক্ষনে আমরা তাদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, এক সময়ের অবহেলিত এই জলজ প্রাণীটি এখন দেশের অর্থকরী সম্পদ। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ না পেলে, অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মোটেই এরিয়ে যাওয়া যায়না।

back to top