দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) : নির্মাণাধীন সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামের আটলা, নন্দেরছটি, ভাদুয়া ও মুন্সিপাড়া এই চার গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল গ্রামীণ সড়ক। গত ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয় এর কাজ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর থেকে মুন্সিপাড়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় এলজিইডি। এরপর ওই রাস্তার মাটি খোঁড়াখোড়ির কাজের পর গত দুই মাস আগে কাজ বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদার। এরপর থেকে ঠিকাদারের কোন হুদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে (মঙ্গলবার-১৭-৬-২০২৫) বিকেলে ভাদুয়া গ্রামে আয়োজন করা হয় মানববন্ধন। শত-শত মানুষ এতে অংশ নেন। স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, রাস্তাটার কাজ যখন শুরু হয়, তখন মনে হয়েছিল আমাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই স্বস্তি পাব। এখন দেখি আগের চেয়েও বেশি কষ্ট। দ্রুত আমাদের এই রাস্তা চলাচলের উপযোগী চাই। মানববন্ধনে মাহমুদ হাসান বলেন, বিদ্যালয়-মাদ্রাসায় যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে গেলে দুর্ভোগে পড়তে হয়। রাস্তার কাজে কিছু সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে জেনেছি। আমরা বলতে চাই কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই দুর্ভোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
কৃষক বাদল সরকার বলেন আমাদের ধান বাজার নিতে পারছি না। ধান ঝানজাইল বাজারে নিলে ১২০০ টাকা পাব। কিন্তু স্থানীয় বাজারে ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা অনেক কষ্টে আছি। শিক্ষার্থী তাবাসসুম জানায়, রোজ কাদা পাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। জামা নষ্ট হয়, বই ভিজে যায়। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মনিরুজ্জামান সংবাদকে বলেন, টেন্ডারের পর ঠিকাদার বক্সকার্টিংয়ের কাজ শুরু করে। কিন্তু কিছু কাজ পরেই বালু সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়, ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অচিরেই ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) : নির্মাণাধীন সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামের আটলা, নন্দেরছটি, ভাদুয়া ও মুন্সিপাড়া এই চার গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল গ্রামীণ সড়ক। গত ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয় এর কাজ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর থেকে মুন্সিপাড়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় এলজিইডি। এরপর ওই রাস্তার মাটি খোঁড়াখোড়ির কাজের পর গত দুই মাস আগে কাজ বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদার। এরপর থেকে ঠিকাদারের কোন হুদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে (মঙ্গলবার-১৭-৬-২০২৫) বিকেলে ভাদুয়া গ্রামে আয়োজন করা হয় মানববন্ধন। শত-শত মানুষ এতে অংশ নেন। স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, রাস্তাটার কাজ যখন শুরু হয়, তখন মনে হয়েছিল আমাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই স্বস্তি পাব। এখন দেখি আগের চেয়েও বেশি কষ্ট। দ্রুত আমাদের এই রাস্তা চলাচলের উপযোগী চাই। মানববন্ধনে মাহমুদ হাসান বলেন, বিদ্যালয়-মাদ্রাসায় যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে গেলে দুর্ভোগে পড়তে হয়। রাস্তার কাজে কিছু সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে জেনেছি। আমরা বলতে চাই কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই দুর্ভোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
কৃষক বাদল সরকার বলেন আমাদের ধান বাজার নিতে পারছি না। ধান ঝানজাইল বাজারে নিলে ১২০০ টাকা পাব। কিন্তু স্থানীয় বাজারে ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা অনেক কষ্টে আছি। শিক্ষার্থী তাবাসসুম জানায়, রোজ কাদা পাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। জামা নষ্ট হয়, বই ভিজে যায়। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মনিরুজ্জামান সংবাদকে বলেন, টেন্ডারের পর ঠিকাদার বক্সকার্টিংয়ের কাজ শুরু করে। কিন্তু কিছু কাজ পরেই বালু সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়, ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অচিরেই ব্যাবস্থা নেয়া হবে।