লালমাই (কুমিল্লা) : লালমাই উপজেলার স্থায়ী ভবন -সংবাদ
২০১৭ সালে কুমিল্লার ১৭তম উপজেলা হিসেবে ঘোষিত হয় লালমাই উপজেলার নাম। উপজেলা প্রতিষ্ঠার পরে থেকে দীর্ঘ ৮ বছরেও স্থায়ী ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি কোন দপ্তর। নতুন জায়গায় উপজেলা ভবনের কার্যক্রম ২০২১ সালে শেষ করার কথা থাকলেও সময় এত শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, গত সোমবার স্থায়ী ভবনে প্রথমদিন অফিস করেন লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রি খীসা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজানা আক্তার।
উপজেলাবাসির প্রাণের দাবি ছিল নতুন উপজেলা ভবনে উপজেলার কার্যক্রম চালু করা। এ সাফল্য দেখে দিনভর সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে ছবি পোস্ট করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
কেউ কেউ লিখেছেন আমরা বুঝি আপন ঠিকানা পেলাম! আনন্দে কেউবা আবার স্থানীয় বাগমারা বাজারে মিষ্টিও বিতরন করেছেন।
এই বিষয়ে লালমাই উপজেলা কার্যক্রম বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক শামীম মজুমদার বলেন, লালমাই উপজেলা আমাদের সবার প্রাণের স্পন্দন। যে যাই বলুক উপজেলা প্রসঙ্গে আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি। সর্বসাধারণকে একসঙ্গে নিয়ে আমরণ একসঙ্গেই থাকব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমাই উপজেলার আহ্বায়ক নোমান হোসেন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ কার্যক্রম শুরু হওয়াতে আমরা খুশি। যে কোন প্রয়োজনে আমরা পাশে রয়েছি।
এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বলেন, ভাড়া জায়গা থেকে নিজেদের সরকারি ভবনে উপজেলার সব দপ্তরের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করলেই স্বস্তিপাবে সেবা নিতে আসা সাধারন জনগন।
প্রথম দিন অফিস শেষে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রি খীসা বলেন, ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত লালমাই উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা পরিষদের নিজস্ব ভবন না থাকায় সরকারি সেবা প্রদানে। বিঘ্নিত হচ্ছিল।
গত ২৯ মে কুমিল্লার ডিসি মো. আমিরুল কায়ছার স্যারের পরিদর্শনে আসলে সংশ্লিষ্ট সকলকে ভবন নির্মাণকাজ শেষ করার তাগিদ দেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভবনটির কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। তাই সোমবার থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) এর কার্যালয় নতুন স্থানান্তরিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদের হস্তান্তরিত ১৭টি দপ্তরও নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হবে। এতে লালমাইবাসী এক ছাদের নিচে সব সেবা একসঙ্গে পেলে সেবাপ্রত্যাশীদের হয়রানি কমবে এবং উপজেলার উন্নয়নের দ্বারও খুলে যাবে বলে আশা করছি।
লালমাই (কুমিল্লা) : লালমাই উপজেলার স্থায়ী ভবন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
২০১৭ সালে কুমিল্লার ১৭তম উপজেলা হিসেবে ঘোষিত হয় লালমাই উপজেলার নাম। উপজেলা প্রতিষ্ঠার পরে থেকে দীর্ঘ ৮ বছরেও স্থায়ী ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি কোন দপ্তর। নতুন জায়গায় উপজেলা ভবনের কার্যক্রম ২০২১ সালে শেষ করার কথা থাকলেও সময় এত শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, গত সোমবার স্থায়ী ভবনে প্রথমদিন অফিস করেন লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রি খীসা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজানা আক্তার।
উপজেলাবাসির প্রাণের দাবি ছিল নতুন উপজেলা ভবনে উপজেলার কার্যক্রম চালু করা। এ সাফল্য দেখে দিনভর সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে ছবি পোস্ট করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
কেউ কেউ লিখেছেন আমরা বুঝি আপন ঠিকানা পেলাম! আনন্দে কেউবা আবার স্থানীয় বাগমারা বাজারে মিষ্টিও বিতরন করেছেন।
এই বিষয়ে লালমাই উপজেলা কার্যক্রম বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক শামীম মজুমদার বলেন, লালমাই উপজেলা আমাদের সবার প্রাণের স্পন্দন। যে যাই বলুক উপজেলা প্রসঙ্গে আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি। সর্বসাধারণকে একসঙ্গে নিয়ে আমরণ একসঙ্গেই থাকব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমাই উপজেলার আহ্বায়ক নোমান হোসেন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ কার্যক্রম শুরু হওয়াতে আমরা খুশি। যে কোন প্রয়োজনে আমরা পাশে রয়েছি।
এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বলেন, ভাড়া জায়গা থেকে নিজেদের সরকারি ভবনে উপজেলার সব দপ্তরের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করলেই স্বস্তিপাবে সেবা নিতে আসা সাধারন জনগন।
প্রথম দিন অফিস শেষে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রি খীসা বলেন, ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত লালমাই উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা পরিষদের নিজস্ব ভবন না থাকায় সরকারি সেবা প্রদানে। বিঘ্নিত হচ্ছিল।
গত ২৯ মে কুমিল্লার ডিসি মো. আমিরুল কায়ছার স্যারের পরিদর্শনে আসলে সংশ্লিষ্ট সকলকে ভবন নির্মাণকাজ শেষ করার তাগিদ দেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভবনটির কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। তাই সোমবার থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) এর কার্যালয় নতুন স্থানান্তরিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদের হস্তান্তরিত ১৭টি দপ্তরও নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হবে। এতে লালমাইবাসী এক ছাদের নিচে সব সেবা একসঙ্গে পেলে সেবাপ্রত্যাশীদের হয়রানি কমবে এবং উপজেলার উন্নয়নের দ্বারও খুলে যাবে বলে আশা করছি।