alt

সারাদেশ

মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর পাশে গোদাগাড়ীর ইউএনও

গোদাগাড়ীর ইউএনও : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিনমজুর শরিফুল ইসলামের দুই মেধাবী সন্তান আবু সাঈদ ও আবুবক্কর। একজন ইলেকট্রনিক্স, আরেকজন ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত। বর্তমানে তারা তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। কিন্তু সামনে থাকা সেমিস্টার পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েন তারা।

বাবার সামান্য আয়ে চলতে হয় তাদের পুরো পরিবারের। শরিফুল ইসলাম কখনো অন্যের জমিতে কাজ করেন, কখনো রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। শহরে থেকে পড়াশোনার খরচ চালাতে আবুবক্কর একটি কোচিং সেন্টারে টিউশনি করেন, আর আবু সাঈদ প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের খরচ সামাল দেন। কিন্তু ফরম ফিলাপের জন্য প্রয়োজন হয় একসঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা। অসহায়ত্ব নিয়ে গতকাল বুধবার ১৮ জুন মা নাসিমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে যান গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদের কাছে।

ইউএনও সাহেবের কাছে গিয়ে তাদের আর্থিক দুরবস্থার কথা জানালে তিনি গত বৃহস্পতিবার (ফরম ফিলাপের শেষ দিন) নিজের বেতনের টাকা থেকে আবু সাঈদ ও আবুবক্করকে ফরম ফিলাপের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

দুই ভাইয়ের মা নাসিমা বেগম বলেন, ইউএনও স্যার খুব ভালো ও মানবিক মানুষ। তিনি আমার সন্তানদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আল্লাহ যেন তাকে উত্তম প্রতিদান দেন।

আবুবক্কর বলেন, ফরম ফিলাপের জন্য যখন টাকার প্রয়োজন, আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ইউএনও স্যারের কাছে আগেও গিয়েছিলাম, তিনি তখন আশ্বাস দিয়েছিলেন। আজ সেই আশ্বাস বাস্তব হলো। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি আমাদের পরিবারের জন্য একজন অভিভাবকের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সমাজে এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে, যারা শুধু টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। আমি আমার সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়াতে। হয়তো এই সহযোগিতা বড় কিছু নয় কিন্তু যদি তারা এতে উৎসাহ পায়, তাহলেই আমার প্রচেষ্টা সফল।

দিনমজুর বাবার দুই মেধাবী সন্তানের জন্য এই মানবিক সহযোগিতা শুধু তাৎক্ষণিক স্বস্তি নয়, বরং সমাজের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির এক অনন্য উদাহরণ। গোদাগাড়ীর ইউএনওর এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, চাইলেই রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হয়ে একটি হাত বাড়িয়ে দেয়া যায়-যেখানে ভেঙে পড়া এক ভবিষ্যতের ভিত্তি রচিত হয় সহানুভূতির ওপর।

ছবি

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৪ বাংলাদেশি, আরও ৩৩ জন পুশব্যাকের অপেক্ষায়

জাফলংয়ে ৬৭ ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ছবি

দশমিনায় কৃষকদের আগ্রহ বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ

খোকসায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রশিক্ষণ

ছবি

চাকরি ছেড়ে রঙিন আম চাষে সফল পলাশ

সিলেটে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

দুইশ কোটি টাকা বিক্রির প্রত্যাশা রংপুরের বিভাগের আমচাষিদের

ছবি

আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচ নিয়ে বিপাকে কৃষক

রুয়েটে শিক্ষকদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং

কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

কাজে আসছে না আমড়াগাছিয়া সেতু : ভোগান্তিতে মানুষ

ছবি

বিদেশে গেল না বাঘার আম, ব্যবসায়ীরা হতাশ

বোদায় ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের কর্মশালা

দেড় বছরে ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রাম আদালতে ২ হাজার মামলা নিষ্পত্তি

নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন সেমিনার

ছবি

সাতছড়ির বনে মূল্যবান সেগুন গাছ চুরি

সিংড়ায় বেড়েছে চুরি-ছিনতাই, জনমনে আতঙ্ক

নবীগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মোরেলগঞ্জ ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধ পৌর সড়ক

ছবি

কুড়িগ্রামে ট্রাক্টরচাপায় দুই বোন নিহত

ছবি

পলাশে ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

টি-গ্রোয়েন ও আই-বাঁধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী গ্রেপ্তার

ঈশ্বরদীতে অটোরিকশা চোর চক্রের ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৪

ছবি

সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবিত গোবিপ্রবির লাইব্রেরির চত্বর

ছবি

চাঁদপুরে ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

হিলিতে জাতীয় ফল মেলা

তারাগঞ্জে কৃষি উপকরণ বিতরণ

মীরসরাইয়ে লরির ধাক্কায় নিহত ১

বটিয়াঘাটায় ফল মেলার উদ্বোধন

ছবি

নদী ভাঙনে কমছে ফসলি জমি

সিলেটে তারাপুর চা-বাগানের অবৈধ দখল হওয়া জমি উদ্ধার শুরু

চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩

নবীগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালক আটক

ভাড়া নিয়ে বিতর্কে প্রাণ গেল অটোচালকের গ্রেপ্তার ১

tab

সারাদেশ

মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর পাশে গোদাগাড়ীর ইউএনও

গোদাগাড়ীর ইউএনও

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিনমজুর শরিফুল ইসলামের দুই মেধাবী সন্তান আবু সাঈদ ও আবুবক্কর। একজন ইলেকট্রনিক্স, আরেকজন ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত। বর্তমানে তারা তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। কিন্তু সামনে থাকা সেমিস্টার পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করতে না পেরে দুশ্চিন্তায় পড়েন তারা।

বাবার সামান্য আয়ে চলতে হয় তাদের পুরো পরিবারের। শরিফুল ইসলাম কখনো অন্যের জমিতে কাজ করেন, কখনো রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। শহরে থেকে পড়াশোনার খরচ চালাতে আবুবক্কর একটি কোচিং সেন্টারে টিউশনি করেন, আর আবু সাঈদ প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের খরচ সামাল দেন। কিন্তু ফরম ফিলাপের জন্য প্রয়োজন হয় একসঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা। অসহায়ত্ব নিয়ে গতকাল বুধবার ১৮ জুন মা নাসিমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে যান গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদের কাছে।

ইউএনও সাহেবের কাছে গিয়ে তাদের আর্থিক দুরবস্থার কথা জানালে তিনি গত বৃহস্পতিবার (ফরম ফিলাপের শেষ দিন) নিজের বেতনের টাকা থেকে আবু সাঈদ ও আবুবক্করকে ফরম ফিলাপের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

দুই ভাইয়ের মা নাসিমা বেগম বলেন, ইউএনও স্যার খুব ভালো ও মানবিক মানুষ। তিনি আমার সন্তানদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আল্লাহ যেন তাকে উত্তম প্রতিদান দেন।

আবুবক্কর বলেন, ফরম ফিলাপের জন্য যখন টাকার প্রয়োজন, আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ইউএনও স্যারের কাছে আগেও গিয়েছিলাম, তিনি তখন আশ্বাস দিয়েছিলেন। আজ সেই আশ্বাস বাস্তব হলো। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি আমাদের পরিবারের জন্য একজন অভিভাবকের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সমাজে এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে, যারা শুধু টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। আমি আমার সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়াতে। হয়তো এই সহযোগিতা বড় কিছু নয় কিন্তু যদি তারা এতে উৎসাহ পায়, তাহলেই আমার প্রচেষ্টা সফল।

দিনমজুর বাবার দুই মেধাবী সন্তানের জন্য এই মানবিক সহযোগিতা শুধু তাৎক্ষণিক স্বস্তি নয়, বরং সমাজের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির এক অনন্য উদাহরণ। গোদাগাড়ীর ইউএনওর এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, চাইলেই রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হয়ে একটি হাত বাড়িয়ে দেয়া যায়-যেখানে ভেঙে পড়া এক ভবিষ্যতের ভিত্তি রচিত হয় সহানুভূতির ওপর।

back to top