কাঁকড়া এখন অর্থকরী সম্পদ উপকুলীয় এলাকায়। মাছের চেয়েও দাম বেশি। মাছ ধরা বাদ দিয়ে কাঁকড়া ধরা শুরু করেছে অনেক জেলেরা। বাধা নিষেধ না থাকায় ছোট বড় যেটা পায় সেটাই ধরে ফেলছে তারা। দিনদিন কমে যাচ্ছে এ সম্পদ। টিকিয়ে রাখার দাবি করছেন উপকুলবাসী। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ দিলে, প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে পারে এই কাঁকড়া থেকে।
জানা গেছে, নদ নদীর কম পানিতে, চরাঞ্চলের নিচু জায়গায়, জলাবদ্ধতার আশপাশে, বন বিভাগের জঙ্গলে, গর্ত করে ওই গর্তে থাকে কাঁকড়া। যাদের নৌকা বা ট্রলার নেই, তারা রডের মাথা বাঁকা করে ওই রড দিয়ে গর্ত থেকে বের করে আনে। নৌকা ট্রলার মালিকরা বাঁশের খাঁচা (চাঁই) তৈরি করে, খাদ্য হিসেবে ছোট ছোট মাছ বা হাঁস মুরগীর নারীভুড়ি টুকরো করে কেটে, দু এক টুকরো চাঁইয়ের ভিতর দিয়ে রশি লাগিয়ে নদী বা খালের কম পানিতে ডুবিয়ে দেয়। ছোট বড় কাঁকড়া খাদ্যের লোভে চাইয়ের ভিতর ঢুকলে আর বের হতে পারেনা। ধরা পরে জেলেদের হাতে। এতে দিনদিন কমে যাচ্ছে অর্থকরী এই সম্পদ।
জেলেরা জানান, সাগর ও নদ নদীতে নানা প্রজাতির মাছ ধরে সংসার চালাতো তারা। মাছের সংখ্যা এখন অনেক কম। ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটে তাদের। জালের উপর ভরসা না করে কাঁকড়া ধরা শুরু করেছে অনেকে। তবে, ধরার ব্যাপারে কোন বাধা নিষেধ না থাকায়, ভবিষ্যতে কাঁকড়ার বংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।
রাঙ্গাবালীর কাঁকড়া ব্যবসায়ী দিপ্ত হাওলাদার বলেন, গ্রেট অনুসারে ঢাকায় প্রতি কেজি ৮ শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ওখান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ না দিলে এক সময় হারিয়ে যাবে এই সম্পদটি। মাছের প্রজনন মৌসুমে যেমন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়, কাঁকড়ার মৌসুমেও নিষেধাজ্ঞা জারী করা উচিত। এ আইন চালু থাকলে এত দিনে,সাগর বা নদ নদীতে পা রাখার যায়গা থাকতো না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, জেলেরা এখন কাঁকড়া ধরায় বেশি ব্যস্ত। অনেকেই কাঁকড়ার উপর নির্ভরশীল। ধরা ও সংরক্ষনে আমরা তাদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, এক সময়ের অবহেলিত এই জলজ প্রাণীটি এখন দেশের অর্থকরী সম্পদ। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ না পেলে, অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মোটেই এরিয়ে যাওয়া যায়না।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
কাঁকড়া এখন অর্থকরী সম্পদ উপকুলীয় এলাকায়। মাছের চেয়েও দাম বেশি। মাছ ধরা বাদ দিয়ে কাঁকড়া ধরা শুরু করেছে অনেক জেলেরা। বাধা নিষেধ না থাকায় ছোট বড় যেটা পায় সেটাই ধরে ফেলছে তারা। দিনদিন কমে যাচ্ছে এ সম্পদ। টিকিয়ে রাখার দাবি করছেন উপকুলবাসী। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ দিলে, প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে পারে এই কাঁকড়া থেকে।
জানা গেছে, নদ নদীর কম পানিতে, চরাঞ্চলের নিচু জায়গায়, জলাবদ্ধতার আশপাশে, বন বিভাগের জঙ্গলে, গর্ত করে ওই গর্তে থাকে কাঁকড়া। যাদের নৌকা বা ট্রলার নেই, তারা রডের মাথা বাঁকা করে ওই রড দিয়ে গর্ত থেকে বের করে আনে। নৌকা ট্রলার মালিকরা বাঁশের খাঁচা (চাঁই) তৈরি করে, খাদ্য হিসেবে ছোট ছোট মাছ বা হাঁস মুরগীর নারীভুড়ি টুকরো করে কেটে, দু এক টুকরো চাঁইয়ের ভিতর দিয়ে রশি লাগিয়ে নদী বা খালের কম পানিতে ডুবিয়ে দেয়। ছোট বড় কাঁকড়া খাদ্যের লোভে চাইয়ের ভিতর ঢুকলে আর বের হতে পারেনা। ধরা পরে জেলেদের হাতে। এতে দিনদিন কমে যাচ্ছে অর্থকরী এই সম্পদ।
জেলেরা জানান, সাগর ও নদ নদীতে নানা প্রজাতির মাছ ধরে সংসার চালাতো তারা। মাছের সংখ্যা এখন অনেক কম। ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটে তাদের। জালের উপর ভরসা না করে কাঁকড়া ধরা শুরু করেছে অনেকে। তবে, ধরার ব্যাপারে কোন বাধা নিষেধ না থাকায়, ভবিষ্যতে কাঁকড়ার বংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।
রাঙ্গাবালীর কাঁকড়া ব্যবসায়ী দিপ্ত হাওলাদার বলেন, গ্রেট অনুসারে ঢাকায় প্রতি কেজি ৮ শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ওখান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ না দিলে এক সময় হারিয়ে যাবে এই সম্পদটি। মাছের প্রজনন মৌসুমে যেমন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়, কাঁকড়ার মৌসুমেও নিষেধাজ্ঞা জারী করা উচিত। এ আইন চালু থাকলে এত দিনে,সাগর বা নদ নদীতে পা রাখার যায়গা থাকতো না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, জেলেরা এখন কাঁকড়া ধরায় বেশি ব্যস্ত। অনেকেই কাঁকড়ার উপর নির্ভরশীল। ধরা ও সংরক্ষনে আমরা তাদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, এক সময়ের অবহেলিত এই জলজ প্রাণীটি এখন দেশের অর্থকরী সম্পদ। বংশ বৃদ্ধির সুযোগ না পেলে, অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মোটেই এরিয়ে যাওয়া যায়না।