alt

সারাদেশ

শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ গত পাঁচ বছরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে শেষ হয়নি।

দুই বছরের নির্ধারিত সময়সীমা থাকলেও ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

মৌলভীবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেয়া হয় মেসার্স গোলাম সারওয়ার-হেলাল আহমদ নামের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যাদেশ দেয়া হলে ২৪ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরেও ভবনের লিফট, রঙ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হয়নি। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রায় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে।

শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় এবং খেলার মাঠে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় খেলাধুলাও বন্ধ। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলমান। কবে তাদের দুর্ভোগ শেষ হবে তা শিক্ষার্থীরা বলতে পারে না।

যেসব শিক্ষার্থী ২০২০ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে তারা এখনও দেখে আসছে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ চলছে। এ বছর যেসব শিক্ষার্থী মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (এসএসসি) অংশ নিয়েছেন। কিন্তু ভবনের কাজ এখনও কাজ শেষ হয়নি। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় গত পাঁচটি বছর অনেক কষ্ট করে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে আসছে এ প্রতিষ্ঠানে।

বিদ্যালয়ের যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় খেলার মাঠ দখল হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া পুরনো একাডেমিক ভবনের কয়েকটি কক্ষে দীর্ঘদিন যাবত নির্মাণ শ্রমিকরা বসবাস করছেন। এতে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। নির্মাণ শ্রমিকরা দিন-রাত স্কুল ক্যাম্পাসে যাতায়াত করায় নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে।

শ্রেণিকক্ষ সংকটের কথা বলে একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত ভবন নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনো কাজ হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তারপরও দীর্ঘ পাঁচ বছরেও ভবনটির কাজ শেষ করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হেলাল আহমদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ভবন নির্মাণকাজে আমাদের নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে। পুরনো টিনশেড ভবন ভাঙতে দেরি, পাইলিং জটিলতা এবং ৪৭ লাখ টাকা কর্তনসহ নানা কারণে প্রকল্পে দেরি হয়েছে। ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব শিঘ্রই কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেয়ার।

মৌলভীবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রতীশ চন্দ্র সেন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ধীরগতির কারণেই নির্ধারিত সময়ের অনেক পরও কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জুন-জুলাই মাসের মধ্যে ভবনের কাজ শেষ করে আমাদের বুঝিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ৪৭ লাখ টাকা কর্তনের বিষয়টি বিধি অনুযায়ী ইস্টিমেট রিভাইজের সময় নির্ধারিত হয়।

লাকসামে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি

ছবি

পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে রহস্যময় মেঘ, অনুসন্ধানে নাসা

মোবাইল রিচার্জ করে বাবাকে সারপ্রাইজ দিন নগদে

কালীগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে চার ট্রেডে ৯০ তরুণ-তরুণীর দক্ষতা অর্জন

সড়ক দুর্ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থী নিহত

ছবি

৮ বছর পর স্থায়ী ভবনে শুরু হলো লালমাই উপজেলার কার্যক্রম

কুষ্টিয়ায় অপহৃত ব্যবসায়ীকে বাড়ির সামনে রেখে গেল অপহরণকারীরা

ছবি

দুর্গাপুরে রাস্তার নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মহেশপুরে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই যুবক

সৌন্দর্যবর্ধনে কৃষ্ণচূড়া-রাধাচূড়া রোপণ

ভোলায় দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরা হলো না শাহারানু বেগমের

ছবি

বরগুনা-বাকেরগঞ্জ মহাসড়ক খানাখন্দে বেহাল

গাংনীতে বোমা সাদৃশ বস্তু উদ্ধার

টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে গুলি করে হত্যা

গোপালগপুরে মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

চকরিয়া পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশস্থ হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের গতিপথ

দীঘিনালার মাইনি নদী থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার

কসবায় বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্র্ষ আহত ৫০

ছবি

মাদারগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙন স্থায়ী বাঁধ চায় পাকরুলবাসী

কাঁকড়া সম্পদ রক্ষা করার দাবি উপকূলবাসীর

পটুয়াখালীর চরকাজল বাজারে ৫ দোকান ভষ্মিভূত

চুনারুঘাটে পুকুরে মিলল গৃহবধূর মরদেহ

বাস কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা

ছবি

সাজেকে কলেজ নির্মাণে প্রশাসনের বাধাদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন

শীতলক্ষ্যা থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

খোকসা আ’লীগের সহ-সভাপতি আটক

খোকসায় সরকারি হালট দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৮

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১

ভেজাল দুধ তৈরির দায়ে জরিমানা

ডেঙ্গুতে পবিপ্রবির আনসারের মৃত্যু

ছবি

দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্রের ভাসমান সেতু বারো মাসই থাকে ভাঙা

বাড্ডায় তরুণীর লাশ উদ্ধার

হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ২৩,৬৫৯ বাংলাদেশি

tab

সারাদেশ

শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি

প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ গত পাঁচ বছরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে শেষ হয়নি।

দুই বছরের নির্ধারিত সময়সীমা থাকলেও ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

মৌলভীবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেয়া হয় মেসার্স গোলাম সারওয়ার-হেলাল আহমদ নামের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যাদেশ দেয়া হলে ২৪ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরেও ভবনের লিফট, রঙ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হয়নি। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রায় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে।

শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় এবং খেলার মাঠে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় খেলাধুলাও বন্ধ। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলমান। কবে তাদের দুর্ভোগ শেষ হবে তা শিক্ষার্থীরা বলতে পারে না।

যেসব শিক্ষার্থী ২০২০ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে তারা এখনও দেখে আসছে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ চলছে। এ বছর যেসব শিক্ষার্থী মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (এসএসসি) অংশ নিয়েছেন। কিন্তু ভবনের কাজ এখনও কাজ শেষ হয়নি। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় গত পাঁচটি বছর অনেক কষ্ট করে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে আসছে এ প্রতিষ্ঠানে।

বিদ্যালয়ের যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় খেলার মাঠ দখল হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া পুরনো একাডেমিক ভবনের কয়েকটি কক্ষে দীর্ঘদিন যাবত নির্মাণ শ্রমিকরা বসবাস করছেন। এতে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। নির্মাণ শ্রমিকরা দিন-রাত স্কুল ক্যাম্পাসে যাতায়াত করায় নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে।

শ্রেণিকক্ষ সংকটের কথা বলে একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত ভবন নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনো কাজ হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তারপরও দীর্ঘ পাঁচ বছরেও ভবনটির কাজ শেষ করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হেলাল আহমদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ভবন নির্মাণকাজে আমাদের নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে। পুরনো টিনশেড ভবন ভাঙতে দেরি, পাইলিং জটিলতা এবং ৪৭ লাখ টাকা কর্তনসহ নানা কারণে প্রকল্পে দেরি হয়েছে। ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব শিঘ্রই কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেয়ার।

মৌলভীবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রতীশ চন্দ্র সেন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ধীরগতির কারণেই নির্ধারিত সময়ের অনেক পরও কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জুন-জুলাই মাসের মধ্যে ভবনের কাজ শেষ করে আমাদের বুঝিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ৪৭ লাখ টাকা কর্তনের বিষয়টি বিধি অনুযায়ী ইস্টিমেট রিভাইজের সময় নির্ধারিত হয়।

back to top